খেলা
প্রথমবার আইসিসির মাসসেরা মিরাজ
স্পোর্টস ডেস্ক
(৮ ঘন্টা আগে) ১৪ মে ২০২৫, বুধবার, ২:৫৯ অপরাহ্ন

দেশের মাটিতে সবশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যাট-বলে দ্যুতি ছড়িয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। অলরাউন্ড পারফর্মেন্সে সিরিজ সেরার পুরস্কারও ওঠে তারই হাতে। এবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে এপ্রিল মাসের আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ পুরস্কার জিতলেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউজিল্যান্ডের পেসার বেন সিয়ার্সকে পেছনে ফেলে এই পুরস্কার জিতেছেন মিরাজ।
ক্যারিয়ারে প্রথমবার আইসিসি’র মাসসেরার খেতাব পেলেন মিরাজ, আর বাংলাদেশিদের মধ্যে তৃতীয়। এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম। গত মাসে সিলেট ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হওয়া দুই টেস্টের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে তিন ইনিংসে ব্যাট করে ৩৮.৬৬ গড়ে ১১৬ রান করেন মিরাজ, ছিল একটি সেঞ্চুরিও। ৪ ইনিংস হাত ঘুরিয়ে তুলে নেন সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট। সিলেটে প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে জিম্বাবুয়ের জয়ী ম্যাচের দুই ইনিংসেই ফাইফার তুলে নেন এই ২৭ বছর বয়সী স্পিনার। চট্টগ্রামে পরের টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ১০৪ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১১১ রানে অলআউট করার পথে ৫ উইকেট তুলে নেন মিরাজ। ইনিংস ও ১০৬ রানে জিতে যায় টাইগাররা। মাসসেরার খেতাব স্বীকৃতি পেয়ে মিরাজ বলেন, ‘আইসিসি’র মাসসেরা হওয়া অবিশ্বাস্য সম্মানের। যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য আইসিসি’র পুরস্কারই সর্বোচ্চ, আর বৈশ্বিকাভবে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়াটা আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। এসব মুহূর্ত আমার ক্যারিয়ারের গতিপথকে মনে করিয়ে দেয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে ২০১৬ অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড় হওয়া ছিল আমার জন্য অনেক বড় প্রেরণা। এই পুরস্কারটিও তেমন বিশেষ কিছু।’ মিরাজ যোগ করেন, ‘আইসিসির এমন স্বীকৃতি আমাকে দেশের জন্যও ভালো করার প্রেরণা। সতীর্থ, কোচ ও ভক্তদের ধন্যবাদ জানাই, এই পুরস্কার তাদেরও।
বাংলাদেশের বিপক্ষে একই সিরিজে দুই টেস্টেই বল হাতে দ্যুতি ছড়ান জিম্বাবুয়ের পেসার মুজারাবানি। দীর্ঘদেহী এই ডানহাতি পেসার দুই টেস্ট মিলিয়ে নেন ১০ উইকেট, যার ৯টিই সিলেটে। সেই টেস্টে সেরা খেলোয়াড়ও হন তিনি। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ঝলক দেখিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। ঘরের মাঠে গ্রিন ক্যাপদের ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে ব্ল্যাক ক্যাপরা। প্রথম ওয়ানডেতে দলের বাইরে থাকেন সিয়ার্স। শেষ দুই ম্যাচের সুযোগকে দারুণভাবে লুফে নেন এই ডানহাতি পেসার, তুলে নেন পাঁচ-পাঁচটি করে মোট ১০ উইকেট।