দেশ বিদেশ
হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেল শাশুড়ি অতঃপর...
মানবজমিন ডেস্ক
২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবারপরকীয়া যেন থামছেই না ভারতের উত্তর প্রদেশে। এতে ভাঙছে একের পর এক সংসার। কখনও ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। এমনই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে আলীগড়ে। নিজের মেয়ের বিয়ের এক সপ্তাহ আগে ৮ই এপ্রিল হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে যায় পাত্রীর মা স্বপ্না দেবী (৪০)। যাওয়ার সময় নিজের সঙ্গে নগদ সাড়ে তিন লাখ রুপি ও ৫ লাখ রুপির গহনা নিয়ে যায়। যদিও কিছুদিনের মধ্যেই ফিরে এসেছে ওই যুগল। তবে স্বামীর ঘর আর করবে না স্বপ্না। প্রেমিকের সঙ্গে থাকবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। ১৬ই এপ্রিল স্বপা দেবীর মেয়ে শিবানির সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল রাহুলের। তবে এর আগেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে বসে রাহুল ও স্বপ্না। স্বামী ও মেয়ের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনে স্বপ্না দেবী। এ কারণে তাদের কাছে আর ফিরে যাবে না বলে জানায় সে। শিবানি বলেন, ১৬ই এপ্রিল তার আর রাহুলের বিয়ের কথা ছিল। বিয়ের কার্ডও ছাপানো হয় এবং পুরোদমে চলছিল বিয়ের প্রস্তুতি। এদিকে স্ত্রীর খোঁজ না পেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন স্বপ্না দেবীর স্বামী জিতেন্দ্র কুমার। এর পরই বিষয়টি খোলাসা হতে থাকে। স্বপ্না দেবী যেদিন পালিয়ে যায় ওইদিন সন্ধ্যা থেকে রাহুলেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাহুল দাবি করছে সে স্বপ্নার জীবন বাঁচিয়েছে। আরও বলে, আমরা দুইজন একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফিরে আসার পর আলীগড় পুলিশ ১২ ঘণ্টা ধরে তাদের কাউন্সেলিং করে। স্বপ্্নাকে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলানোর ব্যবস্থা করে দেয়া হয় বলে জানান- কর্মকর্তারা। তবে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় সে। এদিকে স্বপ্না যে গহনা ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায় তা ফেরত চেয়েছেন তার মেয়ে শিবানি। বলেন, আমার মা আমাদের জন্য ১০ রুপিও রাখেনি। রাহুল তাকে যা বলেছে সে তাই করেছে। সে যা ইচ্ছা করুক। তা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমরা শুধু ওই গহনা আর নগদ অর্থ ফেরত চাই। এদিকে স্বপ্না দেবীর স্বামী দাবি করেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত অর্থ ও গহনা ফেরত না পান ততক্ষণ স্বপ্না ও রাহুলকে কোথাও যেতে দেবেন না। আরও বলেন, তিনি ওই দু’জনকে বেশ কয়েকবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলতে শুনেছেন। তবে মেয়ের সঙ্গে রাহুলের বিয়ে ঠিক হওয়াতে তিনি কিছুই বলেননি।