ঢাকা, ২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

রাজনীতি

যারাই ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছে, তারাই রাষ্ট্রকে ব্যবহার করেছে: জোনায়েদ সাকি

স্টাফ রিপোর্টার

(৪ দিন আগে) ২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ১২:১৮ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

mzamin

যারাই ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছে জনসম্মতি ছাড়া, তারাই রাষ্ট্রকে ব্যবহার করেছে।  এই রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামো শুরু থেকেই স্বৈরতান্ত্রিক, ক্ষমতা একজন ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রিভূত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী।

রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সকাল ১০ টায় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, গণসংহতি আন্দোলন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার এবং বাংলাদেশের সকল জনগণের বিশেষত সংখ্যাগরিষ্ঠ মেহনতি মানুষের জন্য নাগরিক মর্যাদা, অধিকারের একটি সমন্বিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য লড়াই করছে। এই লড়াই ১৯৭১ সালের যে মুক্তি সংগ্রাম স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্যদিয়ে গেছে, সেই যুদ্ধের মধ্যে যে ঘোষিত অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা প্রতিটি নাগরিকের জন্য। তাকে আমরা অবলম্বন করার চেষ্টা করেছি। আমরা দেখেছি ’৭২ সাল থেকেই এই দেশে যুদ্ধের মধ্যদিয়ে প্রতিশ্রুতি তৈরি হয়েছিল যা জাতীয় ঐক্য তৈরি করেছিল। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশ পরিগঠিত হয়নি, পরিচালিত হয়নি। দেশের পরিগঠনে সংবিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র যখন পরিগঠিত হয়। সেই সংবিধানেই আমরা লক্ষ্য করেছি যে ১৯৭১ সালেই আমাদের যে সংবিধান হলো, তার ভিত্তিকেই অস্বীকার করা হয়েছে। সেটা সংবিধানেও স্থান পায়নি।

তিনি আরও বলেন,  সেই প্রক্রিয়ায় আমরা মনে করেছি জনগণ একটি রিপাবলিকের কেন্দ্রবিন্দু, জনগণের হাতেই রিপাবলিকের ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে। সেই দিক থেকে জনগণকে নিয়ে যদি রাষ্ট্র পরিগঠিত না হয়, জনগণকেই প্রাধান্যের জায়গায় রাখা- সেটা  যখন দৃষ্টি কর্মতৎপরতার মধ্যে না থাকে, তখন ধীরে ধীরে এমন এক ক্ষমতার সম্পর্ক তৈরি হয় যারা রাষ্ট্রপরিচালনার জায়গায় থাকে, তারা শাসক হতে থাকে। তারা এক ধরণের অধিপতির রূপ নেয়, এবং এটা থেকেই কর্তৃত্ববাদ, ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতন্ত্রের জন্ম নিতে থাকে।

জুলাই অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা দেশের শাসক হিসেবে থেকে এবং একটি ঐতিহ্যবাহী দল তার নেতৃত্ব দিয়ে ক্ষমতা রক্ষার জন্য নিজের দেশের মানুষ, সন্তানদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ আগেও ভাষার অধিকার থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। জুলাই আগস্টে দেখলাম মানুষের যখন সামষ্টিক, জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় তখন ব্যক্তির প্রাণ তুচ্ছ হয়ে উঠে। মানুষ তার জীবন দিয়ে সম্মান রক্ষা করে। এই ঐতিহাসিক সত্যকে বাংলাদেশের মানুষ আবার প্রতিষ্ঠা করেছে।

সাকি আরও বলেন, যতগুলো প্রস্তাব এসেছে, সেগুলোর মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের যেগুলোতে ঐকমত্য তৈরি হবে- সেটাই জাতীয় সনদ, জুলাই সনদ আকারে হাজির হবে। দ্বিমত নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। সেটা একটি নির্বাচন  প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যেতে হবে। জনগণ যাদের নির্বাচিত করবে তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। ঐকমত্যের মধ্য দিয়েই গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে হাঁটবে বাংলাদেশ।

বৈঠকে  গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত হয়েছেন। অন্যদিকে  জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজের নেতৃত্বে উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি মনির হায়দার।

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

রাজনীতি সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status