বাংলারজমিন
জনরোষের শিকার নোয়াখালীর ‘বিতর্কিত’ সেই দারোগা
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২৪ মার্চ ২০২৫, সোমবার
লিটন চন্দ্র দত্ত। কনেস্টবল থেকে হন এএসআই। পরে এসআই হয়ে এসে টানা ২৩ বছর থেকে নোয়াখালীতে হয়ে উঠেন মূর্তিমান আতঙ্ক। একপর্যায়ে ডিআইজির কাছে দত্তের হাটে ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে লক্ষ্মীপুরে বদলি করা হয়। ২০২৪ সাথে সংসদ নির্বাচনে তাকে সদরের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী স্বপদে আনলে তিনি এসেই সকলকে হুমকি ধামকি শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে এড. শিহাব উদ্দিন শাহিন অভিযোগ করলে এসপি আসাদউজ্জামান তাকে ক্লোজ করেন। নোয়াখালীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে জনতার হাতে আটক হন সুধারাম থানার সাবেক টিএসআই লিটন চন্দ্র দত্ত। রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরের দিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এসময় এসআই লিটন দত্তকে ঘিরে যুবদল নেতাকর্মীরা চড়াও হতে দেখা গেছে। রোববার লিটন দত্ত আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে আসবেন এমন খবর পেয়ে যুবদল নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে জড়ো হন। তারা লিটন দত্তের কাছে তাদের অর্থ ফেরত এবং মিথ্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি টালবাহানা শুরু করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে তাকে সেখান থেকে নিয়ে যায়। বিক্ষুদ্ধ জনতার হাতে টিএসআই লিটন আটক হওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় দারোগা লিটন জনতার কাছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃতকর্মের জন্যে ক্ষমা চান। একাধিক বিএনপি নেতা জানান, লিটন দত্ত বিগত ফ্যাসিবাদের দোসর। তার অত্যাচারে বিএনপি নেতারা ঘরে ঘুমাতে পারেনি। বিভিন্ন অজুহাতে মামলার ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়। সূধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, স্থানীয়দের হাতে তার আটক হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। কোনো অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত
সুদীর্ঘ দশকের অধিক সময় ব্যপি জুলুম, নির্যাতন, লুট, অন্যায়ভাবে অপরের সম্পদ আত্মসাৎকারী ব্যাক্তির নামে একেবারেই কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলো না তাই ছেড়ে দেওয়া হলো। ভালো কথা ! কিন্তু যখন নিরীহ অসহায় নিরপরাধ আলেম, ইসলামি ব্যাক্তিত্বদের ধরে এনে গাদা গাদা ভয়ংকর ধরনের অপরাধের ফিরিস্তি দিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে অমানুষিক নির্যাতন অত্যাচার করা হোতো তখন অভিযোগ কিভাবে, কে, কার নির্দেশে বাস্তবায়ন করতো ? এই জবাব কি এই থানার ওসি সাহেব দেবেন ? জানি এই সব ফালতু জবাবদিহি করতে এই ওসিরা বাধ্য না । কারণ ওনারা জনগণের প্রভু আর আমরা আম জনতা উহাদের দাস ।