দেশ বিদেশ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাঁচ মাসে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল আমদানি
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম সহনীয় রাখতে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছিল সরকার। এ ঘোষণার পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত পাঁচ মাসে ভারত থেকে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল আমদানি হয়েছে। সর্বশেষ ১৩ই এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২০০ টন চাল আমদানি হয়েছে। এরপর এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজীব নাজির এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ১৭ই নভেম্বর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়ে শেষ হয় ১৫ই এপ্রিল। এ সময়ে তিন লাখ ৯২ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সর্বশেষ ১৩ই এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আমদানি করা ২০০ টন নন-বাসমতী চালবোঝাই ছয়টি ট্রাক বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। এ নিয়ে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বেসরকারিভাবে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ৭৩ হাজার টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ ১৯ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সময় স্বল্পতার কারণে চাল আমদানি করতে পারেনি। প্রথমে সরকার ঘোষিত আমদানির মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ২২শে ডিসেম্বর। এই সময়ের মধ্যে আশানুরূপ চাল আমদানি না হওয়ার সময় চার দফা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ১৫ই এপ্রিল খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বন্ধ করা হয়।
তবে যেসব চাল আমদানি হয়েছে তার মধ্যে মোটা চাল প্রতি টন ৩৯০-৪০০ মার্কিন ডলার, চিকন চাল প্রতি টন ৪৫০-৪৭০ ডলার মূল্যে আমদানি হয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় এসব চাল খালাস দেয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এখন আর চাল আমদানি করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা। চাল আমদানিকারক আলাউদ্দিন জানান, সরকারি চুক্তি অনুযায়ী ১৫ই এপ্রিল চাল আমদানির শেষ সময় ছিল। এখনো ওপারে তার এক হাজার টন চাল দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। আরেক চাল আমদানিকারক নুরুজ্জামান কনক জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানিকৃত মোটা চাল প্রতি কেজি ৫২- ৫৩ টাকা, চিকন চাল ৭০-৭২ টাকা দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মঙ্গলবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। চাল আমদানির বর্ধিত চতুর্থ ধাপের সর্বশেষ সময় ছিল ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত। গত পাঁচ মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল আমদানি হয়।