শেষের পাতা
গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ চায় ভারত
কূটনৈতিক রিপোর্টার
৩০ মে ২০২৫, শুক্রবার
ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন- গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি বাংলাদেশ দেখতে চান তিনি এবং তার দেশ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রদত্ত অভিন্ন ত্যাগের ওপরই প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক। ভারতের প্রেসিডেন্ট অভিন্ন সমৃদ্ধি এবং বর্ধিত সংযোগের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ বঙ্গপোসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর উপ-আঞ্চলিক জোট বিমসটেক-এর সভাপতির পদ গ্রহণের দেশটির নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম. রিয়াজ হামিদুল্লাহ’র পরিচয়পত্র গ্রহণকালে ভারতের প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন। নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি মতে, নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় বাংলাদেশ দূতকে বরণ করেন প্রেসিডেন্ট মুর্মু। তিনি এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এ সময় তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন। রিয়াজ হামিদুল্লাহ একজন সিনিয়র ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাট। গত ১৪ই এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিনে তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব নেন। তিনি বাংলাদেশের সদ্য সাবেক হাইকমিশনার ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হন। বাংলাদেশ মিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও এ দেশের জনগণের পক্ষ থেকে ভারতের প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির জনগণের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী অংশীদারিত্ব জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। হাইকমিশনার হামিদুল্লাহ উভয় দেশের যুবসমাজের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। দিল্লিতে পদায়নের আগে এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম ও বহুপক্ষীয়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার আগে তিনি নেদারল্যান্ডস এবং শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে তিনি নিউ ইয়র্ক ও নয়াদিল্লি মিশন এবং সার্ক সচিবালয়ে (পরিচালক হিসেবে) কাজ করেছেন। তিন দশকের বর্র্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী রিয়াজ জীবনের কোনো পরীক্ষায় দ্বিতীয় হননি। পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচেও তিনি প্রথম। উল্লেখ্য, একইদিনে বাংলাদেশ দূত ছাড়াও থাইল্যান্ড, কোস্টারিকা, সেন্ট কিটস এবং নেভিস, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনাররা তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
পাঠকের মতামত
এই কথাগুলো গত ১৬ বছর বলো নাই কেন? তখন মনে ছিলো না?
তোমার দেশের দিকে নজর দাও। তোমার দেশের নোংরামী বন্ধ কর। বাংলাদেশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জনগন। বাংলাদেশের ব্যাপারে তোমাদের নাক গলানোর তীব্র নিন্দা জানাই।
চাচি এতদিন কই ছিলেন ?
ভারতে মুখে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের কথা হা হা হা
ভারত সরকারকে বলছি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে কথাবার্তা বলা থেকে বিরত থাকুন, নিজের চরকায় তেল দিন।
কথাগুলো ভালো, কিন্তু এই কথাগুলো যদি বিগত দিনে আওয়ামী লীগের প্রহসনের নির্বাচনের আগে বলতেন তাহলে আজকে আওয়ামী লীগের এই অবস্থা হতো না।
Where they were last 16 years ????