অনলাইন
উইঘুরদের চীনে ফেরত পাঠানোয় থাই কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ মাস আগে) ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:৪৮ অপরাহ্ন

উইঘুর সম্প্রদায়ের ৪০ পুরুষকে চীনে নির্বাসনে পাঠানোর জেরে বর্তমান ও সাবেক থাই কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। উইঘুরদের সেখানে কারাগারে যেতে হতে পারে। এমনকি তারা মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে এমন উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও তাদের নির্বাসনে পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই পদক্ষেপ। তবে কজনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেই সংখ্যাটি এখনো স্পষ্ট নয়।
সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘তিনি অবিলম্বে নির্বাসনের জন্য দায়ী বা জড়িত বর্তমান ও সাবেক থাই কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে চলেছেন।’ যদিও কোনো থাই কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। ভিসা বিধিনিষেধ ব্যাখ্যা করা হয়নি তবে ওই ব্যক্তিদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পথ বন্ধ হতে পারে।
রুবিও এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘উইঘুর ও অন্যান্য গোষ্ঠীকে বলপূর্বক চীনে ফেরত পাঠানোর জন্য সরকারকে যেভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে, এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশেষ করে যেখানে তারা নির্যাতন বা জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়।’
তবে ওয়াশিংটনের থাই দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। উইঘুররা চীনের সুদূর পশ্চিমের জিনজিয়াংয়ের একটি তুর্কি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম গোষ্ঠী। তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় দমন নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে কয়েক দশকের বিরোধের পর চীনা সরকার উইঘুরদের ওপর একটি নৃশংস দমন অভিযান শুরু করে, যেটিকে কিছু পশ্চিমা সরকার গণহত্যা বলে মনে করে। থাই কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সালে চীন থেকে পালিয়ে আসা ৩০০ জনেরও বেশি উইঘুরকে আটক করেছিল। ফেব্রুয়ারির মধ্যে থাই আইনপ্রণেতা এবং আন্তর্জাতিক কর্মকর্তাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তাদের চীনে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়। সেইসময় ৪৮ জন উইঘুর থাই কর্তৃপক্ষের অধীনে থেকে যায়।
রুবিও এই প্রত্যাবর্তনের নিন্দা করে বলেছেন, ‘উইঘুররা চীনে নিপীড়ন, জোরপূর্বক শ্রম এবং নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছেন’। অন্যদিকে থাই কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, ‘তাদের চীন সরকার আশ্বস্ত করেছে উইঘুর পুরুষদের জরিমানার মুখে পড়তে হবে না।’
ফেসবুক পোস্টে ব্যাংককের চীনা দূতাবাস বলেছে, যে ৪০ জন চীনা নাগরিককে পাচার করা হয়েছিল তাদের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে জিনজিয়াংয়ে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছিল এবং তারা সবাই দেশে ফিরেছেন। ১০ বছরেরও বেশি সময় পরে তাদের পরিবারের সঙ্গে তারা পুনরায় মিলিত হয়েছে।
দূতাবাস পারিবারিক পুনর্মিলনের সেই ছবিও পোস্ট করেছে। রুবিও বেইজিংয়ের বড় সমালোচক। উইঘুর ও হংকংয়ের মানুষের অধিকারকে সমর্থনের জন্য ২০২০ সালে তার ওপর দু’বার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল চীনা সরকার।
সূত্র: এপি নিউজ