শেষের পাতা
দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চায় গণঅধিকার পরিষদ
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবারঅন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদ। এই দুই ছাত্র সরকারে থাকলে দেশে আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছে দলটি। মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের কোনো শক্তি বলে নাই, ছাত্ররা তিনজন উপদেষ্টা হবে। শুরুতে দু’জন উপদেষ্টা হলেন। আর একজন মাহফুজ আলম, তিনি তাদের সহযোগিতায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন। এটি একটি চাল ছিল। টেকনিক ছিল। পরে তাকে দপ্তরবিহীন উপদেষ্টা করা হলো। এরপরে তাকে তথ্য উপদেষ্টা করা হলো। তথ্য উপদেষ্টাকে বলা হয়, সরকারের মুখপাত্র। তিনি কখনো হেফাজতের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন, কখনো জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে, কখনো বিএনপি’র বিরুদ্ধে, কখনো গণঅধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। তার দায়িত্ব কি অনৈক্য সৃষ্টি করা?
উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সমালোচনা করে রাশেদ খান বলেন, তিনি (মাহফুজ আলম) যদি এত তাত্ত্বিক জ্ঞান ছড়াতে চান তাহলে পদত্যাগ করে কেন জ্ঞানের ভাণ্ডার খুলে বসছেন না? এরকম অনৈক্য সৃষ্টিকারী কি করে সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে বহাল থাকে? এই দু’জন উপদেষ্টা সরকারে থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। কারণ ইতিমধ্যে উপদেষ্টারা তাদের আশীর্বাদ জানিয়েছেন। অন্যান্য উপদেষ্টারা এই ছাত্রদের অনুগত। প্রধান উপদেষ্টা নিজে তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন। সুতরাং এই উপদেষ্টারা সরকারে থাকলে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।
তিনি বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই দু’জন ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে, সেক্টরে যেসব ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, অবশ্যই তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। ওয়াসার নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, এই বিতর্ক আরও আছে।
সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসানও সরকার থেকে ছাত্রদের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দল গঠনের মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। ফলে ছাত্রদের মধ্যে থেকে যারা উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ ও শাকিল উজ্জামান।
পাঠকের মতামত
গণ অধিকার পরিষদের দেশ থেকে পদত্যাগ চাই আমরা বাংলাদেশের জনগণ।
You are 100% right.
যারা সজিব ভুইয়ার পদত্যাগ চচ্চেন তারা কিছুদিনের জন্য পাবনা হেমায়েত পুর খেকে আসেন, সুস্থ্য হলে আবার আইসেন।
গনঅধীকার পরিষদের সাথে এক মত পোষণ করছি।
অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। নতুন দলের নেতৃত্ব দিতে হলে জনগণের কাতারে আসতে হবে , সরকারে থেকে ক্ষমতা ব্যবহার করে নীতিকথা চলে না। গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করছি।