অনলাইন
ইসরাইলে ঢুকতে দেয়া হলো না দুই বৃটিশ এমপিকে
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ দিন আগে) ৬ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৫:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

ইসরাইল দুই বৃটিশ সংসদ সদস্যকে প্রথমে আটক এবং পরে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি একথা জানিয়েছেন। ওই দুজনকে তাদের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে ইসরাইলে প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে নেতানিয়াহুর দেশ। ইসরাইলি অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি তুলে ধরে স্কাই নিউজ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুই আইনপ্রণেতা ইউয়ান ইয়াং এবং আবতিসাম মুহাম্মদ ইসরাইলের উদ্দেশে লন্ডন থেকে পাড়ি দেন। তাদের ইসরাইল-বিরোধী ঘৃণা ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে মনে করছে সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনী। তাই বিমানবন্দরে তাদের আটক করার পর পরের বিমানেই ফেরত পাঠানো হয়। ল্যামি এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, ‘ইসরাইলের কর্মকাণ্ড গভীরভাবে উদ্বেগজনক। আমি ইসরাইলি সরকারের কাছে স্পষ্ট করেছি যে, বৃটিশ সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এই আচরণ করা উচিত নয়।’
ওই দুই আইনপ্রণেতার সঙ্গে আজ রাতের মধ্যেই যোগাযোগ করা হবে বলে জানান তিনি। ল্যামি আরো জানান যুক্তরাজ্য সরকারের লক্ষ্য হলো রক্তপাত বন্ধ, জিম্মিদের মুক্ত করা এবং গাজায় সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতি এবং আলোচনায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা। গত বছর, ইসরাইল জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে, তাকে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দুই সদস্যকেও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। গত মাসে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত ১৫ জন ফিলিস্তিনি চিকিৎসকের একজনের ফোনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর ইসরাইল যখন তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে, তখন বৃটিশ এমপিদের আটকের ঘটনা ঘটল। যদিও ইসরাইলি দাবি করেছে যে দক্ষিণ গাজায় সৈন্যরা যখন গুলি চালায় তখন নিহত চিকিৎসকদের গাড়ি থেকে জরুরি সংকেত দেখানো হয়নি। যদিও ফুটেজে দেখা গেছে যে রেড ক্রিসেন্ট এবং ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স দলগুলো জরুরি সংকেত দেখিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছে। তারা আগুনের কবলে পড়া একটি অ্যাম্বুলেন্সকে সাহায্য করার জন্য গাড়ি থামাচ্ছে। ঠিক সেই সময় তাদের গাড়িগুলো গুলিবর্ষণের কবলে পড়ে, যা পাঁচ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলে। ২৩শে মার্চ ভোরের দিকে গুলিবর্ষণে আটজন রেড ক্রিসেন্ট কর্মী, ছয়জন সিভিল ডিফেন্স কর্মী এবং একজন জাতিসংঘের কর্মী নিহত হন। গত বছর আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা চালানোর দাবি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করে , এমন কোনও কাজ থেকে তাদের বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। ২০০২ সালে স্লোবোদান মিলোসেভিচের বিচারের প্রধান প্রসিকিউটর এবং একজন শীর্ষ বৃটিশ মানবাধিকার আইনজীবী জেফ্রি নাইস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে, তারা গাজায় চিকিৎসকদের হত্যাকাণ্ডে ইসরাযইলি সরকারের ভূমিকা সম্পূর্ণরূপে ব্যাখ্যা করার জন্য সরকারের উপর যেন চাপ সৃষ্টি করে।
সূত্র : আলজাজিরা
পাঠকের মতামত
মুসলমানসহ সমস্ত ধর্মের সাড়া দুনিয়ার মানুষ ঘর থেকে বের হও, ইজরাইল কে গলা চিপে ধর, আমেরিকা কে চেপে ধর।