অনলাইন
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন
বিএনপিকে ঠেকাতে ছাত্রদের দল তৈরির পেছনে কি জামায়াত
অনলাইন ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:২১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

সরকারের বৃহত্তম সমর্থক দল বিএনপির নেতৃত্ব প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গিয়ে চলতি বছর শেষের আগেই নির্বাচনের দাবি জানানোর পরে হঠাৎই সরগরম হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের রাজনীতি।
আন্দোলনকারী ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার বিষয়ে নীরবতা ভেঙেছে। উপদেষ্টা তথা কোটা-বিরোধী আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম সরকার থেকে ইস্তফা দিয়ে নতুন দলটির প্রধান বা সমন্বয়ক হতে চলেছেন। তবে ওই দলের দু'নম্বর পদ সদস্যসচিব কে হবেন, তা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে পারেনি। সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও প্রস্তুতি সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটির দুই নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও আখতার হোসেনের নাম এই পদের জন্য উঠছে। সুতরাং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম এখন ছাত্রদের পক্ষে সরকারে থাকছেন। এই মাসেই নতুন দলের নাম ঘোষণা হলে তথ্য ও সম্প্রচারসহ একাধিক উপদেষ্টার পদ ছেড়ে নতুন দলের হাল ধরবেন। সজীব ও মাহফুজ ইস্তফা দিয়ে দলের দায়িত্ব নেবেন কয়েক মাস পরে।
তবে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে এই দল কীভাবে নির্বাচনে অবতীর্ণ হতে পারবে, পারলেও কী তার ফলাফল হতে পারে-এসব প্রশ্ন রয়েছেই। তবে নতুন এই দল গঠনে জামায়াতে ইসলামীর সাহায্য-সহযোগিতা চোখে পড়ার মতো। হাসিনা-বিদায় এবং দেশজুড়ে শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ও স্মারক ভাঙা, ৩২ নম্বর ধানমন্ডি রোডে তার বাড়ি চুরমার করার পরেও মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যকে যে মানুষের মন থেকে মোছা যাচ্ছে না, দিব্য বুঝছেন জামায়াত নেতারা। এই ইসলামী দলটির নেতারা একাত্তরের যুদ্ধের সময়ে শুধু যে অখণ্ড পাকিস্তানের সমর্থক ছিল তা-ই নয়, পাক সেনাবাহিনীকে সাহায্যের জন্য রাজাকার, আল বদর, আল শামস-এর মতো সংগঠন গড়ে মুক্তিকামী মানুষের ওপরে ভয়াবহ নির্যাতন ও গণহত্যা চালিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতের রায়ে জামায়াতের একঝাঁক নেতার ফাঁসি হয়ে গিয়েছে! জামায়াত ভেবেছিল, নেতাদের মৃত্যুতে তারা একাত্তরের ‘পচা অতীত’ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। হাসিনা বিদায়ের পরের ছয় মাসে সেই সময়ে তাদের অবস্থান নিয়ে নতুন একটি ভাষ্য প্রচার করতে শুরু করেছেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান।
রোববারও একটি সংবাদপত্রকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘সহযোগী হিসেবে ভারত এগিয়ে আসার কারণেই তারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেননি।’ শফিকুর বলেন, ‘আমরাও বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছিলাম। কিন্তু একটা দেশের অধীন থেকে বেরিয়ে এসে আর একটা দেশের অধীন হতে চাইনি।’
জামায়াতের আমির দাবি করেছেন, ভোটের মাধ্যমে স্বাধীনতা না পেলে তারা গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতেও তৈরি ছিলেন। শফিকুরের এই দাবি শুনে হেসে ওঠেন খুনের মামলায় নাম জড়িয়ে দেয়ায় আত্মগোপনে থাকা এক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা তথা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বলেন, ‘কাদের যেন ছলের অভাব হয় না। একাত্তরে শফিকুর জামায়াতে ছিলেন কি-না জানি না, তবে আমরা মুক্তিযুদ্ধেই ছিলাম। সে সময়ে জামায়াতের কী অবস্থান ছিল, শফিকুর না-জানতেও পারেন। কিন্তু আমরা সকলেই জানি। গাল-গল্প বলে দেশের মানুষকে তিনি বোকা বানাতে চাইছেন। তার এবং বাংলাদেশের অনেকেই মনে করেন, নিজেদের মুখ থেকে মুক্তিযুদ্ধের কালি উঠছে না দেখেই জামায়াত পেছন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করাচ্ছে। নতুন দলকে সমর্থনের আর্জি নিয়ে বাকি ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে জামায়াত।
জামায়াত মনে করছে, জনপ্রিয়তার জোয়ারে ভাসা ছাত্রদের নতুন দলই পারে নির্বাচনে ধারে-ভারে বহু গুণ এগিয়ে থাকা বিএনপির অনায়াস জয়কে ঠেকাতে। একাত্তরে ‘পচা অতীত’-এর দায়ও এই তরুণ তুর্কিদের নেই।
পাঠকের মতামত
জামায়াতের দ্রুত জনপ্রিয়তা দেখে ভারত এখন আতঙ্কিত, কেননা তারা বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদে জামায়াতকে দেখতে চায়না।কারন জামায়াত একটি আদর্শিক, সৎ রাজনৈতিক দল। তাকে ভারত কিনতে পারেনি কোনদিন, ভবিষ্যতেও পারবেন-এটা তারা জানে।
দাদারা যখন পিচে লেগেচে, তাহলি ছাত্রদের দল গঠন যৌক্তিক।
ভূয়ানন্দ বাজার নামের এই পএিকা স্পষ্ট করলো আসলো বিএনপি এখন কার হয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে। বিএনপি ভূল করলে তাকে আমিলিগ থেকেও কঠিন পরিনতি বরণ করতে হবে। নিশ্চিত।
আনন্দ বাজারের এসব প্রতিবেদন কেন প্রচার করা হচ্ছে বুঝলাম না। তবে পত্রিকাটি কিভাবে মনগড়াভাব খবর/প্রতিবেদন প্রচার করছে তার উপর বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করলে পাঠকগণ সঠিক তথ্য প্রাপ্তির মাধ্যমে উপকৃত হবে বলে মনে হয়।
আনন্দ বাজার পত্রিকা ভারতীয় আধিপত্যবাদের হাতিয়ার। সুতরাং এই নিউজটার মধ্যে ভারতের আধিপত্যবাদী মতলব লুকায়িত আছে!!!
ইস্কন,সংখ্যালঘু ব্যর্থ হয়ে এই পথ
বৈষম্যবিরোধী একটি অংশের যুক্তি হলো তাঁরা আর তাঁদের চাচাতো ভাই শিবির সব ক্যম্পাসে ছাত্র রাজনীতি করবে আর কেউ রাজনীতি করার দরকার নাই। আর কেউ করতে চাইলে সাধারণ ছাত্রের খোলসে গলা ফাটাই ফেলবে। এই চিন্তাধারা তো আওয়ামীলীগের চিন্তাধারার মতই স্বৈরাচারী চিন্তাধারা। মানুষ এত বোকা না। এইসব ধান্দাবাজি মানুষ বুঝে।
জামায়াত বিএনপির ভাঙ্গনে ভারতপন্থী দলনেতা, আনন্দ গোষ্ঠী, আর ছাএ বিভেদের মাধ্যমে র এর কার্যক্রম এদেশে ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
গুজরাটের কসাই, উগ্র ব্রাহ্মণ্যবাদী জঙ্গি হিন্দুস্তানের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এজেন্ডা নিয়েই রয়েছে আনন্দ বাজার গ্রুপ। এদের মতলব ভাল নয় ..
আনন্দ বাজার হাসিনার দোসর
আনন্দবাজারের ভুয়া প্রোপাগান্ডা রিপোর্ট এভাবে হুবহু না ছাপানোর অনুরোধ করছি। ভারত নিয়ে আপনাদের রিপোর্ট কি আনন্দবাজার ছাপাবে?
দাদারা যখন পিচে লেগেচে, তাহলি ছাত্রদের দল গঠন যৌক্তিক।
সেই আওয়ামীলীগ এর পুরানো নেরেটিব আবার নতুন করে মার্কেটিং করতেছে।
অনেকাংশেই সঠিক।
ভারত ও তাদের দোসররা সব কিছুর পেছনে জামায়াত শিবিরের ষড়যন্ত্র খুঁজে ফেরে। তারা সব সময় আমাদের জাতির মধ্যে নানা বিভেদ ও সন্দেহের বীজ রোপন করতে চায়।
ভারত ও তাদের দোসররা সব কিছুর পেছনে জামায়াত শিবিরের ষড়যন্ত্র খুঁজে ফেরে।
এটা আনন্দবাজার পত্রিকার আরেক চক্রান্ত।
মুদি দোকানের নিউজে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এরা আমাদের মধ্যে বিভেদ বিভাজন সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। আমাদের ভালোমন্দ আমরা বুঝবো, কারো উস্কানি আমলে নেবনা।
আনন্দবাজার পত্রিকা এতদিন হাসিনা উৎখাত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইউনুস সরকার, বিএনপিকে দুষে আসছিল। এবার শুরু করছে অভ্যন্তরীন সংঘাত লাগানোর প্রপাগান্ডা। ভারত এবং ভারতীয় মিডিয়ার খপ্পরে যে পড়বে তার কপালে দুঃখ আছে। এত উদার হলে বিএনপিকে আগে কীসের জন্য সময় দেয়া হয়নি?