বিশ্বজমিন
অর্থ কেলেঙ্কারির মামলায় পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রীর ১৫ বছরের কারাদণ্ড
মানবজমিন ডেস্ক
(২ দিন আগে) ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৩:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

অর্থ কেলেঙ্কারির মামলায় পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্টা হুমালা এবং তার স্ত্রী নাদিন হেরেদিয়াকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। এ খবর দিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। এতে বলা হয়, দেশটির উচ্চ আদালতের বিচারকরা দেখেছেন যে, ২০০৬ এবং ২০১১ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্রাজিলিয়ান নির্মাণ জায়ান্ট ওডেব্রেখটের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ নিয়েছিলেন হুমালা ও তার স্ত্রী। ভেনেজুয়েলার সরকারের কাছ থেকেও অবৈধভাবে অনুদান নিয়েছিলেন ওই প্রেসিডেন্ট দম্পত্তি । যে অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার। উভয় নির্বাচনী প্রচারণায় পরিচালকের ভূমিকায় ছিলেন হুমালার স্ত্রী। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্থ গ্রহণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রমাণিত হয়েছে। বিচারপতি নাইকো করোনাডো হুমলা ও হেরেদিয়াকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। এই রায়ের পর হেরেদিয়া দেশটির রাজধানী লিমায় অবস্থিত ব্রাজিলের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তারা জানিয়েছে যে, ১৯৪৫ সালের কূটনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত কনভেনশনের অধীনে আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দিয়েছেন হেরেদিয়া। তার ভাই ইলান হেরেদিয়াকেও একই মামলায় ১২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে লিমার বার্বাডিলো কারাগারে সাজা ভোগ করবেন হুমালা। এই কারাগারে পেরুর সাবেক কয়েকজন প্রেসিডেন্টও বন্দী রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধেও অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দুই দশকের মধ্যে হুমালা পেরুর তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যাকে ওডেব্রেখট কেলেঙ্কারির জন্য সাজা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো টোলেডো।
অন্যদিকে আলবার্তো ফুজিমোরি একাধিক অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায়, তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হুমালা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওডেব্রেখট অর্থ কেলেঙ্কারির মামলায় তদন্ত শুরু হয় ২০১৫ সালে। ল্যাটিন আমেরিকা জুড়ে ওডেব্রেখটের ব্যাপক ঘুষ লেনদেনের খবর জানাজানি হওয়ার এক বছর আগে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে দেশটির তদন্তকারীরা।