শেষের পাতা
চাল ছাড়া অন্য পণ্যের দাম নিম্নমুখী
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার
রমজান মাসে অধিকাংশ পণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকলেও চালের দাম বেশি। এরমধ্যে রোজা শুরুর পরও বাজারে কিছু কিছু চালের দাম কেজিপ্রতি দুই থেকে চার টাকা বেড়েছে। সবজির মধ্যে কয়েকটি ছাড়া বাকি সবজিগুলোর দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। অর্থাৎ মৌসুম নয় এমন সবজিগুলোর দামই বাড়তি। রমজানের শুরুতে বেগুনের দাম ১০০ টাকার উপরে উঠলেও এখন তা ৮০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে। বাকি সবজিগুলোতে স্বস্তি রয়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর বাজারে ভালোমানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। মাঝারি চালের দাম ৭০ থেকে ৭৬ টাকা আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬২ টাকায়। কয়েকটি বাজার ঘুরে ৫৮ টাকার নিচে কোনো মোটা চাল পাওয়া যায়নি। মোটামুটি ভালোমানের মোটা চাল কিনতে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দিতে হচ্ছে নিম্ন্নআয়ের মানুষকে। তবে একসঙ্গে বেশি পরিমাণে নিলে দু’-একটাকা কম পাওয়া যায়।
চালের খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে তিনদফা চালের দাম বেড়েছে। কেজি প্রতি প্রায় ৮ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। এরমধ্যে শুধু একদফা দুই-একটাকা কমেছিল।
রামপুরা বাজারের চাল বিক্রেতা জামাল বলেন, শেষ গত এক সপ্তাহে আবারো চালের দাম কেজি প্রতি দুই টাকা বেড়েছে। রশিদ, উৎসব ডায়মন্ড, মোজাম্মেল ইত্যাদি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের সরু মিনিকেট চালের ২৫ কেজির বস্তায় ৫০ টাকা বেড়েছে। এই চাল ৮৬ থেকে ৮৮ টাকা কেজি পড়ছে।
এদিকে বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম আগের মতো স্থিতিশীল দেখা গেছে, কিছু পণ্যের দাম নিম্নমুখীও আছে। রোজার শুরুতে সয়াবিন তেলের যে সরবরাহ সংকট ছিল তাও এখন কমেছে। সব দোকানে খোলা সয়াবিনের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও কোথাও কোথাও বোতলজাত তেলের সরবরাহে এখনো কিছুটা ঘাটতি দেখা গেছে।
বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, প্রতিকেজি ক্ষিরা ৫০ টাকা, প্রতি কেজি শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি কেজি শসা ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ১০০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, লেবু মানভেদে প্রতি হালি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত বছর উত্তাপ ছড়ানো পিয়াজেরও ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। খুচরা পর্যায়ে দেশি ভালোমানের প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪৫ টাকা। যেখানে গত বছর এ সময় বাজারে প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হয়েছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। একইভাবে আলুর দাম অর্ধেক কমে এখন ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা রানা বলেন, অন্যান্য রমজানের তুলনায় এখনো আমাদের সবজির বাজার নাগালের মধ্যে রয়েছে। দুই-তিন ধরনের সবজি ছাড়া বাকি সবজিগুলোর দাম তুলনামূলক কম যাচ্ছে। তবে বেশি দামের যে কয়েকটি সবজি রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, এগুলোর এখন মৌসুম নয় বলেই বাজারে সরবরাহ খুবই কম, তাই দাম বাড়তি।
সবজি বিক্রেতা আলী বলেন, অন্যান্য রমজানের সময়ের তুলনায় এ বছর রমজানে সব সবজির দামই তুলনামূলক কম যাচ্ছে। বাজার সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। তবে ঢ্যাঁড়শ, করলা, পটলের দাম তুলনামূলক বেশি। কারণ, এগুলো মৌসুমের সবজি নয়।
পাঠকের মতামত
"Padma, Jamuna, Meghna" Nadir Side-e Prochur "Daab Gasc" lagano uchit.
মধ্যসত্ত্বভোগী মাফিয়া দালালরা এর জন্য দায়ী - শাস্তি চাই
ডাবের দাম ঊর্ধ্বমুখী।