ঢাকা, ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

রাষ্ট্র সংস্কার করবে সংসদ

অনলাইন ডেস্ক

(১ মাস আগে) ২৩ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৮:২৩ অপরাহ্ন

mzamin

বাংলাদেশ প্রতিদিন

‘রাষ্ট্র সংস্কার করবে সংসদ’-এটি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ‘রাষ্ট্র সংস্কার করবে নির্বাচিত সংসদ’, দলীয় এমন অবস্থানের ভিত্তিতেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর জবাব প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির পক্ষ থেকে আজ ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার প্রস্তাব জমা দেওয়া হবে।

সূত্র জানান, ঢালাওভাবে মতামত চাওয়া হলেও যেসব সংস্কার এ মুহূর্তে প্রয়োজন নেই, সেগুলোর ক্ষেত্রে তারা এখন মতামত দিচ্ছে না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ ও কাঠামো তৈরিতে প্রয়োজনীয় সংস্কারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া স্প্রেডশিটে বিস্তারিত সবকিছু উঠে আসেনি। তাই আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে স্প্রেডশিটের পাশাপাশি বিস্তারিত প্রতিবেদন দিচ্ছি। যাতে কোনোরকম বিভ্রান্তির সুযোগ না থাকে।’

দলটির দায়িত্বশীলরা জানান, বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা প্রস্তাবের আলোকে পাঁচ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো গুরুত্ব দিয়ে মতামত তৈরি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মৌলিক সংস্কারে তাদের খুব একটা আপত্তি নেই। সংবিধানের মৌলিক সংস্কারে হাত দিলে নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে, তাই এ ধরনের সংস্কার প্রক্রিয়ায় একমত নয় বিএনপি।

নীতিনির্ধারণী নেতারা মনে করেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রয়োজন। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থায় যে ধরনের সংস্কার প্রয়োজন, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে মতামত তুলে ধরা হয়েছে। এর বাইরে নির্বাচন ও প্রশাসনিক সংস্কারের প্রস্তাবগুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

সংস্কার প্রশ্নে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ও ‘গণপরিষদ নির্বাচন’ নাকচ করে দিয়েছে দলটি। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন ও প্রাদেশিক সরকারের ফর্মুলায় সম্মত নয় তারা। তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে একসঙ্গে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষেও নয় বিএনপি। সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ন্যূনতম বয়স কমিয়ে ২১ বছর করার বিষয়েও আপত্তি জানানো হয়েছে। একই ব্যক্তি পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হবেন না, এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রস্তাবও রয়েছে। আইনসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কিংবা আইনসভা ভেঙে গেলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার শপথ না নেওয়া পর্যন্ত একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করবে এতে অসম্মতি জানানো হয়েছে।

তবে নির্বাচনকালীন ৯০ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার থাকার বিষয়ে দলটি ঐকমত্যের কথা জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ, দায়িত্ব ও ক্ষমতা এবং স্বার্থের দ্বন্দ্ব স্পষ্টীকরণ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়ন করার বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্য ক্ষেত্রে মৌলিক সংস্কারের ব্যাপারে তাদের খুব একটা আপত্তি নেই।

নেতারা বলছেন, এ সংবিধানের আলোকেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিয়েছে। যে সময়ে দেশে কোনো সংবিধান রচিত থাকে না, মানে একটা নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, তখন গণপরিষদের প্রয়োজন হয়। দলটি মনে করে, বিগত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে সংবিধান দলীয়করণ করে গণতন্ত্রের বিপক্ষে এবং নিজেদের পক্ষে সাজিয়েছিলেন। এ কারণে সংবিধানে যে ব্যত্যয় বা বিচ্যুতি হয়েছে, সেজন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রয়োজন। রাজনৈতিক মতৈক্যে সেসব সংস্কার করবে নির্বাচিত সংসদ।

সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে ৬ মার্চ ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে ‘স্প্রেডশিট’ (ছক আকারে) পাঠিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে দলগুলোকে ১৩ মার্চের মধ্যে স্প্রেডশিটে বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবের ওপর ‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’ এ তিনটি অপশনের যে কোনো একটিতে টিকচিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছিল।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘ঈদে লম্বা ছুটিতেও মহাসড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা’। খবরে বলা হয়, এবার ঈদুল ফিতরে টানা ৯ দিনের লম্বা ছুটি। ঘরমুখী মানুষের যাত্রা স্বস্তির হওয়ার প্রত্যাশা সরকারের। কিন্তু দেশের দুটি মহাসড়কে উন্নয়নকাজ, অব্যবস্থাপনা ভোগান্তির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। বিশেষ করে ঈদের আগের দুই দিন যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলে আর ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক না থাকলে তা যানজটে রূপ নিতে পারে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। এই সড়কের নারায়ণগঞ্জ থেকে নরসিংদী পর্যন্ত হাটবাজারের কারণে এমনিতেই চাপ থাকে।

কিন্তু চার লেনের কাজ চলমান থাকায় কোথাও কোথাও সড়ক সরু হয়ে পড়েছে। কোথাও আবার খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আছে ধুলার ওড়াউড়ি। এই পথে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৯টি জেলার মানুষ যাতায়াত করেন।

টাঙ্গাইল-রংপুর পথে চার লেনের কাজ চলছে ছয় বছর ধরে। এখনো কাজ শেষ হয়নি। বিশেষ করে যমুনা সেতুর আগের অংশের কাজ এখনো চলমান। ঈদের শেষ চার দিনে যমুনা সেতু হয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজারের মতো যানবাহন চলাচল করে। ফলে ভোগান্তির আশঙ্কা এই পথেও আছে। এই পথে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের ২১টি জেলার মানুষ যাতায়াত করেন।

এর বাইরে ঢাকা-ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন মহাসড়কের নানা স্থানে দুই পাশেই অবৈধ দখলদারদের কারণে সড়ক সংকুচিত হয়ে গেছে। গাজীপুর অঞ্চলে পোশাক কারখানা ছুটি হলে চাপ পড়ে মহাসড়কে। ফলে ব্যবস্থাপনার ঘাটতি হলে যেকোনো সময় যানজট দেখা দিতে পারে।

যুগান্তর

‘ঐক্যের উদ্যোগ নিতে হবে ড. ইউনূসকে’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোট নেই। কথা বলার অধিকার নেই। প্রতিবাদ করার ভাষা নেই। সবকিছু একতরফা। সবকিছুতে মিথ্যাচার। সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের চেহারাটা এভাবেই সবার কাছে উন্মোচিত হতে থাকে। ফ্যাসিবাদের নগ্ন রূপ প্রকাশ পেতে শুরু করে।

রাজনৈতিক দলগুলো নানাভাবে শেখ হাসিনার শোষণ-জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও তার বিভিন্ন বাহিনী ও দলীয় গুন্ডাদের দমন-পীড়নের মাধ্যমে তাদের কণ্ঠ রোধ করে দেওয়া হয়। সব অন্যায়ের যবনিকাপাত ঘটে এক সময়। জুলাই আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় থাকার শেষ চেষ্টা করেও না পেরে শেষতক দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান ঘটে। গণ-অভ্যুত্থান পক্ষের রাজনৈতিক শক্তি ও ছাত্র-জনতার অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে একটি ভঙ্গুর রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার উপদেষ্টা পর্ষদ। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগের পতনের পর হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এক বার্তায় বলেছিলেন, এখন আর তার মায়ের কোনো দায়িত্ব নেই। আওয়ামী লীগের লোকজনের কি হবে, কি হবে না সেটা তাদের বিষয়।

এমনভাবে পরাজয়ের পর দলটির কোনো নেতা তো দূরের কথা, একজন সমর্থকও ভাবেননি পতনের ৭ মাসের মাথায় এসে রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের নিয়ে কেউ আলোচনা করবে। কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে সেটা। কেউ কেউ গর্ত থেকে মুখ উঁচিয়ে শব্দ করার চেষ্টা করছেন। অপরদিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা দলের কেউ কেউ কায়দা-কানুন করে কীভাবে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনা যায় তা নিয়ে একটু-আধটু বলার চেষ্টা করছেন। এতে করে রাজনৈতিকভাবে ফেরার সুযোগ বা রাস্তা খুঁজতে শুরু করে আওয়ামী লীগ।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচনের পথে সরকার’। প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনী প্রস্তুতি ও রাষ্ট্রের সংস্কারপ্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে চলেছে। অন্তর্বর্তী সরকার ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ বাস্তবায়নের দিকে যাবে নাকি ‘বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ’ নিয়ে এগোবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ওপরই নির্ভর করছে।

তবে সরকারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা, শেষ পর্যন্ত ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ বাস্তবায়ন করে দ্রুত নির্বাচনে যেতে পারে সরকার। কারণ রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে যেসব প্রস্তাব রেখেছে, তাতে ইতিবাচক জবাবের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশও ঘটছে।

সে ক্ষেত্রে সংস্কার প্যাকেজ সংক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। গত ১৭ মার্চ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই। আমরা এরই মধ্যে সাত মাস পার করে এসেছি। আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে।

কাজেই কী কী সংস্কার করতে চাই করে ফেলতে হবে।’ এ ছাড়া নির্বাচন আসন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন আসছে, নানা রকম সমস্যা হবে, নানা রকম চাপ আসবে। এ ছাড়া গত ১৪ মার্চ জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে তিনি জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা আগামী বছরের জুনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ নিয়ে একমত হয়, তবে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে।

সমকাল

‘পুলিশের জনসম্পৃক্ত কর্মকাণ্ডে ভাটা’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ভেঙে পড়েছিল পুলিশি ব্যবস্থা। নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারকে পড়তে হয় নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে। এখনও পুরো স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারেনি পুলিশ। আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বাহিনীটিকে। এমন পরিস্থিতিতেও বন্ধ আছে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম। ওপেন হাউস ডে ও উঠান বৈঠকের মতো কার্যক্রম সেভাবে দৃশ্যমান নয়। ফলে পুলিশের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব বেড়েছে। জনগণ-পুলিশ ইতিবাচক সম্পৃক্ততার কর্মকাণ্ডে ভাটা দেখা দিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জনগণের সঙ্গে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের সম্পর্ক আরও সহযোগিতামূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশিষ্টজন। তারা বিস্তৃত পরিসরে জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি চালু করার কথা বলছেন। জনতার সঙ্গে পুলিশের ভঙ্গুর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে এসব কার্যক্রম ভালো ফল আনতে পারে বলে মনে করছেন তারা। পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশেও জনমুখী ও জবাবদিহিমূলক পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে আইনি কাঠামোর কথাও বলা হয়েছে।

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণেই হয়তো কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিগুলো স্তিমিত হয়ে আছে। এগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। এখন রাজনৈতিক নেতারা আগের মতো তৎপর নেই; ওয়ার্ড পর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধি নেই। তাই সামাজিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সমাজে যাদের মতামতের গুরুত্ব আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। এটি শুধু এখনকার জন্য নয়, সব সময়ের জন্যই দরকার। আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করার জন্য এটি জরুরি।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘এপ্রিল থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপের আশঙ্কা, নেই প্রস্তুতি’। খবরে বলা হয়, ডেঙ্গু রোগী বাড়তে শুরু করলেই প্রতি বছর অভিযানে নামে দুই সিটি করপোরেশন। এর আগে ডেঙ্গুর জন্মস্থান ও ডেঙ্গু দমনে পূর্ব প্রস্তুতি থাকে না কারোই। এতে পরিপূর্ণ মশা মেরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখা কমানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে গরম। মাঝেমধ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। এডিস মশার প্রজনন ও বংশবিস্তারের জন্য উপযুক্ত সময় এখন। এপ্রিল থেকেই এই অবস্থা আরো বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত বর্ষার আগে থেকেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। এ বছর সরকারের আরো জোরালো প্রস্তুতি প্রয়োজন। কিন্তু এ নিয়ে তেমন কোনো প্রস্তুতিই চোখে পড়ছে না।

বাংলাদেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় ২০০০ সালে। এর পর প্রায় দুই দশক ধরে ডেঙ্গুর বিস্তার ছিল রাজধানী ঢাকায় সীমাবদ্ধ। কিন্তু ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এর পর প্রতি বছরই ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে দেখা গেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে শুরু থেকেই সরকারের কার্যক্রম বেশ ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিযোগ তুলছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এ বছর ডেঙ্গু প্রতিরোধে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম না থাকায় এবার পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের নিশ্চিতকৃত সংখ্যা ৫৭৫। গত বছরও এপ্রিল থেকেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেখা গিয়েছিল। গত বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৫৫ জন। এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চে এ সংখ্যা কমে আসে।

নয়া দিগন্ত

ব্যাংক গ্রাহকদের স্বার্থে হচ্ছে ‘আমানত সুরক্ষা তহবিল’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, গ্রাহকদের আমানতের সুরক্ষায় গঠন করা হবে ‘আমানত সুরক্ষা তহবিল’। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক তহবিল গঠন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি পৃথক হিসাবের মাধ্যমে তহবিল পরিচালিত হবে। ‘ব্যাংক আমানত বীমা আইন ২০০০’ এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠিত ‘আমানত বীমা ট্রাস্ট তহবিল’ এ জমাকৃত অর্থ আমানত সুরক্ষা তহবিলে (ব্যাংক কোম্পানি) প্রারম্ভিক জমা হিসেবে স্থানান্তরিত হবে। মোট সুরক্ষিত আমানতের আনুপাতিক হারে তহবিলের আকার নির্ধারিত হবে। প্রত্যেক আমানতকারীর জন্য সর্বোচ্চ সুরক্ষা আমানতের পরিমাণ হবে দুই লাখ টাকা।

‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর মাধ্যমে এই তহবিল গঠন করা হবে। দেশের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষা ও আর্থিক খাতের ওপর জনগণের আস্থা বাড়াতে বিদ্যমান ‘ব্যাংক আমানত বীমা আইন ২০০০’ রহিত করে ‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সরকার আমানত সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক আমানত সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে। এই অধ্যাদেশ বাস্তবায়নও করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য একটি পৃথক বিভাগও খোলা হবে।

ইতোমধ্যেই অধ্যাদেশের একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। খসড়ায় বলা হয়েছে, জনগণের আস্থা বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষায় কার্যরত ব্যাংক কোম্পানি ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোতে গৃহীত আমানতের সুরক্ষা প্রদান করা প্রয়োজন এবং আমানত সুরক্ষা সংক্রান্ত যথাযথ আইনি কাঠামো নির্ধারণের জন্য ‘ব্যাংক আমানত বীমা আইন ২০০০’ রহিত করে এর যুগোপযোগী সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্ধনপূর্বক পুনঃপ্রণয়ন করা প্রয়োজন।

বণিক বার্তা

দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘রেমিট্যান্স ও রফতানি বেড়েছে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার, রিজার্ভ কমেছে প্রায় ২ বিলিয়ন’। খবরে বলা হয়, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎস রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়। চলতি অর্থবছরে এ দুই খাতেই বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। আর ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে রফতানি আয়ে। বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান এ দুই উৎসের উচ্চ প্রবৃদ্ধিতেও রিজার্ভ বাড়ছে না দেশে। আট মাস ধরে রিজার্ভের পরিমাণ ওঠানামা করছে ১৯ থেকে ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিপিএম৬ পদ্ধতির হিসাব অনুযায়ী, গত ১৩ মার্চ দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৭৩ কোটি বা ১৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। যদিও চলতি অর্থবছরের শুরুতে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১ জুলাই রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। সে হিসাবে গত আট মাসে রিজার্ভ না বেড়ে উল্টো ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার কমেছে। যদিও এ সময়ে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় এসেছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার বেশি। এর মধ্যে গত অর্থবছরের তুলনায় রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ৪ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। আর রফতানি আয় বেশি এসেছে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়লেও মূলত প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই), বিদেশী অনুদান এবং মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি বিদেশী ঋণ কমে যাওয়ার প্রভাবেই দেশের রিজার্ভ চাপে পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যালান্স অব পেমেন্ট (বিওপি) তথা দেশের সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশে এফডিআই প্রবাহ কমেছে ৬৫ কোটি ডলার।

আজকের পত্রিকা

‘উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের স্বাস্থ্যসেবা পড়ছে ঝুঁকিতে’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের মতো দীর্ঘমেয়াদি ও অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে সরকারের অন্যতম উদ্যোগ হচ্ছে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডিসি) কর্মসূচি। এর অধীনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্নারের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের জনসাধারণকে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস-বিষয়ক বিভিন্ন জরুরি সেবা দেওয়া হয়।

তবে সরকারের ৫ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা (অপারেশনাল প্ল্যান বা ওপি) কার্যকর না থাকায় আট মাস ধরে এনসিডি কর্নারের কার্যক্রমে স্থবিরতা চলছে । আগামী মাসে ওষুধের বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য খাতের সিংহভাগ অবকাঠামো, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থাপনা, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং টিকা, পুষ্টি কার্যক্রমসহ ৩০ টির বেশি কর্মসূচি পরিচালিত হয় পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বা মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বা ওপির মাধ্যমে।

সর্বশেষ ওপি ‘চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (এইচপিএনএসপি)’ শেষ হয় গত বছরের জুনে। ওই বছরের জুলাই মাসেই পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ১ লাখ ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকার পঞ্চম এইচপিএনএসপি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা অনুমোদন করেনি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার । তবে এখন ওপি থেকে বের হওয়ার কথাই ভাবছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। নতুন সেক্টর কর্মসূচি না নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক কার্যক্রমগুলো রাজস্ব খাতে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে । এর সময় ধরা হয়েছে গত বছরের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। পরিকল্পনা কমিশনও সেক্টর কর্মসূচির বিকল্প ভাবার পরামর্শ দিয়েছে । প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার স্তরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মডেল বাস্তবায়ন করা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য ।

দেশ রূপান্তর

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘বেতন বিসিএস গ্রেডে যোগ্যতা স্নাতক’। খবরে বলা হয়, সাংবাদিকদের প্রবেশ পদের ন্যূনতম বেতন বিসিএস কর্মকর্তাদের মতো নবম গ্রেডে করার পাশাপাশি তাদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক করতে বলেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রয়োজনে আইনপ্রণয়ন করাসহ গণমাধ্যম সংস্কারে এক গুচ্ছ সুপারিশ করা হয়েছে।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ওই প্রতিবেদন গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্য সদস্যরা প্রতিবেদনটি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে দুই ধাপে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে একটি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।

প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে যেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করে ফেলতে চাই। সেজন্য আমি চাইব সংস্কার কমিশন আশু করণীয় বা দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা যায়, এমন সুপারিশগুলো দ্রুত আলাদাভাবে আমাদের কাছে পেশ করুক।’

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status