অনলাইন
জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ কাজে লাগাতে চাই
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ৭:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১০ পূর্বাহ্ন

জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ এনে দিয়েছে, সে সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের; যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ শহীদ ও দুই লাখ নির্যাতিত নারীর আত্মত্যাগ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের জন্ম দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের এই বীরদের প্রতি আমার সালাম।
তিনি চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত হাজারো শহীদ ও আহত, যারা বৈষম্য, শোষণ, নির্যাতন এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল তাদের প্রতি সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ সালাম জানিয়ে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ এনে দিয়েছে, সে সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে চাই।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জোর ব্যবস্থা নিয়েছে। রমজান ও ঈদে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জিনিসপত্রের দামের লাগাম টেনে ধরা, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। এ রমজানে যাতে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে না যায় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ যেন বিঘ্নিত না হয় সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। রমজান মাসজুড়ে সরবরাহ চেইনের প্রতিবন্ধকতা কঠোরভাবে প্রতিহত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। দেশের সকল জায়গা থেকে খবর এসেছে যে, এই রমজানে দ্রব্যমূল্য আগের তুলনায় কমেছে ও জনগণ স্বস্তি পেয়েছে। দাম নিয়ন্ত্রণে এই প্রচেষ্টা চলমান থাকবে।
পাঠকের মতামত
এখন আমরা অনেক ভালো আছি ডঃ ইউনুস সাহেব আরো এক বছর ক্ষমতায় থাকুক।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত বক্তব্য নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী। তিনি সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের অপকর্ম ও দেশের প্রতি তাদের অবহেলার কঠোর সমালোচনা করেছেন, যা জনগণের চেতনায় নতুন করে সতর্কতা সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি, বর্তমান পরিস্থিতি ও গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রদান করেছেন, যা দেশবাসীর মধ্যে আস্থা ও প্রত্যাশার সৃষ্টি করবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দিকনির্দেশনা দিয়ে তিনি উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তাঁর দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি ও দেশপ্রেম আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এই প্রজ্ঞাবান বক্তব্যের জন্য ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।