বাংলারজমিন
৩০ লাখ টাকায় ১০ জেলে মুক্ত, বনদস্যুদের কাছে এখনো আটক ৫
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবারবঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী দুবলা ও আলোর কোলের মধ্যবর্তী আন্দারমানিক এলাকায় গত তিন সপ্তাহ পূর্বে বনদস্যদের হাতে জিম্মি ১৫ জেলার মধ্যে ১০ জেলেকে মুক্তিপণে মুক্তি দিয়েছে দস্যুরা। অন্যদিকে এখনো ৫ জেলে দস্যুদের হাতে জিমি রয়েছে। মুক্ত হওয়া জেলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, জনপ্রতি প্রায় তিন লাখ টাকা মুক্তি পণ দিয়ে গত ২/৩ দিন আগে তাদেরকে মুক্ত করা হয়েছে। গোপনীয়তার স্বার্থে বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করেননি জেলে পরিবার।
জেলেদে পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, দস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন পদক্ষেপ না থাকায় জিম্মি মুক্তির অবসান ঘটেনি। তাই মুক্তিপণে তাদেরকে মুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিপণ দিতে না পারায় এখনো জিম্মি রয়েছে শাজাহান মিয়া, রিপন, নাথুন বিশ্বাস। এছাড়া অন্য একজনের নাম জানা যায়নি। তবে ঝুঁকি থাকায় পরিবারে অনুরোধে মুক্তি পাওয়া জেলেদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। তিন লাখ টাকা মুক্তিপন দিয়ে মুক্তি না মেলায় শাহজাহান স্ত্রীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন, দুর্গম এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে যেখানে কোস্টগার্ডের দ্রুতযান না থাকার কারণে দস্যুদের ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে। তাছাড়া দস্যদের হাতে অপহরণের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তেমন তৎপর না থাকায় দুবলসহ বিভিন্ন জেলে পল্লীতে হাজার হাজার জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করেছে। অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে বঙ্গোপসাগর সহ সুন্দরবনে দুই তিনটি দল ক্রমাগত দস্যুতি চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রতিহত করতে না পারলে সুন্দরবন ও সাগরে ব্যবসা করা মৎস্য ব্যবসায়ীদের পক্ষে মুশকিল হয়ে যাবে।
এদিকে গত তিন সপ্তাহ আগে বনদস্যদের হাতে জিম্মি ১৫ জেলের বিষয়টি ১৮ ফেব্রুয়ারি শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হয়। শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. শহীদুল্লাহ বলেন অপহরণের বিষয়ের তিনি শুনেছেন তবে এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতম কর্তৃক অভিহিত করবেন জানান।