খেলা
অন্তিম মুহূর্তের গোলে শেষ ষোলোতে বায়ার্ন
স্পোর্টস ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ১২:১৮ অপরাহ্ন

চ্যাম্পিয়নস লীগের প্লে অফ পর্বের প্রথম লেগে ২-১ গোলে জেতে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে মঙ্গলবার ঘরের মাঠে সেল্টিকের বিপক্ষে বড় পরীক্ষা দিতে হয় জার্মান জায়ান্টদের। নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে তখন যোগ করা সময়ের খেলা চলছে। ম্যাচে এক গোলে এগিয়ে থাকা সেল্টিক তখন অতিরিক্ত সময়ের অপেক্ষায়। কিন্তু এমন কিছু হতে দেয়নি বায়ার্ন। আলফান্সো ডেভিসের যোগ করা ৪ মিনিটের গোলে ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র হলেও শেষ ষোলোতে পৌঁছে বাভারিয়ানরা।
আলিয়েঞ্জ অ্যারেনায় ২৩টি শটের মধ্যে ১০টি লক্ষ্যে থাকে স্বাগতিকদের। অন্যদিকে ৫টির মধ্যে ৩টি শট লক্ষ্যে রাখতে পারে সেল্টিক। প্রথম থেকেই চাপ প্রয়োগ করে খেলতে থাকে বায়ার্ন। দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না জার্মান জায়ান্টরা। বেশ কয়েকটি পাল্টা আক্রমণ চালায় সেল্টিকও। তবে জালের খোঁজ না পেয়ে গোলশূন্য বিরতিতে যায় দু’দল। মাঠে ফিরে ইংলিশ ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনের বদলি হিসেবে নামেন কিংসলে কোম্যান। দু’মিনিটের মধ্যে গোলের দারুণ এক সুযোগ পেয়ে যায় বায়ার্ন। বক্সের ভেতর গোলকিপারকে এক পেয়ে যান লিয়ন গোরেৎস্কা। তবে এই জার্মান মিডফিল্ডারের শট রুখে দেন সেল্টিক কিপার ক্যাসপার স্মাইকেল। ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে সফলতা পায় স্কটিশ ক্লাবটি। নিজেদের অর্ধে বায়ার্ন পজিশন হারালে দ্রুত আক্রমণ চালায় সফরকারীরা। বক্সের সামনে বাভারিয়ানদের দক্ষিণ কোরিয়ান ডিফেন্ডার কিম মিন-জে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। দারুণ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন জার্মান ফরোয়ার্ড নিকোলাস কুন। এই গোলে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২। গোলের পরপর নড়েচড়ে বসে বায়ার্ন। জার্নাব্রির জায়গায় লেরয় সানে ও রক্ষণভাগের রাফায়েল গেরেইরোর জায়গায় আক্রমনভাগের ডেভিসকে নামান কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি। মাঠেও তার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। একের পর এক আক্রমণে তেঁতে ওঠে স্বাগতিকরা। তবে ফিনিশিং দুর্বলতার কারণে জাল খুঁজে পাচ্ছিল না কোম্পানির শিষ্যরা। ৭৯তম মিনিটে জশুয়া কিমিখের শট এক প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জালে জড়াতে যাচ্ছিল। তবে স্মাইকেলের ক্ষীপ্রতায় অক্ষত থাকে জাল। নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ে রঙিন হয়ে ওঠে আলিয়েঞ্জ অ্যারেনা। গোরেৎস্কার শট রুখে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি সেল্টিক কিপার। বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলে তা ডেভিসের পায়ে লেগে জালে ঢুকে যায়। ১-১ গোলের ড্রতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ ষোলোতে যায় বায়ার্ন মিউনিখ।