বাংলারজমিন
ব্রিজ ভেঙে ৫ বছর ধরে দুই উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার
একটি ভাঙা ব্রিজ নিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মির্জাগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী বেতাগী উপজেলাবাসী। ব্রিজটি ছিল দুই উপজেলার সেতুবন্ধন। এটি ভেঙে পড়ায় ৫ বছর ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজনে শিক্ষার্থীসহ ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে ছোট নৌকাযোগে। মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ডোমরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বেড়েরধন নদীর উপর নির্মিত হয়েছিল ব্রিজটি।
২০২০ সালে ২১শে জানুয়ারি রাতে একটি মালবাহী ট্রলারের ধাক্কায় ডোমরাবাদ-জলিশা সংযোগ ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। দীর্ঘ ৫ বছরেও সংস্কার বা নতুন কোনো ব্রিজ নির্মিত হয়নি। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মির্জাগঞ্জ ও বেতাগী উপজেলার জলিশাসহ দুই উপজেলা যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পথচারীদের ৪-৫ কিলোমিটার পথ বেশি চলতে হচ্ছে। জানা যায়, ২০০৬ সালে ৭ই এপ্রিল মাসে সেতুটি নির্মিত হয়। সেতুটির পশ্চিম পাড়ে পার্শ্ববর্তী বরগুনার বেতাগী উপজেলার জলিশা ও পূর্ব পাড়ে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা। সেতুটি দিয়ে উপজেলার ডোমরাবাদ, উত্তর আমড়াগাছিয়া, মধ্য আমড়াগাছিয়া ও ওপারের হোসনাবাদ, জলিশা এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতো।
স্থানীয়রা বলেন, নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় দুই উপজেলার যোগাযোগ কৃষি আবাদ বাজার ঘাট, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জরুরি রোগীকেও হাসপাতালে আনতে প্রায় ১০-১২ কি. মি. ঘুরিয়ে নিতে হচ্ছে। অথচ এখানে ব্রিজ থাকলে অনেক সহজে এবং তাড়াতাড়ি নিয়ে যাওয়া যেতো। ডোমরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফিরোজ আলম বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় প্বার্শবর্তী বেতাগী উপজেলার ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয় আসতে পারছে না। প্রথমদিকে তারা খেয়া পার হয়েও আসতো। নদী পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ তাই তারা আসতে পারছে না। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, উপজেলার ডোমরাবাদ এলাকায় ভেঙে যাওয়া ব্রিজের স্থানে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্ট হয়ে গেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেই অতিশিগগিরই ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।