অনলাইন
সমমনাদের সঙ্গে বিএনপি’র বৈঠক
সংবিধান বাতিলের পক্ষে নয়, সংস্কারের প্রস্তাব
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ৮:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:১৭ অপরাহ্ন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ‘ঘোষণাপত্র’ খসড়ায় বাহাত্তরের সংবিধান বাতিলের মতামত উঠে এসেছে। তবে এটা বাতিলের পক্ষে নয় যুগপৎ আন্দোলনের দল ও জোট। বাতিল না করে বরং সংস্কার করা যেতে পারে বলে প্রস্তাব দিয়েছেন নেতারা। একইসঙ্গে তারা জুলাই ঘোষণাপত্রে ৬৯-এর গণআন্দোলন, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং ৭ই নভেম্বরের বিষয়ে উল্লেখ করারও প্রস্তাব দিয়েছে যুগপৎ আন্দোলনের জোট ও দলগুলো। শরীকদের মতামত নিয়ে দলের প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করবে বিএনপি। পরে যুগপৎ আন্দোলনের দল ও জোটগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রস্তাব চূড়ান্ত করে তা অন্তর্বর্তী সরকারকে দেবে বিএনপি। শনিবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এতে বিএনপি’র পক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, শুধু-২৪ এর গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ঘোষণাপত্রের পক্ষে নয় যুগপৎ আন্দোলনের দল ও জোটগুলো। কারণ ৭২-এর সংবিধান বাদ দিলে বাংলাদেশ থাকে না। এ ছাড়া ৬৯-এর গণআন্দোলন, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং ৭ই নভেম্বরের বিষয়ও উল্লেখ নেই।
এখন ঘোষণাপত্র নয়, মূল উদ্দেশ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত বলেও বৈঠকে নেতারা মতামত দিয়েছেন বলেও সূত্র জানা গেছে।
এলডিপি’র মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের নেতৃত্বে বৈঠকে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওদিকে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের পক্ষে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, এনডিপির মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হারুন সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
আরও বেশি প্রয়োজন ১৯৭১। (চার ধাপ)।
poriborton kora dorkar.
জন আকাঙ্ক্ষা সামনে রেখে সংবিধান সংশোধন কাম্য।
জনগণের সরকার চাই।
গণভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক
আমাদের সংবিধান যেহেতু পরিবর্তন যোগ্য সেহেতু বাতিল না করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন বা বিয়োজন শ্রেয়।
সংবিধান বাতিল বা ব্যাপক সংষ্কার যাই হউক সেখানে জনআকাঙ্খার প্রতিফলন অবশ্যই থাকতে হবে।