ঢাকা, ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

মাগুরায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার

মাগুরা প্রতিনিধি
২৪ মার্চ ২০২৫, সোমবার
mzamin

মাগুরায় ঈদের আনন্দকে সাথী করতে প্রতিটি মানুষ পছন্দের জিনিসটি কিনতে ছুটছেন বিভিন্ন মার্কেটে। কেউ কিনছেন শাড়ি, কেউ পাঞ্জাবি, কেউ বেবি ড্রেস, কেউ থ্রিপিস আবার কেউ বাহারি কসমেটিকস। মানুষের কোলাহলে জমে উঠেছে ঈদ বাজার।
সরজমিন বিভিন্ন শপিং মল ও বিপণিবিতানগুলোতে এ চিত্র দেখা যায়। ঈদকে সামনে রেখে শহরের বিপণিবিতানগুলো জমে উঠেছে। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে বিভিন্ন মার্কেটে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। পাশাপাশি ফুটপাথের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৫ রোজার পর থেকে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। আমরা সারা বছর ঈদকে লক্ষ্য রেখে বসে থাকি। ঢাকা থেকে ভালো ভালো পণ্য ক্রয় করি। রমজানের শুরুতে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে টেইলার্সের দোকানগুলোতে। তরুণী ও নারীরা আগেই টেইলার্স ও ছিট কাপড়ের দোকানে গিয়ে পছন্দের দেশি-বিদেশি থ্রিপিস বানিয়েছেন। 
শহরের হাজী কমপ্লেক্সের দোয়েল ফেব্রিক্সের স্বত্বাধিকারী আলাউদ্দিন হোসেন বলেন, রমজানের শুরুতে আমি ঢাকা থেকে ভালো ভালো থ্রিপিস, ছিট কাপড়, পাঞ্জাবির কাপড়, প্রিন্টের গজের কাপড়সহ নানা ধরনের বিদেশি থ্রিপিস নিয়ে এসেছি। ১০ রমজানের পর থেকেই দোকানে নানা বয়সী কিশোরী, তরুণী, মহিলাদের ভিড় বাড়ছে। তরুণদের পাশাপাশি অনেক পুরুষও আগেই পাঞ্জাবি তৈরি করতে আসছেন। বেবী প্লাজার শিকদার বস্ত্রালয়ের উজ্জল শিকদার বলেন, এবারের ঈদে শাড়ির বাজার খুবই মন্দা। তেমন ভিড় নেই দোকানে। সন্ধ্যার পর একটু বেশি ভিড় থাকলেও ক্রেতাদের শাড়ি কেনার প্রতি আগ্রহ কম। শহরের অনেকে এখন বাহারি সব থ্রিপিস পরছে। তাই শাড়ি কিনছে কম। 
নুরজাহান প্লাজার রাসেল বস্ত্রালয়ের রাসেল হোসেন বলেন, আমাদের দোকানে মূলত শাড়িই বেশি বিক্রি হয়। এখানে শাড়ির পাশাপাশি বিদেশি নানা ধরনের মানসম্পন্ন থ্রিপিস রয়েছে। এখন দোকানে মোটামুটি ভিড় বাড়ছে। আশাকরি কয়েকদিনের মধ্যে ক্রেতাদের আরও ভিড় লক্ষ্য করা যাবে। শাড়ি কিনতে আসা ডালিয়া পারভীন জানান, ঈদে এবার দেশি প্রিন্টের একটি শাড়ি কিনেছি। আমার মায়ের জন্য টাঙ্গাইল শাড়ি কিনেছি। পাশাপাশি অন্যদের জন্য তাঁত, সিল্ক শাড়ি কিনেছি। থ্রিপিস কিনতে আসা সোনিয়া আক্তার বলেন, এবার আমি দেশি সুতি থ্রিপিস কিনেছি। কারণ সামনে গরম তাই সুতি থ্রিপিস পরে খুবই আরাম বোধ করি। পাশাপাশি দেশি আড়ং-এর প্রিন্টের থ্রিপিস আমার খুবই পছন্দের। ফুটপাথের চুড়িমালা বিক্রেতা খাদেজা বেগম বলেন, সকাল ৯টায় আমি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে দোকান সাজিয়ে বসি। বেচাকেনা খুবই ভালো। দুপুর ১২টার পর খুব ভিড় থাকে। আবার সন্ধ্যার পর রাত ৯টা পর্যন্ত আমার দোকানে প্রচণ্ড ভিড় থাকে।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status