খেলা
দুদকের অভিযান প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি
‘কোথা থেকে কী বেরিয়ে আসবে বলতে পারছি না’
স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবারসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিগত বছরগুলোতে হওয়া দুর্নীতি খুঁজে বের করার ঘোষণা দেন ফারুক আহমেদ। তবে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এসব বিষয়ে তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার আকস্মিক বিসিবিতে অভিযান চালান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তারা। ওই দিনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সভা শেষে দেশে ফেরেন ফারুক। এরপর গতকাল দুদকের অভিযান নিয়ে ফারুক বলেন, ‘কোথা থেকে কী বেরিয়ে আসবে বলা যাচ্ছে না, তবে তদন্ত চলুক।’
গতকাল ঢাকায় শিশুদের একটি খেলা উদ্বোধন করতে গিয়ে বিসিবিতে দুদকের অনুসন্ধান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন ফারুক আহমেদ। যেখানে দুদককে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘যেদিন দুদক বিসিবিতে অভিযান চালিয়েছে, সেদিন রাতেই আমি দেশে ফিরেছি। আমার মনে হয়েছে, তারা কারও নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে এসেছে। বোর্ড হিসেবে আমরা সর্বাত্মকভাবে তাদের সহযোগিতা করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সিইওকে বলে দিয়েছি, তারা যেসব নথিপত্র চেয়েছে, সেগুলো দিয়ে সহযোগিতা করতে। সিইও ইতিমধ্যে সে বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।’
তবে দুদকের অনুসন্ধান নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি ফারুক। তিনি বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তারা যেকোনো তথ্য বা কাগজপত্র চাইলেই তা যেন দেওয়া হয়, আমি সেই নির্দেশনা দিয়ে রেখেছি। তাদের অনুসন্ধান কতদূর এগিয়েছে বা কতদিন চলবে, তা নির্দিষ্ট করে এখনই বলা যাচ্ছে না। কোথা থেকে কী বেরিয়ে আসবে, তাও বলতে পারছি না। তবে তদন্ত চলুক।’
সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে বেশ কয়েকটি সন্দেজনক আউট দেখা গেছে। লীগ পর্বে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে শাইনপুকুরের দুই ব্যাটারের সন্দেহজনক আউট রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়। এ নিয়ে ফারুক বলেন, ‘এবার ঘরোয়া ক্রিকেটে পাতানো ম্যাচ খেলার প্রবণতা কিছুটা কমেছে। পুরোপুরি অবশ্য বন্ধ হয়নি। কিছু টিম বাছাইপর্বে দুটি করে দল তুলেছে। তারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে এটা করেছে? তদন্ত করে বোঝার চেষ্টা করছি, কোথায় কোথায় দুর্নীতি থাকতে পারে। কিছু পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব আমরা।’
পাতানো খেলার দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব বোঝাতে বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘পাতানো খেলা থাকলে আপনি কখনোই ভালো খেলোয়াড় পাবেন না। আপনি সেরা ব্যাটারকে বলবেন ডাক করে আউট হতে, সেরা বোলারকে বলবেন ওয়াইড বা নো বল দিয়ে উইকেট না নিতে। এটা তো খেলা না। আমরা এটা বন্ধ করতে চাই। একটা টেকনিক্যাল কমিটি আছে। তদন্ত হবে, তদন্তে যদি কোনো অপরাধ বা অনিয়ম প্রমাণিত হয়। তাহলে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’