অনলাইন
সহযোগীদের খবর
তৃণমূলে শক্ত অবস্থান তৈরিতে হিমশিম এনসিপি
অনলাইন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ১৪ মে ২০২৫, বুধবার, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:১৮ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ প্রতিদিন
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর ‘তৃণমূলে শক্ত অবস্থান তৈরিতে হিমশিম এনসিপি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, আত্মপ্রকাশের আড়াই মাস পেরোলেও শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি তৈরি করতে পারেনি বিপ্লবীদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বর্তমানে নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখে দলটি। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি গঠনতন্ত্র। সাড়া ফেলতে পারেনি তৃণমূলের রাজনীতিতেও। অথচ এনসিপির রাজনীতিতে তার পূর্ববর্তী নাগরিক প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটির ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে নেই কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা। সে কারণে দেশবাসীও নতুন দলটির ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা পাচ্ছে না।
আত্মপ্রকাশের আড়াই মাস পেরোলেও শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি তৈরি করতে পারেনি বিপ্লবীদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বর্তমানে নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখে দলটি। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি গঠনতন্ত্র। সাড়া ফেলতে পারেনি তৃণমূলের রাজনীতিতেও। অথচ এনসিপির রাজনীতিতে তার পূর্ববর্তী নাগরিক প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটির ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে নেই কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা। সে কারণে দেশবাসীও নতুন দলটির ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা পাচ্ছে না।
এদিকে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন পর্যন্ত ব্যবহার করা হচ্ছে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে।
জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এনসিপিতে নাগরিক কমিটির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ভূমিকা কী হবে সেটি নিয়ে দলের অভ্যন্তরে এখন কোনো আলোচনা নেই। তবে নাগরিক কমিটিকে একটি সিভিক পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম বা প্রেশার গ্রুপ হিসেবে রেখে দেওয়া হবে- প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছিল। নাগরিক কমিটির যারা এনসিপিতে যুক্ত হতে ইচ্ছুক তারা কোন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবেন সেটি শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে।
তৃণমূলে এনসিপির সাংগঠনিক পরিস্থিতি জানতে চাইলে দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন, তৃণমূলে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলমের নেতৃত্বে দেশের দক্ষিণাঞ্চল আর উত্তরাঞ্চলের বিভাগগুলোতে জেলা কমিটি গঠন করতে দুটি পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলো এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাব তুলে ধরবে।
দক্ষিণাঞ্চলের আওতায় রয়েছে-পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশাল, কুষ্টিয়া, খুলনা, ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা দক্ষিণ (মহানগর ও জেলা)। উত্তরাঞ্চলের আওতায় রয়েছে-গাজীপুর, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর এবং ঢাকা মহানগর উত্তর।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২৮ এপ্রিল দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাবেদ রাসিনকে প্রধান করে গঠন করা হয় গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটি। আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অনুমোদিত কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে খসড়া গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের পর পেরিয়ে গেছে আরও এক সপ্তাহ।
জানতে চাইলে জাবেদ রাসিন বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন শুরু হওয়ায় সময়মতো গঠনতন্ত্রের কাজ শেষ করা যায়নি। গত সোমবার খসড়া গঠনতন্ত্র দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সভায় অতি দ্রুতই এটি উপস্থাপন করা হবে।
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘শর্ত মেনেই আইএমএফের ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ’। খবরে বলা হয়, মার্কিন ডলারের বিনিময় হারে আরও নমনীয়তা আসছে। এতে আরও বাড়তে পারে ডলারের দাম। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত মেনে বিনিময় হার নমনীয় করতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের শর্ত মেনে নেওয়ায় আন্তর্জাতিক সংস্থাটি তার চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে দুই কিস্তির অর্থ ছাড় করতে যাচ্ছে। সংস্থাটি ২ কিস্তিতে বাংলাদেশকে ১৩০ কোটি ডলার দেবে। আগামী জুনের মধ্যেই এ অর্থ বাংলাদেশে আসবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। তা থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ৩টি কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। এ ঋণের বাকি আছে আরও ২৩৯ কোটি ডলার। শর্ত পূরণ না হওয়ায় চতুর্থ কিস্তির ক্ষেত্রে এসে আটকে যায় অর্থছাড়। শুরুতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে আগামী জুন মাসে দুই কিস্তি একসঙ্গে পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু একপর্যায়ে তাতেও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
মূলত আইএমএফের সঙ্গে ডলারের বিনিময় হার নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে দর-কষাকষি চলে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তির পর্যালোচনা করতে গত ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত আইএমএফের একটি মিশন ঢাকা ঘুরে যায়। তাতেও কোনো সমঝোতা হয়নি। আলোচনা গড়ায় আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠক পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল ওই বৈঠক হয়। কিন্তু সেখানেও কোনো সমঝোতা হয়নি। এরপরই বাংলাদেশ ও আইএমএফ ৫ ও ৬ মে দুই দিন ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে বৈঠক করে। তাতেও কোনো সমঝোতা হয়নি। এর মধ্যে আইএমএফের ঋণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে শর্ত মানতে রাজি হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আইএমএফও কিছুটা ছাড় দেয়। এতেই খুলেছে কিস্তির অর্থছাড়ের পথ। এর পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়ানোর শর্তও ছিল। এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বড় ধরনের সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যুগান্তর
‘নয়া মেরুকরণের পথে রাজনীতি’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নয়া মেরুকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে দেশের রাজনীতি। দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার পর এখন দৃশ্যপটে নেই আওয়ামী লীগ। তাই এখন রাজনৈতিক শক্তিগুলো ভোটের মাঠে সুবিধা নিশ্চিত করতে কে কোন পথে হাঁটবে, কে কাকে পাশে টানবে-এ নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। এ নিয়ে রাজনীতির পালে নানামুখী হাওয়া বইছে। জানান দিচ্ছে নতুন মেরুকরণের আভাস।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, মাঠের ও ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি এখন দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী জায়গায় রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ও নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির মধ্যে আপাতত দ্বন্দ্ব দেখা গেলেও কতদূর যাবে তা পরিস্থিতি বলে দেবে। এবি পার্টির সঙ্গে এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি দলের হতে পারে এলায়েন্স। আবার বিএনপিও কাছে টানতে পারে তাদের। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি ইসলামপন্থি দলের মধ্যেও ‘নির্বাচনি সমঝোতা’ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাম ঘরানার অথবা সেক্যুলার ঘরানার রাজনৈতিক দলের মধ্যেও একটা ঐক্য তৈরি হতে পারে। সবার উদ্দেশ্য-ক্ষমতা ভাগাভাগির দরকষাকষিতে ভোটের আগে শক্তিশালী অবস্থান। আর এ লক্ষ্যে শিগগিরই পর্দার আড়ালে অনেক কিছু ঘটবে। যার প্রাথমিক তৎপরতা এখনই শুরু হয়েছে। তবে চলমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনি রোডম্যাপ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর চাপ আরও বাড়বে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিতের পর থেকে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে বিএনপি ও এনসিপির অবস্থান এখন অভিন্ন। সেক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গে এনসিপির জোট গঠন নিয়েও রয়েছে নানা গুঞ্জন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করার দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ‘আপত্তিকর’ স্লোগান নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমালোচনা দেখা যায়।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘মন্দা-বিভক্তির ধাক্কা রাজস্বে’। খবরে বলা হয়, অর্থনীতিতে স্থবিরতা। ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব। এর প্রভাবে রাজস্ব আয়ে বড় ঘাটতি। নতুন করে যোগ হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিভক্তি নিয়ে কর্মকর্তাদের ঢিলেমি।
এতে রাজস্ব আয়ে চলছে ‘গাছাড়া ভাব’। ফলে এটিও রাজস্ব ঘাটতিতে ঘি ঢালছে বলে কথা উঠেছে। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসেই রাজস্ব ঘাটতি ৭১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। কর্মকর্তাদের সম্মিলিত ‘কলমবিরতি’র ফলে দিনে গড়ে অন্তত এক হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।
টানা তিন দিন কর্মকর্তারা কাজ না করলে এই ঘাটতি প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। দাবি না মানলে এই আন্দোলন চলবে। এভাবে অব্যাহত ‘কলমবিরতি’ কিংবা আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হলে সামনে রাজস্ব আয়ে বড় ধাক্কা আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এটি হলে বাস্তবায়নও বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও আগের সরকারের সময়ের অর্থনৈতিক স্থবিরতার রেশ কাটিয়ে ওঠা যায়নি। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিনিয়োগে আস্থাহীনতা, ডলারের উচ্চ দর, উচ্চ সুদের হার, উচ্চ মূল্যস্ফীতি সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি শ্লথ করে দেয়; যার সরাসরি প্রভাব পড়ে রাজস্ব আয়ে। কারণ ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো না চললে, উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানের আয় না হলে সরকারও কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব পায় না। এ ঘটনাই ঘটছে চলতি অর্থবছর প্রায় পুরো সময়ে, যার প্রভাবে প্রতি মাসেই দীর্ঘ হয়েছে রাজস্ব ঘাটতি।
সমকাল
‘প্রতিশ্রুত গ্যাস এখনও মিলছে না’-এটি দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সংকট কাটাতে গত ৭ মে শিল্পে অতিরিক্ত ২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। সপ্তাহ পেরোলেও সংকটের তেমন উন্নতি হয়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্যাস সরবরাহ খুব একটা বাড়েনি। ভোগান্তি আগের মতো রয়ে গেছে। ২৫ কোটি ঘনফুটের বিপরীতে মিলছে মাত্র চার থেকে পাঁচ কোটি ঘনফুট গ্যাস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্যাস সংকটের কারণে ঢাকা, গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়ার অধিকাংশ পোশাক কারখানা দিনের বড় একটা সময় বন্ধ থাকছে। এর ফলে উৎপাদনে ধস নেমেছে। বিদেশি ক্রেতাদের পণ্য সময়মতো সরবরাহ করাতে পারছেন না শিল্প উদ্যোক্তারা। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রপ্তানি আয়। আগামী ঈদে সময়মতো শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। লোকসান ঠেকাতে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, গ্যাস সংকটে ঝুঁকিতে পড়েছে বস্ত্র ও তৈরি পোশাকশিল্পের ৭০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ। সমস্যার সমাধান চেয়ে সম্প্রতি জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে চিঠি পাঠায় টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। সংগঠনটির সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, গ্যাস সরবরাহে যে সংকট, তা অব্যাহত থাকলে বস্ত্রকলগুলোর উৎপাদন আরও কমে একসময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সামনে ঈদুল আজহায় শ্রমিকের বেতন-বোনাস পরিশোধে সংকট তৈরি হতে পারে। শ্রমিক অসন্তোষের শঙ্কাও রয়েছে বলে চিঠিতে সতর্ক করা হয়।
উদ্যোক্তারা বলছেন, গ্যাস সংকটে ঝুঁকিতে পড়েছে বস্ত্র ও তৈরি পোশাকশিল্পের ৭০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ। সমস্যার সমাধান চেয়ে সম্প্রতি জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে চিঠি পাঠায় টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। সংগঠনটির সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, গ্যাস সরবরাহে যে সংকট, তা অব্যাহত থাকলে বস্ত্রকলগুলোর উৎপাদন আরও কমে একসময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সামনে ঈদুল আজহায় শ্রমিকের বেতন-বোনাস পরিশোধে সংকট তৈরি হতে পারে। শ্রমিক অসন্তোষের শঙ্কাও রয়েছে বলে চিঠিতে সতর্ক করা হয়।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘পুশইন বন্ধে দিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্তে পুশইনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দিল্লিকে কূটনৈতিকপত্র দিয়েছে ঢাকা। গত ৯ মে পত্রটি দেওয়া হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
পত্রে বলা হয়েছে, পুশইনের পদক্ষেপ গভীর উদ্বেগের, যা চূড়ান্তভাবে সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলছে এবং জনমনে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করছে। পুশইনের পদক্ষেপ ১৯৭৫ সালের যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) ২০১১ এবং বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের আলোচনায় দুই পক্ষের পারস্পরিক সম্মত সিদ্ধান্তের পরিপন্থি।
চিঠিতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তির বাংলাদেশি নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বিদ্যমান প্রক্রিয়া মেনে বাংলাদেশ তাদের ফেরত নেবে। এর ব্যত্যয় হলে দুই দেশের বোঝাপড়ার মধ্যে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে। বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশের পরিবর্তে তাদের আদি নিবাস মিয়ানমারেই ভারতের ফেরত পাঠানো উচিত। কোনোভাবে ভারতীয় নাগরিকদের জোর করে বাংলাদেশে পুশইন করাটাও উচিত হবে না। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে এ ধরনের পুশইন অগ্রহণযোগ্য এবং তা পরিহার করা উচিত বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান জানান, ভারত থেকে এভাবে পুশইন করা সঠিক প্রক্রিয়া নয়। সে দেশে কোনো বাংলাদেশি থাকলে তাদের ফরম্যাল চ্যানেলে পাঠাতে হবে। সূত্র জানায়, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৮০ জনকে পুশইন করেছে ভারত।
বণিক বার্তা
‘ব্যাংক খাতে মাসে ১ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে দেশের ব্যাংকগুলোকে প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা ধার দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে গড়ে ৮৫ হাজার ৯০ কোটি টাকা ধার দেয়া হয়েছে রেপোর মাধ্যমে। রেপোর চেয়েও স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট বা বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় বেশি অর্থ ধার দিতে হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রতি মাসে বিশেষ এ ধারে ব্যাংকগুলোকে দেয়া হয়েছে ৯৬ হাজার ১৪ কোটি টাকা। দেশের মুদ্রাবাজারের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি করা ‘মানি মার্কেট ডাইনামিকস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন রেপোর চেয়েও স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট হিসেবে বেশি অর্থ ধার করছে। বর্তমানে রেপোর সুদহার ১০ শতাংশ। আর স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্টের সুদহার ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারিত রয়েছে। দৈনন্দিন লেনদেন শেষে কোনো ব্যাংক সিআরআর (আমানতের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নগদ জমা সংরক্ষণ) ঘাটতিতে পড়লে তবেই স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট নেয়।
তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো অর্থের জোগানের জন্য প্রথমে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে (কলমানি) যায়। সেখানে পর্যাপ্ত অর্থ না মিললে রেপোর মাধ্যমে মুদ্রাবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে ধার দেয়া ব্যাংকের কাছে সরকারি সিকিউরিটিজ বন্ধক রাখতে হয়। কলমানি কিংবা রেপোর মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে না পারলে তবেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। এক্ষেত্রে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে আবেদন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপোতে ধার নেয়া হয়। দৈনন্দিন লেনদেন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংরক্ষিত সিআরআর ঘাটতি দেখা দিলে স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট হিসেবে ব্যাংকগুলো অর্থ ধার করে। উভয় ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ড তথা সিকিউরিটি বন্ধক রাখতে হয়।
আজকের পত্রিকা
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘মডেল মসজিদে আসবাব সরবরাহে অভিনব শর্ত’। খবরে বলা হয়, সরকারি অর্থায়নে সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রকল্পের কাজ কোথাও শেষ, আবার কোথাও চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে কেনা হবে ২০ পদের আসবাব। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঠের তৈরি জানালা, মুর্দা বহনের খাটিয়া, কোরআন শরিফ রাখার রেহাল, টেবিল ও চেয়ার। কাঁঠাল বা সেগুন কাঠের তৈরি এসব আসবাব সরবরাহের দরপত্রে অংশ নিতে হলে পূরণ করতে হবে অভিনব নানা শর্ত। উদ্দেশ্য একটাই —যেন ২৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার কাজটি পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পায়।
প্রকল্পের একাধিক প্রকৌশলী এবং খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায়, ফার্নিচার সরবরাহের দরপত্রে অংশ নিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে ফার্নিচার ক্রয়ের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য শর্তের মধ্যে রয়েছে, সারা দেশের বিভাগীয় শহরে কমপক্ষে ১২টি শোরুম থাকতে হবে। প্রতি মাসে ১০০ কর্মীকে ব্যাংকিং চ্যানেলে বেতন দেওয়া হয় এমন শিট থাকতে হবে। কাঠ সিজনিং ও কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকতে হবে। এ ছাড়া সর্বশেষ ৩ বছরে ২৫০০ ফার্নিচার উৎপাদন ও সরবরাহের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের।
মডেল মসজিদ প্রকল্প প্রস্তাবে যেসব ফার্নিচার রাখা হয়েছে, সেগুলো সরবরাহের জন্য এমন জটিল শর্ত থাকার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে মনে করেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট একাধিক প্রকৌশলী। তাঁরা বলেন, মসজিদের জন্য ইতিপূর্বে যেসব আসবাব কেনা হয়েছে, সেখানে এমন জটিল বা অপ্রাসঙ্গিক শর্তগুলো ছিল না। ফলে অবাধ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে কেনাকাটা করা সম্ভব হয়েছে। এখানে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা বাংলাদেশে হাতে গোনা দু-তিনটি প্রতিষ্ঠান পূরণ করতে পারবে। তাই আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে, কোনো বিশেষ মহলকে সুবিধা দেওয়ার জন্যই এসব শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি পিপিআরও।
দেশ রূপান্তর
দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘সোনা পাচারে ২০৯ সিন্ডিকেট’। খবরে বলা হয়, সোনার দাম বাড়ছে, পাশাপাশি সোনা পাচারও বেড়ে চলেছে। প্রায় প্রতিদিন সোনার চালান আসছে বাংলাদেশে; বিভিন্ন এয়ারলাইনসে করে। শাহজালালসহ তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করছে চোরাচালানিরা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নানা কৌশল নিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না তাদের। সোনা পাচার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
সোনা পাচার নিয়ে শীর্ষ কর্তারা বৈঠক করছেন। গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ কারবারে কারা সম্পৃক্ত আছে। আন্তর্জাতিক একাধিক চক্র বাংলাদেশে সক্রিয়। তারা বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে অবস্থান করে। বাংলাদেশিরা তো রয়েছেই, ভারত, দুবাই, পাকিস্তান, সৌদি-আরব, চীন, মালয়েশিয়াসহ অন্তত দশটি দেশের মাফিয়ারাও আছে। তাদের কেউ কেউ আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। ইতিমধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর একটি তালিকা করেছে। তাতে ২০৯ জনের নাম রয়েছে। তালিকাটি গত মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউজের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ‘অবৈধ পণ্য ও সোনা ধরা পড়ছে। এ কারণে আমাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সব কর্মকর্তাকে বলে দেওয়া হয়েছে, অবৈধ পণ্য যেন কোনোভাবেই বের হতে না পারে। কর্মকর্তারা নির্দেশমতো দায়িত্ব পালন করছেন। কাস্টমসের প্রতিটি টিমের কর্মকর্তা তার সর্বোচ্চ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। গোয়েন্দা সোর্স আরও বাড়ানো হয়েছে। বিমানবন্দরে অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারাও সোনা পাচারকারীদের ধরার চেষ্টা করছেন।’