শেষের পাতা
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন ট্রাম্প
মানবজমিন ডেস্ক
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার
ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্ব গ্রহণের পর তেহরানের ওপর এটিই প্রথম মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়ে বলেছে, তেহরানের ‘তেল নেটওয়ার্ক’ এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য। ট্রাম্পের পূর্বসূরি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময় মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, জাহাজ ও ব্যক্তিবিশেষ নতুন আরোপিত এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় পড়বে। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে দাবি করেন, ইরান সরকার তার তেলের রাজস্ব থেকে সুবিধা আদায় করার ওপর মনোযোগ দিয়ে চলেছে; যার লক্ষ্য হলো, নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচির উন্নয়নে তহবিল জোগাড় করা, প্রাণঘাতী ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ড্রোন) তৈরি এবং নিজের আঞ্চলিক ‘সন্ত্রাসী’ প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন প্রদান। এসব অপতৎপতায় অর্থায়ন নিশ্চিত করার ইরানের যেকোনো চেষ্টা জোরালোভাবে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অর্থ বিভাগ বলেছে, চীন, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও (ইরানের তেল খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট) তেহরানের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
এর আগে ২০১৮ সালে তেহরানের সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি বাতিল করেন ডনাল ট্রাম্প। তার প্রথম মেয়াদের মতো পুনরায় ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ পুনরুজ্জীবিত করতে নির্বাহী আদেশে সই করার দুই সপ্তাহ পরেই বৃহস্পতিবার এই পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে তার প্রশাসন। আনুষ্ঠানিকভাবে জয়েন্ট কমিপ্রহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত বহুপক্ষীয় চুক্তিটি ২০১৫ সালে স্বাক্ষর করা হয়েছিল। চুক্তিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে এগিয়ে না নেয়ার বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেয়ার কথা বলা হয়। মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চুক্তিটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করলে তা ব্যর্থ হয়। ২০২৩ সালে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর সে আলোচনা আর আগাতে পারেনি বাইডেন প্রশাসন। তারা শেষ পর্যন্ত ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে এবং তেহরানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর নীতি আরোপ করে।