অনলাইন
সারাদেশে ধর্ষণ
প্রতিবাদে ঢাবিতে বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
(১৭ ঘন্টা আগে) ৯ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

ছবি: সংগৃহীত
সারাদেশে অব্যাহতভাবে ধর্ষণ এবং নারী ও শিশুদের ওপর চলা সহিংসতার প্রতিবাদ চলমান রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিসহ সারাদেশে একাধিক ধর্ষণের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার রাতে রাস্তায় নেমে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদী স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ।
রোববার সকালেও একাধিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল করতে দেখা গেছে। একইসঙ্গে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন একাধিক বিভাগের একাধিক ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫টি বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের বিচার না হওয়া অবধি তাদের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এসব বিভাগের মধ্যে রয়েছে ইংরেজি, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন, দর্শন, প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সঙ্গীত, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইতিহাস, ভূগোল ও পরিবেশ।
ছাত্রসংগঠনগুলোও তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে ছাত্রদল সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ছাত্রশিবির। ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ ও সেক্রেটারি মহিউদ্দীন খান দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেছেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীরা ছিলেন সম্মুখ সারির যোদ্ধা। তথাপি ফ্যাসিবাদ পরবর্তী বাংলাদেশে এখনো নারীরা প্রতিনিয়ত নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী প্রশাসনিক কাঠামো ভাঙতে না পেরে আমাদের রাষ্ট্র নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। বয়স, পেশা, ধর্ম নির্বিশেষে নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন, তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। নারীরা নিজের ঘরে নিরাপদ না, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ না, কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ না। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী নারীর প্রতি ঘটা সহিংসতাকারীদেরকে শনাক্ত করতে প্রায়ই ব্যর্থ হয়। আটক করলেও জামিনে ছেড়ে দেয়া হয়। আইন মোতাবেক সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড লিখিত থাকলেও তা কার্যকর করা হয় না।’
এদিকে আজ সকালে ঢাবির সকল নারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নেত্রী রাফিয়া রেহনুমা হৃদিকে বার্তা প্রেরক করে দুই দফা দাবি জানানো হয়।
দাবি দু’টি হলো-
১. অনতিবিলম্বে ধর্ষণবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে সকল ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২. মাগুরায় ধর্ষণে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত দাবি বাস্তবায়ন না হবে, ততদিন ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ তাদের কর্মসূচি বহাল রাখবে।
পাঠকের মতামত
ধর্ষণ বা বলাৎকারের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। ধর্ষণ বা বলাৎকার একজনকে হত্যা করার শামিল।