বাংলারজমিন
কর্ণফুলীতে জাল দলিল করে ওয়াক্ফ সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ
কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবারচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে শিকলবাহা ইউনিয়নে হাজী আছন আলী চৌধুরীর ২১৪ কানি ওয়াক্ফ সম্পত্তির মধ্যে জাল জালিয়াতি দলিল তৈরি করে বিক্রি করে অভিযোগ উঠেছে হামিদ চৌধুরী বিরুদ্ধে। বোরবার (২০শে এপ্রিল) দুপুরের দিকে মজ্জ্যারটেকে আল মদিনা রেস্টুরেন্টে হাজী আছন আলী চৌধুরীর নাতি জনাব আলী চৌধুরী অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেন। হাজী আছন আলী চৌধুরীর নাতি মোতাওয়াল্লী জনাব আলী চৌধুরী জানান, বিগত সরকার আমলে আমাদের ওপরে যে অন্যায়-অবিচার করা হয়। তা এখনো বিদ্যমান। হাজী আহছান আলী চৌধুরী ২১৪ কানি ওয়াক্ফ করে দান করে দলিল করে যান। তিনি দলিলে উল্লেখ করেন আমি প্রতিষ্ঠাতা মোতাওয়াল্লী হয়ে এ ওয়াক্ফ শাসন করি। আমার মৃত্যুর পরে আমার যে পুত্র বয়োজৈষ্ঠ তিনিই মোতাওয়াল্লীর দায়িত্ব পালন করবেন। আমার পরিবারের পুত্র মোতাওয়াল্লী নিয়োগ হবেন। পর্যায়ক্রমে একের পর এক বয়োজ্যেষ্ঠগণ মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হবেন। তিনি দলিলে এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, একের অধিক মোতাওয়াল্লী হবে না। সাবেক মোতাওয়াল্লী আয়ূব আলী চৌধুরী ২০১৪ সালে মৃত্যুবরণ করার পরেও আইনগতভাবে জনাব আলী চৌধুরী মোতাওয়াল্লী। ২০১২ সালে হাজী আছন আলীর দলিল অবমাননা করে হামিদ চৌধুরী, যুগ্ম মোতাওয়াল্লী হন। আমি আয়ূব আলী চৌধুরীর মৃত্যুর পরে যখন মোতাওয়াল্লী হওয়ার জন্য আবেদন করি, তখন থেকে অবৈধ যুগ্ম মোতাওয়াল্লীগণ আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট এমপি ও মন্ত্রীদের সহযোগিতায় তারা আমাকে অনেক নির্যাতন করে ও মিথ্যা মামলা দেয়। পুলিশ এবং র?্যাব দিয়ে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে। আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।
স্থানীয় সূত্র বলছে, হাজী আছন আলী মসজিদের মোতাওয়াল্লী হওয়ার আগে সম্পদ বলতে কিছুই ছিল না হামিদের। জাল-জালিয়াতি করে অল্পদিনেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। এখন চলা ফেরা করেন পাজেরো গাড়িতে। মসজিদের জন্য প্রতি মাসে লাখ টাকা উঠানো হয় ভাড়া বাবদ। কিন্তু এই হিসাবে কাউকে না দিয়ে নিজের পকেটে রাখা হয়। হাজী আছন আলী মসজিদের যুগ্ম মোতাওয়াল্লী হামিদ চৌধুরী বলেন, আছন আলী আমার দাদা। আলী আছন আলীর কিছু হয় না। তার বাবা পালক ছেলে। তারা কোনো সম্পদ পাবে না। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই। তারা সংবাদ সম্মেলন আমাকে জড়িয়ে যা বলেছে- মিথ্যা ও বানোয়াট।