ঢাকা, ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

শেষের পাতা

যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই যুদ্ধ

মানবজমিন ডেস্ক
১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার

যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে যখন জোর আলোচনা চলছে, তখন তার চেয়েও বেশি জোরে যুদ্ধের ময়দানে মুখোমুখি রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনারা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নিজের শহর ক্রিভয়ি রিহ’তে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে দুই দেশের সেনারা যখন মুখোমুখি লড়াই করছেন, তখন ইউক্রেনের কুরস্ক অঞ্চলের আরও দু’টি বসতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করছে রাশিয়ার সেনারা। সেখানে ইউক্রেনের সেনাদেরকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদি তা না হয় তাহলে ইউক্রেনের সেনাদের হত্যা করা হতে পারে। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, উভয়পক্ষের মধ্যে আকাশপথে তীব্র লড়াই চলছিল। উভয়পক্ষ একে-অন্যের ওপর কমপক্ষে ১০০ ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। এমন অবস্থায় ইউরোপিয়ান নেতাদের সঙ্গে শনিবার এক বৈঠকে বসার কথা বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। ইউক্রেনে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্য দিয়ে দেশটিকে রক্ষার জন্য একটি জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা করার কথা। তার অভিযোগ শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মোটেও সিরিয়াস নন পুতিন। ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা বলেছে, রাশিয়ার বিমান হামলায় দনিপ্রোপেট্রোভস্ক এবং ওডেসা অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিষয়ক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনলাইন আল-জাজিরা বলেছে, শুক্রবার ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় শহরে একটি আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কমপক্ষে তিন বছর ধরে চালানো আগ্রাসনের সময়ে নিয়মিতভাবে এই অঞ্চলকে টার্গেট করছে রাশিয়া। টেলিগ্রামে দনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের প্রধান সের্গেই লাইসাক বলেছেন, শুক্রবারের হামলায় ১৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দু’টি শিশু আছে। তাদের একজনের বয়স দু’বছর। অন্যজন ১৫।  লাইসাক বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি বিশাল এপার্টমেন্ট এলাকার এক ডজনের বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি বেসরকারি। ইউক্রেনের বিদ্যুৎ বিষয়ক কোম্পানি ডিটিইকে বলেছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে দনিপ্রো এবং ওডেসায় বিদ্যুৎ বিষয়ক তাদের স্থাপনায় বড় আকারে হামলা করেছে রাশিয়া। এতে বড় মাপের ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে উভয় অঞ্চলেই মারাত্মক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। কোম্পানি আরও বলেছে, তারা অধিবাসীদের বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়ার জন্য কঠোর কাজ করছে। সামরিক অস্ত্র উৎপাদন এবং দেশটির নৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করার জন্য তিন বছরের যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়ার টার্গেট নিয়েছে মস্কো।  

এ অবস্থায় পুতিনের ওপর আরও চাপ বাড়াতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। তিনি বলেছেন, সহসা বা পরে, কখনোই আলোচনার টেবিলে আসবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও বলেন, যদি শান্তির বিষয়ে পুতিন সিরিয়াস হতেন তাহলে বিষয়টি খুবই সাধারণ হয়ে যেতো। তাকে ইউক্রেনে বর্বর হামলা বন্ধ করতে হবে এবং যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হতে হবে। স্টারমার আরও বলেন, তাকে সামনে আরও চাপে রাখতে হবে আমাদের। শান্তির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। স্টারমারের শনিবারের বৈঠকটি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে হয়। এতে ইউরোপিয়ান অংশীদার ও ইউক্রেনের নেতারা সহ ২৫টি দেশের যুক্ত হওয়ার কথা। এর মধ্যে আছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নির্বাহীরা। 
 

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status