অনলাইন
ইলেকট্রনিক্স পণ্যের উপর মোটেও শুল্ক ছাড়ের কথা ঘোষণা করেননি, জানালেন ট্রাম্প
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ সপ্তাহ আগে) ১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ১:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৩৫ অপরাহ্ন

কেউই শুল্কের কোপ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। জানিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সরকারের তরফে সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়, বৈদ্যুতিক পণ্যের উপর কোনওরকম পারস্পরিক শুল্ক চাপানো হবে না। স্মার্টফোন, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিক চিপসের পাশাপাশি অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস যার মধ্যে রয়েছে সেমিকন্ডাক্টর, সোলার সেল, ফ্ল্যাট প্যানেল টিভি ডিসপ্লে, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড। এখানে চীনের নাম না নিলেও আদতে এই নীতি চীনের উদ্দেশে লাগু হচ্ছে, এমনটাই মত ছিল ওয়াকিবহাল মহলের। কারণ, বৈদ্যুতিক শিল্পের ক্ষেত্রে যেহেতু বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানুফ্যাকচারিং হাব চীন। এই আবহে রবিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘শুল্ক থেকে মুক্তি নেই। কারণ স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য পণ্যগুলোতে এখনও বিদ্যমান ২০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য এবং পণ্যগুলো একটি ভিন্ন শুল্ক ‘বাকেটে’ স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে বলেছেন, 'আমরা অন্য দেশগুলোর কাছে, বিশেষ করে চীনের মতো শত্রুভাবাপন্ন জাতির কাছে জিম্মি থাকব না।
রবিবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, তিনি আগামী সপ্তাহে সেমিকন্ডাক্টরের উপর নতুন শুল্ক ঘোষণা করবেন। প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘শুল্ক খুব শীঘ্রই কার্যকর হবে। এই খাতের কিছু কোম্পানির জন্য ছাড় থাকবে।’
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এর আগে বলেছিলেন যে, উচ্চ-প্রযুক্তি পণ্যের উপর স্থগিতাদেশ (যার মধ্যে অনেকগুলো চীনে তৈরি হয়) অস্থায়ী। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টরে শুল্ক কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে ওয়াশিংটন চীনা পণ্যের উপর আমদানি কর ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেছে এবং বেইজিং মার্কিন আমদানির উপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে এর প্রতিশোধ নিয়েছে। বেইজিং প্রথমে বৈদ্যুতিক পণ্যের উপর ওয়াশিংটনের ছাড়কে সঠিক দিকে একটি ‘ছোট পদক্ষেপ’ হিসাবে বর্ণনা করেছিল এবং ট্রাম্প প্রশাসনকে শুল্ক ‘সম্পূর্ণ বাতিল’ করার আহ্বান জানিয়েছিল।শুক্রবার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে, মার্কিন কাস্টমস এবং সীমান্ত সুরক্ষা ২০টি উচ্চ-প্রযুক্তি পণ্য তালিকাভুক্ত করে যা ‘পারস্পরিক’ শুল্কের আওতাভুক্ত নয়। এর মধ্যে রয়েছে সেমিকন্ডাক্টর, ফ্ল্যাট প্যানেল ডিসপ্লে এবং কম্পিউটার। তবে ট্রাম্পের সর্বশেষ মন্তব্য বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসের আশায় পানি ঢেলে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্লেষক ড্যানিয়েল আইভস মনে করেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য মার্কিন বাণিজ্য নীতি সম্পর্কে ব্যাপক বিভ্রান্তি আরও বাড়িয়েছে, যা ব্যবসা এবং আর্থিক বাজারের উপর অনিশ্চয়তার ছাপ ফেলেছে।
সূত্র : আলজাজিরা