খেলা
৩ মাস পর বাফুফে সভা বৃহস্পতিবার
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ মার্চ ২০২৫, সোমবার
২৬শে অক্টোবর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর নির্বাচনের পর ৯ই নভেম্বর প্রথম কার্যনিবাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় প্রায় ২০ সাব কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হলেও গুরুত্বপূর্ণ রেফারিজ কমিটি হয়নি। মাসখানেক পর ১১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় রেফারিদের সম্মানী বৃদ্ধির চিঠি আলোচ্যসূচিতে থাকলেও ওই সভাতেও রেফারিজ কমিটি গঠন করতে পারেনি ফেডারেশন। অবশেষে তৃতীয় সভায় এসে রেফারিজ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। বৃহস্পতিবারের সভায় ১০টি আলোচ্যসূচির মধ্যে অন্যতম রেফারিজ কমিটি গঠন। রেফারিরা প্রিমিয়ার লীগের প্রথম পাঁচ রাউন্ডের সম্মানী পেয়েছেন। প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন প্রথম লেগের বাকি চার রাউন্ডে ঈদের আগে পাওয়ার। কাজী সালাউদ্দিন আমলে রেখে যাওয়া ফেডারেশনের কাছে দেনা এক কোটি টাকার ওপর। ১১ ডিসেম্বর বাফুফের নির্বাহী দ্বিতীয় সভায় জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ ও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে চট্টগ্রাম এবং যশোরে দু’টি সভা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল দেশের বাইরে ব্যস্ত সময় পার করায় এই দু’টি সভা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০শে মার্চ সকালে বাংলাদেশ ফুটবল দল শিলংয়ের উদ্দেশে রওনা হবে। সেদিন দুপুরে বাফুফে ভবনে কর্তারা বসবেন সভায়। ১০টি আলোচ্যসূচির মধ্যে দু’টি আর্থিক সংক্রান্ত। ২০২৫ সালের বাজেট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সমপ্রতি ফিফা ফান্ড ছাড়করণ বিষয়টিও রয়েছে। বাফুফের টেকনিক্যাল ও প্রশাসনিক মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন স্টাফ। এত সংখ্যক লোকবল থাকলেও সুনির্দিষ্ট এইচআর পলিসি নেই। সেই পলিসি অনুমোদন আসন্ন সভার অন্যতম বিষয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি রাজধানী ঢাকার স্কুলগুলো নিয়ে স্কুল ফুটবল আয়োজন করতে চায় বাফুফে। নির্বাহী কমিটির সভায় এই টুর্নামেন্টের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে। এর সঙ্গে চলমান অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ ও তৃণমূলের ফুটবল উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবলের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় নারী ফুটবলে সংকট। এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচ্যসূচি নেই আগামী সভায়। ১৮ নারী ফুটবলার ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারকে বিদ্রোহ করেছিলেন। নারী ফুটবলে উদ্ভুত সংকটের জন্য বিশেষ কমিটিও করেছিলেন ফেডারেশন সভাপতি। সেই কমিটি খেলোয়াড়, কোচ, নারী উইং সকল পক্ষের নানা বিষয় নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ করেছিল। এসব নিয়েও কোন এজেন্ডা নেই আলোচ্যসূচীতে। বিশেষ করে কোচ এখনও সাবিনাদের নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে যাচ্ছেন, আবার ফুটবলাররাও কোচকে এড়িয়ে চলতে চান। এর সুষ্ঠু সমাধান এখনও হয়নি। নির্বাহী কমিটিতে এ বিষয়টি সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি থাকলে সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটা গ্রহণযোগ্য অবস্থায় উপনীত হওয়া সম্ভব ছিল। নারী ফুটবলে উদ্ভুত ঘটনা, বাটলার ও হাভিয়েরের নিয়োগ, ফেডারেশনে মাথাভারী প্রশাসন নিয়ে নির্বাহী কমিটির অনেক সদস্যের মধ্যে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এ নিয়ে নির্বাহী সভায় অনেকে মতামত রাখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এই সংক্রান্ত কোনো আলোচ্যসূচি না থাকায় বিবিধই এখন তাদের ভরসা।