বাংলারজমিন
ড্রিম হলিডে পার্কে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়
নরসিংদী প্রতিনিধি
(১ দিন আগে) ১ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ২:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:৪৬ অপরাহ্ন

পবিত্র ঈদকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে মুখর হয়ে ওঠে নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্ক। ঈদ উপলক্ষে আকর্ষণীয় রাইডের পাশাপাশি বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পার্কটি। দৃষ্টিনন্দন পার্কটি নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনার চৈতাবতে অবস্থিত। বাংলাদেশি ভ্রমণপিপাসুদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকরা ড্রিম হলিডে পার্কে ঘুরতে আসেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন পার্কে।
গানের তালে তালে ওয়াটার কিংডমে পানির ঢেউয়ে দুলে নেচে গেয়ে আনন্দ ফুর্তি করেন শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষ। চলছে হৈহুল্লোড়, দাপাদাপি আর আনন্দ-চিৎকার। বোঝা যাচ্ছে নগরের বাইরে এসে ড্রিম হলিডে পার্কে মনের আনন্দে চলছে ঈদ উদযাপন। এ ছাড়া, এখানে এলেই দেখা মিলবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে চলছে স্কাই ট্রেন। উৎসবের এই আড্ডায় পরিবার-পরিজন অনেকেই চড়ছেন প্যাডেল বোটে, ঘুরে ঘুরে দেখছেন ভূতের রাজ্য। এদিকে, হিমালয় পর্বতের সাদৃশ্য ফেনটম হিল দেখে মুগ্ধ হচ্ছে অনেকেই হাজার হাজার দর্শনাথী ।
কুমিল্লা থেকে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে কোথাও যাওয়া হয় না। ঈদকে কেন্দ্র করে আজকে নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্কে এসেছি পার্কে এসে অনেক ঘোরাঘুরি করেছি। বিভিন্ন রাইডে উঠেছি। সবকিছু মিলে অনেক ভালো লাগছে। এখানকার পরিবেশটা অন্যরকম। স্বপনের টানেল পদ্মা সেতু সুইমিং পুল সবকটাতে উঠেছি। মনের ভেতরে অফুরন্ত খুশি অনুভব করেছি। বিশেষ করে আমাদের ভূতের বাড়িটা অনেক ভালো লেগেছে।
ড্রিম হলিডে পার্ক এর ব্যবস্থাপক প্রবীর কুমার সাহা বলেন, বাংলাদেশের দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী ঈদকে কেন্দ্র করে আমার পার্কে বেড়াতে এসে আনন্দ উপভোগ করছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও দেশের বাহির থেকে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। সকলের কথা চিন্তা করে এই জায়গায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জন করার জন্য ও তাদের নতুন নতুন অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য আমার এই পার্ক সর্বদিক দিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে ড্রিম হলিডে পার্ক পরিদর্শনকালে নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, আইনশৃংখলা উন্নতি করতে ড্রিম হলিডে পার্ক সহ বিভিন্ন স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় ৩শ’ বিঘা জমির ওপর নির্মিত এ পার্কটিতে ওয়াটার পার্ক, স্কাই ট্রেন, বুলেট ট্রেন, ওয়াটার বোট, রোলার কোস্টার, সুইং চেয়ার, স্পিডবোট ও ভূতের রাজ্যসহ ২৫টি রাইডে চড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সব বয়সী দর্শনার্থী। দর্শনার্থীরা ৩৫০ টাকার বিনিময়ে পার্কে প্রবেশ করছেন। এ ছাড়াও, রাইড প্রতি গুণতে হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে শুরু করে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকছে পার্কটি।