খেলা
আরও দীর্ঘ হলো মুমিনুলের ৭ বছরের অপেক্ষা
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার
সাত বছর ধরে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি নেই মুমিনুল হকের। সেই অপেক্ষা ফুরোতে পারতো গতকালই। কাভারের ওপর দিয়ে চমৎকার ছক্কায় ৯২ রানে পৌঁছে সেই আভাসই দিয়েছিলেন তিনি। তবে পরের বলেই আউট হওয়ায় অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হলো। যদিও ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে তার দল আবাহনী। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের পঞ্চম রাউন্ডে গতকাল বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৮০ রানে জিতেছে আবাহনী। ৩১০ রান তাড়ায় ২৩০ রানে থামে ব্রাদার্সের ইনিংস। ৫ ম্যাচে টানা ৪ জয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। সমান ম্যাচে চতুর্থ হারে ব্রাদার্স আছে ৯ নম্বরে। এদিন টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে আবাহনী। মোহাম্মদ মিঠুন ও মুমিনুল হক মিলে সেই ধাক্কা সামলান। দুজনে মিলে গড়েন ১৪৩ রানের জুটি। ৭৪ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৯২ রান করে আউট হন মুমিনুল। ২০১৮ সালের পর লিস্ট ্তুএ্থতে সেঞ্চুরি নেই তার। প্রায় সাত বছরের অপেক্ষা দূর করার আশা জাগালেও ৮ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। ৮৬ বলে ৭১ রান আসে মিঠুনের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, রকিবুল হাসানরা ছোট ছোট কার্যকর ইনিংস খেলে দলকে তিনশ পার করান। রান তাড়ায় নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ব্রাদার্স। পুরো ৫০ ওভার খেলেও ৭ উইকেটে ২৩০ রানে থামে দলটি। ৭৮ বলে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন অধিনায়ক মাইশুকুর রহমান। আবাহনীর হয়ে ২টি উইকেট করে নেন মোসাদ্দেক ও মেহরব হোসেন।
আবারও হারলো প্রাইম ব্যাংক
মিরপুরে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪২২ রান করে জয়ের পর টানা দুই ম্যাচ হারলো প্রাইম ব্যাংক। গতকাল পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ৯৪ রানে হেরেছে তারা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপ অলআউট ১৮৩ রানে। রান তাড়ায় প্রাইম ব্যাংক ২৩.২ ওভারেই অলআউট হয় ৮৯ রানে। স্বল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই খেই হারায় প্রাইম ব্যাংক। ২২ বলে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন রিশাদ হোসেন। ২৭ বলে ১৫ রান আসে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট থেকে। ৭ জন দুই অঙ্কের ঘরেই পৌছাতে পারেননি। গাজী গ্রুপের হয়ে আবু হাশিম ৩ উইকেট নেন। এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে গাজীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ছাড়া কেউ উইকেটে থিতু হতে পারেননি। ৪৪ বল খেলে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন এনামুল হক। ৭১ বলে ৩৫ রান আসে আমিনুল ইসলামের ব্যাট থেকে। শেষ পর্যন্ত এই দুজনের ইনিংসই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম ও আরাফাত সানি। ২টি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও রিশাদ হোসেন।