শেষের পাতা
ঢাবিতে হামলায় অভিযুক্ত ১২৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৮ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ১৫ই জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমাবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গণ-অভ্যুত্থানের সময় হামলাসংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভা শেষে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
জানতে চাইলে ঢাবি’র প্রক্টর সাহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, সাময়িকভাবে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস. ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। পরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িতদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলাম। প্রতিবেদনে অনেক সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধেও হামলা জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় তাদের একাডেমিক সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া, কমিটি ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে বেশ কয়েকজন আক্রমণকারীকে শনাক্ত করেছে। কমিটির আহ্বায়ক জানান, ঢাবি কর্তৃপক্ষ তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তথ্য অনুসন্ধানে সহিংসতাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার সময় আহতদের ওপর হামলা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া, ক্যাম্পাস পোর্টাল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগৃহীত ভিডিও প্রমাণ বিশ্লেষণ করে অনুসন্ধান করেছে কমিটি।
তদন্ত কমিটির দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৫ই জুলাই হামলার সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো- নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে যাওয়ার পথে আহত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা। এছাড়া জরুরি বিভাগের ভেতরে আহতদের ওপর হামলা করা হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসায় বাধা দেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত
ক্যাম্পাসে শুধু আন্ডা বাচ্চা লীগই দায়ী নয় গত 53 বছরের জঞ্জাল তৈরিতে বাম-রামরা মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে। তাদের ও বিচার হওয়া দরকার।
এইগুলু মানবতা বিরোধী অপরাধ । এদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে । এদের কে যেসব শিক্ষক মদদ দিয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে ।
অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই
আহতদের উপর হামলা ও চিকিৎসা প্রদানে বাধাদান এগুলো criminal offense, শাস্তি কম হয়ে গেল না! আরো বেশি শান্তি হওয়া উচিত ছিল।