খেলা
ধর্মশালার সেই বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার গল্প শোনালেন স্টার্কের স্ত্রী
স্পোর্টস ডেস্ক
(৯ ঘন্টা আগে) ১৪ মে ২০২৫, বুধবার, ২:৩১ অপরাহ্ন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) ফিরছে আগামী শনিবার। ভারত-পাকিস্তান মধ্যকার যুদ্ধে এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয় ফ্যাঞ্চাইজিভিত্তিত টুর্নামেন্টটি। নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ হয়ে যায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার শেষ ম্যাচটি। পরে সেখান থেকে দিল্লি ফিরে যার যার দেশে চলে যান বিদেশি খেলোয়াড়েরা। তবে সেদিনের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ভুলতে পারেননি মিচেল স্টার্কের সহধর্মিনী ও অস্ট্রেলিয়া নারী দলের ক্রিকেটার অ্যালিসা হিলি। দেশে ফিরে এক পডকাস্টে সেই বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার বর্ননা দেন তিনি।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার রাতের। ভারত-পাকিস্তান বর্ডার থেকে ধর্মশালার দূরত্ব খুব বেশি নয়। সেখানকার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের মাঠে চলছিলো দিল্লি ও পাঞ্জাবের ম্যাচ। আর দশটি ম্যাচের মতো সেদিনও দিল্লির অন্য ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখছিলেন হিলি। পাঞ্জাবের ইনিংস চলাকালীন হঠাৎ নিভে যায় স্টেডিয়ামের তিনটি ফ্লাডলাইট টাওয়ার। কিছু বুঝে ওঠার আগেই খেলোয়াড়দের মাঠ থেকে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গুরুতর কারিগরি ত্রুটি’র কারণে স্টেডিয়ামে খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বাস্তবে চিত্র ছিল ভিন্ন। বিভিন সংবাদমাধ্যমে খবর উঠে আসে, জম্মুসহ সীমান্তবর্তী ভারতের কয়েকটি জায়গায় মিসাইল হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এরপরই নিভিয়ে দেয়া হয় স্টেডিয়ামের সব আলো। মূলত ধর্মশালার অদূরে একটি জায়গায় এয়ার সাইরেন বেজে ওঠে। নিরাপত্তা শঙ্কায় পরিত্যক্ত হয় ম্যাচ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাত দিয়ে ইশারা করে দর্শকদেরও গ্যালারি ছাড়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল। এরপর অন্যান্য বিদেশি ক্রিকেটারদের মতো স্টার্কও তার দেশে ফিরে যান সস্ত্রীক। মঙ্গলবার উইলো টক’পডকাস্টে সেটিই তুলে ধরেছেন হিলি। যে স্টাফ সাধারণত তাদের বাসে তুলে দেন তিনি ফ্যাকাসে মুখ নিয়ে গ্যালারিতে থাকা হিলির কাছে আসলেন, বলছিলেন তাদের এখনই যেতে হবে। অস্ট্রেলিয়ান এই উইকেটকিপার-ব্যাটার যখন ড্রেসিংরুমে পৌঁছান তখন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার ফাফ ডু প্লেসিসের পায়ে জুতাও ছিল না। তিনি তখন ঘটনার কারণ জানতে চান স্বামী স্টার্কের কাছে।
এ প্রসঙ্গে হিলি বলেন, ‘আমি মিচকে (স্টার্ক) জিজ্ঞাসা করলাম যে কী হচ্ছে। সে বলল, ৬০ কিলোমিটার দূরের শহরে মিসাইল আঘাত করেছে, তাই এলাকাটি পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে গেছে। সে কারণেই আলো নিভে গেছে , কেননা ধর্মশালা স্টেডিয়াম যেন আলোক সঙ্কেত হয়ে উঠেছিল।’ হিলি যোগ করেন, ‘আমরা যখন দক্ষিণ-পশ্চিম (পাকিস্তান) সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলাম, তখন কিছুটা ভয়ে ছিলাম। মিচ ও আমি অনেক বেশি কল অব ডিউটি (ভিডিও গেম) খেলেছি, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সাইটগুলো দেখে চিনতে পারছিলাম। এগুলো রাডার-চালিতে সিস্টেম, যা বিমানে মিসাইল ছোড়ে। আমরা ছোট শহরের পথে এগুলোর কয়েকটি দেখতে পেলাম।’ তিনি যোগ করেন, ‘আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকলেও মনে হচ্ছিল আমরা ঠিক থাকব। কেননা আমরা সরাসরি ফায়ারিং লাইনে ছিলাম না।’