শেষের পাতা
দুদকের মামলা
লোটাস কামাল পরিবারের ১৬৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শুক্রবারঅবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগে তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও পৃথক আরও তিনটি মামলা করা হয়েছে।
গতকাল বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম মুস্তফা কামাল ও তার পরিবারের নামে ১৬৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৮৫০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে ৪টি মামলা করা হয়েছে।
প্রথম মামলায় আ. হ. ম মুস্তফা কামাল ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩১ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া নিজ নামে ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত ৩২টি হিসাবে মোট ৪৪৬ কোটি ৪২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় স্ত্রী কাশমিরি কামাল ও স্বামী আ. হ. ম মুস্তফা কামালকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ২৬ কোটি ৬৪ লাখ ১ হাজার ১৩৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
তৃতীয় মামলায় কাশফি কামাল ও তার বাবা মুস্তফা কামালকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় কাশফি কামালের নামে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়। এ ছাড়া তিনি নিজ ও ব্যবসায়িক ৩৮টি অ্যাকাউন্টে মোট ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
চতুর্থ মামলায় নাফিসা কামালের নামে ৬২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়। তার নামে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ১৭টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মোট ১৯৯ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় মামলাগুলো হয়েছে।