খেলা
নাহিদ-রিশাদের সঙ্গে ফেরানোর চেষ্টা চলছে দুই সাংবাদিককেও
স্পোর্টস রিপোর্টার
১০ মে ২০২৫, শনিবার
পাকিস্তান ক্রিকেট লীগে (পিএসএল) খেলতে গেছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। এই দুই ক্রিকেটারের খেলা কাভার করতে পাকিস্তান গেছেন বাংলাদেশের দুই সাংবাদিক। একজন বিডিক্রিকটাইমের মাহরুশ প্রত্যয় অন্যজন ক্রিকফ্রেঞ্জির তাসফিক পলক। নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসানের সঙ্গে তাদেরও ফেরানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পাকিস্তান সুপার লীগে খেলতে যাওয়া বিদেশি ক্রিকেটারদের চার্টার্ড ফ্লাইটে করে দুবাই পাঠাতে যাচ্ছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেনও আছেন এই তালিকায়। চার্টার্ড ফ্লাইটে দুবাই হয়ে দেশে ফিরবেন তারা। বিসিবি’র প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন এই বিমানেই বাংলাদেশের দুই সাংবাদিককে ফেরানোর চেষ্টা করছেন তারা।
এ বিষয়ে ফারুক বলেন. ‘আমি সার্বক্ষণিক পিসিবি’র সিইও’র সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমি তার কাছে ওদের নাম পাঠিয়েছি। ক্রিকেট বোর্ড থেকেও শাহরিয়ার নাফিস যোগাযোগ করছে। আমি আশাবাদী ক্রিকেটারদেও সঙ্গে ওদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দুবাই পাঠাতে পারবো। সেখান থেকে টিকেট ম্যানেজ করে ওদের দেশে আনা হবে।’ এই মুহূর্তে রাওয়ালপিন্ডির টিম হোটেলে আছেন ক্রিকেটাররা। আর পলক ও প্রত্যয় আছেন লাহোরে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারত। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম লাগোয়া ফুড স্ট্রিটের একটি ভবন। এই ঘটনার পর রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল এ মাঠেই মুখোমুখি হওয়ার কথা রিশাদের দল লাহোর কালান্দার্স ও নাহিদ রানার দল পেশোয়ার জালমির। কিন্তু ওই ঘটনার পর বিদেশি ক্রিকেটাররা খেলতে অস্বীকৃতি জানান। বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকও করে পিসিবি। কিন্তু শেষ ক্রিকেটারদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে। বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারও বিসিবিকে তাদের ফিরে আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। বিসিবিও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে কবে, কখন বাংলাদেশি দুই ক্রিকেটার ফিরছেন সেই ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। এদিকে পিসিবি’র মুখপাত্র আমির মীর পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনকে বলেছেন, ‘আকাশসীমা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বিদেশি ক্রিকেটারদের এখন দেশ (পাকিস্তান) ছাড়ার কোনও সুযোগ নেই। তবে তারা এখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আছে।’