দেশ বিদেশ
ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটিতে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ২
মানবজমিন ডিজিটাল
১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
আমেরিকায় ফের বন্দুকধারীর হানা। এবার ফ্লোরিডার স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালালো ২০ বছরের শিক্ষার্থী। ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও ৬। ঘটনার আকস্মিকতায় রীতিমতো চমকে যায় ফ্লোরিডা প্রশাসন। দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর এবং সংলগ্ন এলাকায় জারি করা হয় লকডাউন। জরুরি সতর্কতাও জারি করে ফ্লোরিডা পুলিশ। হামলাকারী ওই ছাত্রকে গুলি করে পুলিশ। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, চিকিৎসা চলছে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ফিনিক্স ইকনার। বয়স ২০। তিনি নিজেই ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র এবং লিওন কাউন্টি শেরিফের দপ্তরের একজন ডেপুটি শেরিফের ছেলে। এমনকি তিনি খবড়হ ঈড়ঁহঃু ঝযবৎরভভং ঙভভরপব ণড়ঁঃয অফারংড়ৎু ঈড়ঁহপরষ-এর সদস্যও ছিলেন। ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির পুলিশ জানিয়েছে, ইকনার তার মায়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেই এই হামলা চালান। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও তার কাছে একটি শটগান পাওয়া গেছে, যদিও তা তিনি ব্যবহার করেছিলেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে জানা যায়, কিছু প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, প্রথমে ইকনার একটি রাইফেল ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেন, তারপর সেটি ফেলে পিস্তল দিয়ে গুলি চালাতে থাকেন। ঘটনার পরপরই ৪৪ হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রীর এই ক্যাম্পাসে জরুরি লকডাউন জারি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, ‘দয়া করে সব দরজা-জানালা বন্ধ করুন এবং নিরাপদ আশ্রয়ে থাকুন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে।’ একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়, যাতে কেউ ক্যাম্পাসে না আসেন এবং সবাই ঘরের মধ্যে থাকেন। সেইদিনের সমস্ত ক্লাস ও অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যারা ক্যাম্পাসে আসেননি, তাদের স্পষ্টভাবে জানানো হয় ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকতে। জরুরি অবস্থায় যোগাযোগের জন্য ৯১১ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশও দেয়া হয়। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী পাউলা মালডোনাডো এবিসি নিউজকে বলেছেন, তিনি ছাত্র ইউনিয়নের কাছে ক্লাসে ছিলেন। ঠিক তখনই বাইরে চিৎকারের শব্দ শুনতে পান। পাউলা বলছেন, এরপরই বিপদ ঘণ্টা বেজে ওঠে। আমরা ক্লাসের সবাই দ্রুত আলো নিভিয়ে দিই, ক্লাসরুমে লুকিয়ে পড়ি। ঠিক কী কারণে হঠাৎ ২০ বছরের ওই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হামলা চালালেন, সেটা স্পষ্ট নয়। এর নেপথ্যে কোনো ধরনের প্ররোচনা কাজ করছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনা আরও একবার আমেরিকার অস্ত্র আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। ২০০৭ সালে ভার্জিনিয়া টেকে ঘটা ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞে ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন। ২০২৩ সালেও দু’টি বড় কলেজ শুটিংয়ের ঘটনা ঘটে। একটি মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ৩ জন ছাত্র নিহত হন। অপরটি ইউনিভার্সিটি অব নেভাডা, লাস ভেগাসে, যেখানে ৩ জন অধ্যাপক প্রাণ হারান। স্কুলগুলোতেও এ ঘটনা নতুন নয়। সূত্র: এবিসি নিউজ