দেশ বিদেশ
নোয়াখালীতে পুত্রবধূকে ধর্ষণ, শ্বশুর গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১৭ মার্চ ২০২৫, সোমবারকোম্পানীগঞ্জে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরের দিকে আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, গত শনিবার রাত সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আহসান উল্যাহ (৫৫) একই ওয়ার্ডের মৃত আলী আহমদের ছেলে। সূত্রমতে, নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী দুবাই প্রবাসী। তিনি তার এক সন্তান নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে বাড়িতে একই বসতঘরে ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে বসবাস করতেন। শ্বশুর আহসান উল্যাহ বিভিন্ন সময় পুত্রবধূকে কুরুচিপূর্ণ কথাসহ খারাপ কাজের ইঙ্গিত দেয়। ভিকটিম বিষয়টি স্বামী, শাশুড়িকে জানালেও তারা বিষয়টি কর্ণপাত করেনি। ওইদিন রাত ১০টার দিকে ভিকটিম প্রতিদিনের ন্যায় নিজের কক্ষে কন্যা-সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সেহেরি খাওয়ার পূর্বে শ্বশুর কৌশলে পুত্রবধূর কক্ষে প্রবেশ করে। ওই সময় তিনি পুত্রবধূকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধর্ষণ করে। ভিকটিম চিৎকার করতে গেলে শ্বশুর তার মুখ চেপে ধরে, ধর্ষণ করে দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বিষয়টি তার স্বামী-শাশুড়িকে জানায়। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম মানবজমিনকে বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলায় শ্বশুরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। ওই গৃহবধূকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত
একটি অভিশপ্ত সমাজ, যেখানে শ্বশুর পুত্রবধূকে, ভাই বোনকে, বাবা নিজ কন্যাকে নিপীড়ন করছে। এমনকি এক মাও নিজের মেয়েকে পরপুরুষের লালসার শিকার বানাচ্ছে! সমীক্ষা বলছে, এখানে ৯৩ শতাংশ ধর্ষণই ঘটে পরিবারের ভেতরে। তবু আকাশ থেকে আগুন ঝরছে না—এটাই বিস্ময়ের বিষয়! ইউনূসের সরকার হোক বা বড় বড় পীর-মুরশীদের শাসন, এই হিংস্র পশুগুলোর হাত থেকে কি নারীরা কখনো মুক্তি পাবে?
ধর্ষন মানেই ধর্ষন এবং এটা একটি সংক্রামক ব্যাধি ! এর কোন বিকল্প নেই কিন্তু আছে যদি আইনি প্রক্রিয়ায় ৩/৪ মাসের মধ্যে বিচার করে আইনটি কার্যকরী করা হয়। দেশে আইন আছে কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল এবং so long. যখন আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে তা কার্যকর করা হয় তখন আসামি এবং ধর্ষকের হয়তো মৃত্যু হয়, না হয় বিচার প্রক্রিয়ার স্বাধ হারিয়ে ফেলে এবং পার্শ্ববর্তী গুণীজনেরা যারা ধর্ষণ বিদ্যায় হাত ঘড়ি দেয় তাঁরা সেটা মানে পূর্বের ধর্ষণের বিচার উপলব্ধি করতে পারে না, তাই অহরহ ধর্ষণ করে এবং বেড়েই চলছে এবং চলবে। প্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং রাষ্ট্র আইনের আওতায় হয়তো কিছুটা হলেও কমিয়ে আনতে পারবে কিন্তু সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করতে পারবে না।
অমুসলিম দেশ কোরিয়ার আইন প্রয়োগ করলে ধর্ষণ বন্ধ হবে। ধর্ষণের শাস্তি লিঙ্গছেদ আইন করুন, দেখবেন ধর্ষণ বন্ধ হবে।
শ্বশুর থেকে সাবধান!!!
এ দেখছি হুবহু মাগুরার ঘটনারই পুনঃ আবৃত্তি স্বামী শাশুড়ি কে জানানোর পরও কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। এই পবিত্র রমজানেও এদের ইবলিসি পইচাশিক কর্ম কান্ডে কোনো দ্বিধাবোধ নেই। এ কেমন মানুষ ? মানুষ এতো অমানুষ পশু হয় কি করে ? দেশে যেনো ধর্ষনের প্রতিযোগিতা বা মহা উৎসব চলছে। দ্রুত বিচারের মাধ্যমে এদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে দিতে।
সেই গানের কথা মনে পড়ে, আরে বালা জোরে চালা, চা খাবাইউম, আঙ্গও বাড়ি নোয়াখালী রয়েল ডিসটিক ভাই।
ধর্ষণ কারীদেরকে ৭ দিনের মধ্যে ফাঁসি দেয়া হলে বাংলাদেশে ধর্ষণ বন্ধ হবে .
Fasi chai