খেলা
সৌম্যের ১৫০, বড় জয় রূপগঞ্জের
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার
সৌম্য সরকার যেদিন খেলেন, বড় ইনিংসই খেলেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে আবারও সেটির প্রমাণ করলেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার। বিকেএসপিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ১১২ বলে ১৫৩ রান করেন সৌম্য। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তার নবম সেঞ্চুরি। যদিও সেঞ্চুরি করতে তিন তিনবার জীবন পেয়েছেন সৌম্য। তার ৯ সেঞ্চুরির চারটিতেই ১৫০ ছুঁয়েছেন এই বাঁহাতি। এর একটি আবার ২০৮ রানের ইনিংস। যেটি এই সংস্করণে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৫০ ছোঁয়া ইনিংস খেলার রেকর্ডও এখন সৌম্যর। তিনটি ১৫০ ছোঁয়া ইনিংস নিয়ে দুইয়ে তামিম ইকবাল। তার সেঞ্চুরিতে ভর করেই আগে ব্যাট করে ৩৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় রূপগঞ্জ। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৩০ রানে অল আউট হয় অগ্রণী ব্যাংক। ফলে ১০৩ রানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। এদিন বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অগ্রণীর ওপেনাররা ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি। ৪৭ রানে ভাঙে তাদের ওপেনিং জুটি। ইমরানুজ্জামানের ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ২৯ রান। ৪৮ রানের মাথায় ফিরে যান আরেক ওপেনার অমিত হাসান। অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তিনি ফিরেছেন ২৩ রান করে। মিডল অর্ডারে শুভাগত হোম করেন ১৮ বলে ৩৯। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ৯৬ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন মার্শাল আইয়ুব। তবে তাকে কেউ যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষদিকে জাহিদ জাভেদ ৩৯ বলে ২১ রান করলেও রূপগঞ্জের দেয়া লক্ষ্যের ধারে কাছেও যেতে পারেনি অগ্রণী ব্যাংক। রূপগঞ্জের হয়ে একাই ৩ উইকেট নেন সাইফ হাসান। দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, স্বাধীন ইসলাম ও টিপু সুলতান। একটি উইকেট পান আব্দুল হালিম। এই ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে সাইফ হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম মিলে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রূপগঞ্জকে। দুজনে মিলে যোগ করেন ৮১ রান। তানজিদ ও সাইফ ফেরেন ৪৩ রান করে। এরপর মেহেদী মারুফ ২৪ রান করে আউট হলেও সৌম্য আফিফ হোসেনকে নিয়ে রূপগঞ্জকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন। মারুফকে নিয়ে সৌম্য তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৭৭ রান। চতুর্থ উইকেটে আফিফকে নিয়ে ১৬১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে রূপগঞ্জকে বিশাল পুঁজি এনে দেন সৌম্য। ১৫৩ রানের ইনিংস খেলায় পথে সৌম্য উইকেটে ছিলেন ১৬১ মিনিট। তার ইনিংস সাজানো ছিল ১৭ চার আর ৬ ছক্কায়। আফিফ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৫ বলে ৪৯ রান করে।