দেশ বিদেশ
ভারতীয় পণ্যের জন্য বাজার খুলতে আগ্রহী চীন
মানবজমিন ডিজিটাল
২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবারবিশ্বব্যাপী বাণিজ্য নিয়ে যখন উত্তেজনা বাড়ছে, তখন ভারত-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে। ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার মধ্যে চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ৯৯.২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বেইজিং বৃহত্তর অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে চীনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং জানিয়েছেন, ভারতীয় পণ্যগুলোকে চীনের বিশাল ভোক্তা বাজারে প্রবেশ করতে সহায়তা করার জন্য বেইজিং আগ্রহী। তার আশা, ভারতও চীনা সংস্থাগুলোকে ভারতে ব্যবসা করার স্বচ্ছ ও বৈষম্যহীন পরিবেশ দেবে।
ফেইহং বলেছেন, ‘চীন কখনোই ইচ্ছাকৃতভাবে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ায়নি।’ দায়িত্ব নেয়ার পর এটি ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে জু’র প্রথম সাক্ষাৎকার এবং তার কথাগুলো দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক গতিশীলতার সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
চীনের বিশাল বাজার ভারতীয় রপ্তানিকারকদের জন্য বাণিজ্যিক সুযোগ তৈরি করলেও জু ভারতকে তার সীমান্তের মধ্যে পরিচালিত চীনা উদ্যোগগুলোর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ন্যায্য, স্বচ্ছ ও বৈষম্যহীন আচরণের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। জু ফেইহং আরও বলছেন, “ভারত-চীন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক পারস্পরিক লাভ ও একেবারেই ‘উইন-উইন’ সহযোগিতার।”
গত মাসেই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজারের জন্য বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের সুযোগ সরবরাহ করতে চান। জু-এর কথায়, চীনের বিশাল বাজারকে মূল্যায়ন করলে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর সামনে আরও বেশি বাণিজ্যিক সুযোগ আসবে। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় কাঁচামরিচ, সুতা ও লৌহ আকরিক রপ্তানি বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ২০২৪ অর্থবর্ষে এই পণ্যগুলোর রপ্তানির পরিমাণ যথাক্রমে ১৭%, ২৪০% ও ১৬০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
জু বলেন, ‘বেইজিং প্রিমিয়াম ভারতীয় পণ্যের বৃহত্তর প্রবাহকে সমর্থন করতে প্রস্তুত। ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে চীনা গ্রাহকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য চীনা আন্তর্জাতিক আমদানি এক্সপো এবং চীন-দক্ষিণ এশিয়া এক্সপোর মতো বাণিজ্য প্ল্যাটফরমগুলো সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।’
সংলাপের মাধ্যমে সংঘাত এড়ানোর বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে জু বলেন যে, স্থিতিশীল ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের জন্য সম্পৃক্ততা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘চীন এই বছর আসন্ন সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে’ প্রস্তুত।’
সূত্র: ইকোনমিক টাইমস