শেষের পাতা
ঢাকায় মাদকের বড় চালান জব্দ
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ মার্চ ২০২৫, রবিবার
প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবার বড় চালানসহ মাদক কারবারের ৪ হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। শুক্রবার রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলেন- মো. নজরুল ইসলাম ওরফে সোহেল রানা (৩৪), মো. আল মামুন (৩২), মোহাম্মদ ফারুক ওরফে ওমর ফারুক (৪৬) ও ফারুকের স্ত্রী তানিয়া (৩২)। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, বায়িং হাউস-আবাসন ব্যবসার আড়ালে হাতিরঝিলে তারা গড়ে তুলেছিল রমরমা মাদক ব্যবসা। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রমনা সার্কেলের পরিদর্শক লোকমান হোসেন বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়ের শামীম আহমেদ বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। মাদক কারবারিরা অর্জিত অর্থ দিয়ে বায়িং হাউস ও আবাসন ব্যবসা পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে।
যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়: উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ বলেন, প্রায় ৩ মাস আগে ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্র বায়িং হাউস এবং আবাসন ব্যবসার আড়ালে টেকনাফ থেকে বিলাসবহুল গাড়িতে ইয়াবার বড় বড় চালান এনে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারি মাদক ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করছে। তখন থেকেই তাদের ওপর কড়া নজরদারি রাখা হয়। কিন্তু কৌশলে তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। তাদের বিরুদ্ধে এর আগে একটি অভিযান পরিচালনা করলেও তা ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ এক সপ্তাহ আগে গোয়েন্দাসূত্রে জানা যায়, চক্রটি আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা টেকনাফের একটি রিসোর্টে হুন্দাই কোম্পানির গাড়ির পাদানির নিচে প্যানেলে বিশেষ কৌশলে ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ঢুকিয়ে প্যানেলটি সুনিপুণভাবে ঝালাই করে রাখেন। সর্বশেষ সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা ধাওয়া করে আটক করা হয়। তাদের গাড়ি তল্লাশি করে কিছু পাওয়া না গেলে অধিকতর তল্লাশি চালানো হয়।
এতে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে বোঝা না গেলেও গোয়েন্দাসূত্রে বার বার নিশ্চিত করার পর প্যানেলের ঝালাই করা অংশটি খুলে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি এড়ানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে।