বিশ্বজমিন
সুদানে পাল্টা সরকার গঠনের ঘোষণা আধাসামরিক বাহিনীর
মানবজমিন ডেস্ক
(২ দিন আগে) ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:১৬ অপরাহ্ন

সুদানে পাল্টা সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির আধাসামরিক বিদ্রোহী গ্রুপ র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। ক্ষমতার জন্য রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের দুই বছরের মাথায় এ ঘোষণা দিলো তারা। জাতিসংঘ বলেছে, তাদের দ্বন্দ্বের ফলে বিশ্বের বৃহত্তর মানবিক সংকটে পতিত হয়েছে দেশটির মানুষ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, সুদানের বাস্তবসম্মত ভবিষ্যৎ নির্মাণের লক্ষ্যেই পাল্টা সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আরএসএফ- এর নেতা মোহাম্মদ হামদান ‘হেমেদতি’ দাগালো। বলেছেন, আরএসএফ একমাত্র দল যারা সুদানের বাস্তবসম্মত ভবিষ্যৎ তৈরি করছে।
এমন এক সময় এই সরকার গঠনের ঘোষণা এলো যখন সুদানে গৃহযুদ্ধের দুই বছর উপলক্ষে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের আয়োজন করেছে লন্ডন। সেখানে শান্তির পথ বেছে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি।
বর্তমানে সুদানের সরকারি দলের সঙ্গে তীব্র লড়াই করছে আরএসএফ। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহর এল ফাশারের বাইরে আরএসএফ- এর ঘাঁটিগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছে তারা। তাদের এই সংঘাতে জমজম শরণার্থী শিবিরের লাখ লাখ মানুষ তাদের আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
হেমেদতি বলেন, ব্যক্তি কেন্দ্রিক রাষ্ট্র নয়, বরং রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে আরএসএফ। টেলিগ্রামে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আমরা আধিপত্য চাই না, বরং ঐক্য চাই। আমরা বিশ্বাস করি যে কোনো উপজাতি, অঞ্চল বা ধর্ম সুদানি পরিচয়ের ওপর একচেটিয়া প্রভাব রাখে না। বিবৃতিতে তিনি যোগ করেন, তাদের সরকার কেবল আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত এলাকাই নয়, বরং দেশের সকল স্থানে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদান করবে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, আরএসএফ- এর গত কয়েক দিনের হামলায় চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি।
গত দুই বছর ধরে সুদানে ক্ষমতার জন্য সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে আরএসএফ এবং সরকারি বাহিনী। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তারা সাধারণ সুদানিদের ওপর গণহত্যা এবং যৌন সহিংসতা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িত রয়েছেন হেমেদতি। ফলত দেশটিতে তৈরি হয়েছে তীব্র মানবিক সংকট তীব্র। তাদের দ্বন্দ্বের ফলে এ পর্যন্ত দেড় লক্ষাধিক মানুষ নিহত এবং এক কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
পাঠকের মতামত
মুসলিম দেশগুলো এগুলি ই করবে। ক্ষমতার লোভ। গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাই নাই।