ঢাকা, ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

বাংলাদেশকে চাপে রাখতে নতুন কৌশল পুশইন

অনলাইন ডেস্ক

(২ ঘন্টা আগে) ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১০:০১ পূর্বাহ্ন

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, "বাংলাদেশকে চাপে রাখতে নতুন কৌশল পুশইন''। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টির নতুন কৌশল হিসেবে 'পুশইন' শুরু করেছে। বিএসএফ বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাংলাভাষীদের ধরে সীমান্ত দিয়ে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে। ৪ঠা মে থেকে ১৫ই মে পর্যন্ত ৩৭০ জনকে পুশইন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকও রয়েছে। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তির পরিপন্থী বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিজিবি জানিয়েছে, কিছু রোহিঙ্গা যারা ভারতে ইউএনএইচসিআর-এ নিবন্ধিত ছিল, তাদেরও বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। ভারত সরকার এই পদক্ষেপকে ফেরত পাঠানো বলে দাবি করলেও বিশ্লেষকদের মতে, এটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক চাপ তৈরির কৌশল। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদ ও জাতিসংঘে বিষয়টি তোলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ভারতের উদ্দেশ্য সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি করা। আটকরা বলছে, তাদের চোখ বেঁধে দূরবর্তী অঞ্চল থেকে এনে নির্জন সীমান্তে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বিজিবি আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি এবং বৈধ প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠানো জরুরি।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম 'বাংলাদেশ থেকে অধিক কর্মী নেবে মালয়েশিয়া' প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়া শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শ্রমিক নেবে। এক বছর বন্ধ থাকার পর দেশটির শ্রমবাজার আবার চালু হতে যাচ্ছে, যেখানে এক থেকে দেড় লাখ শ্রমিক নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ার তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদলের প্রধান অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি জানান, সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ দিতে বাংলাদেশ অনুরোধ জানিয়েছে, যা মালয়েশিয়া গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। ২০২৪ সালের শুরুতে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে বর্তমানে দেশটি পুনরায় বাজার খুলতে রাজি হয়েছে এবং ২১ থেকে ২২শে মে ঢাকায় যৌথ কারিগরি সভার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে যেতে না পারা প্রায় ১৭ হাজার কর্মীর মধ্যে প্রথম দফায় সাত হাজার ৯২৬ জনকে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কর্মীদের মাল্টিপল ভিসা ও অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মালয়েশিয়া ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। অভিবাসন খাতে গত বছর কিছুটা ধাক্কা এলেও নতুন উদ্যোগে আবার গতি ফিরতে পারে।

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম 'ধুঁকছে শিল্প, স্বস্তি চান উদ্যোক্তারা'। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের শিল্প ও ব্যবসা খাত একাধিক সংকটে ধুঁকছে। উদ্যোক্তারা পড়েছেন গভীর অনিশ্চয়তায়। বিনিয়োগে মন্দা, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, মূলধন ঘাটতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—সব মিলিয়ে ব্যবসার পরিবেশ চরম প্রতিকূল। এ অবস্থায় আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট হতে যাচ্ছে সংকোচনমূলক। বাজেটের আকার কমে হবে সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানো হবে বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ। তবে প্রণোদনা ও করছাড় কমানোর সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, কর রেয়াত ও নীতি সহায়তা হঠাৎ তুলে নিলে এসএমই ও নবীন উদ্যোক্তারা বিপদে পড়বেন। ইতিমধ্যে ফ্রিজ, এসি, মোবাইল হ্যান্ডসেটের মতো শিল্পে ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা স্থানীয় উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ডিসিসিআই ও সিপিডি বলছে, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর রেয়াত পুনর্বিন্যাস ও 'মেইড ইন বাংলাদেশ' পণ্যে বিশেষ সহায়তা প্রয়োজন। জাপানি কোম্পানিগুলোর জরিপ অনুযায়ী, ব্যবসার পরিবেশে বড় বাধা রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নীতির অনিশ্চয়তা। এ অবস্থায় উদ্যোক্তারা চান, বাজেটে স্থিতিশীল ও ব্যবসা-বান্ধব নীতি গৃহীত হোক, যাতে বেসরকারি খাত চাঙ্গা হয়, বিনিয়োগ বাড়ে এবং দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম 'কালুরঘাট নতুন সেতুর কিলোমিটারপ্রতি নির্মাণ ব্যয় পদ্মা সেতুর কাছাকাছি'। প্রতিবেদনে বলা হয়,  চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন একটি 'রেল কাম রোড' সেতু নির্মাণ প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যার দৈর্ঘ্য মাত্র ৭০০ মিটার। ফলে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় প্রায় পদ্মা সেতুর সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ছয় দশমিক দুই কিমি রেল ভায়াডাক্ট, দুই দশমিক চার কিমি সড়ক ভায়াডাক্ট, চার দশমিক ৫৪ কিমি রেল বাঁধ এবং ১৪১ একর জমি অধিগ্রহণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব অনুষঙ্গই ব্যয়বৃদ্ধির প্রধান কারণ বলে জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। মূল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬১ কোটি টাকা, আর ভায়াডাক্ট নির্মাণে চার হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। ভারতের সমজাতীয় প্রকল্পের তুলনায় বাংলাদেশে ভায়াডাক্ট নির্মাণ ব্যয় অনেক বেশি। ২০১৮ সালে সেতুর জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ছিল মাত্র এক হাজার ১৬৩ কোটি টাকা, যা বর্তমানে প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে। সেতুর উচ্চতা, ডাবল রেল লাইন, ভায়াডাক্ট ও রাস্তার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিই এই ব্যয়বৃদ্ধির মূল কারণ। রেলপথ মন্ত্রণালয় বলছে, প্রকল্প ব্যয় এখনো চূড়ান্ত নয়, দরপত্র আহ্বানের পর তা কমতেও পারে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা প্রকল্পের ব্যয় নিয়ন্ত্রণে প্রতিযোগিতামূলক ও স্বচ্ছ দরপত্র প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।

সংবাদের প্রধান শিরোনাম, 'শেয়ার বাজারে ধারাবাহিক দরপতন, ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে সূচক'। প্রতিবেদনে বলা হয়,  দেশের শেয়ারবাজার ধারাবাহিক দরপতনের মধ্যে পড়ে দীর্ঘদিন ধরেই নিম্নমুখী প্রবণতায় রয়েছে। ২০২৫ সালের ১৫ই মে বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন চার হাজার ৭৮১ পয়েন্টে নেমে এসেছে, যা ২০২০ সালের ২৪শে অগাস্টের পর সর্বনিম্ন। এদিন ৩১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে, মাত্র ৪২টির বেড়েছে এবং ৩৬টির অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো মানের কোম্পানিগুলোর মধ্যেও অধিকাংশের দরপতন হয়েছে। বাজারে বিক্রেতার চাপ বেশি থাকায় ক্রমাগত দর কমছে। ডিএসইতে দিনভর লেনদেন হয়েছে ২৯৬ দশমিক ৮৪ কোটি টাকার, যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেশি হলেও ৩০০ কোটির নিচেই রয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিচ হ্যাচারির শেয়ারে (২১ দশমিক ৬৯ কোটি টাকা)। এনআরবি ব্যাংক এবং বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই ধারা অব্যাহত রয়েছে, সেখানে সার্বিক সূচক ১৩৭ পয়েন্ট কমে যায়। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাওয়ায় ভালো কোম্পানির শেয়ারও দর হারাচ্ছে। শেয়ারবাজারের এই নাজুক অবস্থান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বাড়িয়ে তুলেছে এবং তা মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।

আজকের পত্রিকার শিরোনাম ‘চলবে ইলেকট্রিক বাস খরচ ২৫০০ কোটি’। এই খবরে বলা হয়,   রাজধানী ঢাকায় এবার বিদ্যুৎ-চালিত (ইলেকট্রিক) বাস নামানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে পাঠানো এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রকল্পে ৪০০ বিদ্যুৎ-চালিত বাস কেনা হবে। এসব বাসের ডিপো ও চার্জিং স্টেশন থাকবে তিনটি। বাসগুলো চলবে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে। প্রস্তাবটি ১৯ মে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় উঠবে এবং প্রকল্পের ব্যয়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

ঢাকায় বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের মাধ্যমে চালু করা নগর পরিবহন অনেকটাই ব্যর্থ। এবার এই ইলেকট্রিক বাস নামানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকার বায়ুদূষণ ও যানজট কমাতে এবং সিটি বাসের সংস্কার করে ইলেকট্রিক বাস নামানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র বলছে, ইলেকট্রিক বাস নামানোর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঋণ হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে নেওয়া হবে ২ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দেবে বাকি ৩৬৫ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।

এই প্রকল্পের আওতায় কোম্পানিভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেলের অধীনে ইলেকট্রিক বাস (ই-বাস) চালু করা হবে। ঢাকা শহরের যানজট কমানো, গণপরিবহনের সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক পরিবহনব্যবস্থা কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য ডিটিসিএসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারি সংস্থার সক্ষমতা বাড়ানো হবে।

দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার শিরোনাম, “ভারতের মরণবাঁধ ফারাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ৬ কোটি মানুষ”। প্রতিবেদনে বলা হয়, পদ্মার উজানে ফারাক্কায় বাঁধ তৈরি করে গঙ্গার পানি একতরফা প্রত্যাহারের ভারতীয় ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের এ দিনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর আহ্বানে এ লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। দিনটি ফারাক্কা দিবস হিসাবেও পরিচিত। পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে এ লংমার্চ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। দিবসটি উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে এক সংবাদ সম্মেলনে নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাবে দেশের অন্তত ছয় কোটি মানুষ সেচ সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গঙ্গা-পদ্মার প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার নৌপথ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। লবণাক্ততার কারণে খুলনা অঞ্চলে ধান উৎপাদন কমে গেছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status