অনলাইন
বরিশালে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গণপিটুনিতে নিহত
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
(১ মাস আগে) ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১০:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
বরিশালে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সুজন (২৪) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে বরিশাল নগরীর ধান গবেষণা সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন ওই এলাকার মনির হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ধান গবেষণা সড়কের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা চালায় সুজন। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার পর স্থানীয়রা শনিবার দুপুরে সুজনকে ধরে গাছে বেঁধে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, নিহত সুজন শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি। তাকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে দেন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত
এখানে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়নি। ধর্ষণ চেষ্টায় মামলা হয়েছে। এ ধরণেল মামলা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই শত্রুতার জেরে করা হয়। এখানে আসামীর কোনো স্বীকৃতি, বিবৃতি বা চাক্ষুষ স্বাক্ষীর কোনো প্রমান নেই। হতে পারে শত্রুতার আক্রোশ মিটাতে নিরিহ ছেলেটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। যারািই পিটিয়ে মেরেছ তারা খুনী। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অপরাধের মাত্রা যতই বেশী হো কোন দেশ প্রেমিক কাউকে পিটিয়ে মারতে পারে না।
বাংলাদেশের আইন বলতে কালক্ষেপণ, বিচারের নামে প্রহসন, আসামির পক্ষে ডজন ডজন উকিল দাঁড়াবে আর ডাহা মিথ্যা বলবে মাউ লর্ড আমার মক্কেল ফুুলের মত পবিএ অতএব জামিন দেয়া হউক।জামিন নিয়ে বের হয়ে আবার ধর্ষন আবার হত্যা, আবার চুরি ডাকাতি দুর্নীতি,, এটাই তো আইন নাকি⁉️
Perfectly right
কোনো ধরণের বিচার নিজের হাতে নেয়া উচিৎ না, বিচার করার আগে দুই পক্ষকে বলার সুযোগ দেয়া উচিৎ।
অপরাধীকে জেল , ফাসি দেওয়ার দায়িত্বটা রাষ্ট্রের । এ ঘটনার তদন্ত হোক।
Well done.
আমার ব্যক্তিগত মতামতে মেরে ফেলা ঠিক হয়নি, তাকে আইনের হাতে তুলে দেয়া লাগত। আর তার আগে মাত্রা মতো ধোলাই দেয়া লাগত।
মি শফিক আপনি দেখি কাদের কাকুর মত সবকিছুতেই ষরযন্ত্র খুজে পান।এরকম নরপিশাচ ধর্ষক গনপিটুনিতে মরলে অন্য নরপিশাচরা সাবধান হয়ে যাবে
খারাপ না, সরকার বিচার করবে কবে ? তারচেয়ে দু'একটা তাৎক্ষণিক জনগন দ্বারা বিচার করে সমাজে তুলে ধরতে পারলে কিছুটা হলেও নির্যাতন কমবে। ভাইরা চালিয়ে যাও। দুই একজন মেরে যদি সতেরো কোটি মানুষের জীবনের সিকিউরিটি দেওয়া যায় তবে সেটাই ভালো।
এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা কী ঠিক হয়েছে, এখানে ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে।