দাপুটে জয়ে টিকে থাকলো টাইগ্রেসদের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার আশা

প্রথম ওয়ানডেতেও দুইশ’র নিচে পুঁজি নিয়ে একদম লড়াই করা যায়নি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও দুইশ’র নিচে পুঁজি পেলো বাংলাদেশ। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ফিফটিতে পাওয়া ওই পুঁজি এবার সামলে নিলেন বোলাররা। বোলারদের অসাধারণ নৈপুণ্যে বাংলাদেশ পেয়ে গেল ৬০ রানের ঐতিহাসিক জয়। সেন্ট কিটসে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে জ্যোতির ১২০ বলে ৬৮ রানে ভর করে বাংলাদেশের মেয়েরা পায় ১৮৪ রানের পুঁজি। জবাবে স্রেফ ১২৪ রানে থেমে যায় স্বাগতিক দল। নারীদের ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের প্রথম কোনো জয়। এতে সিরিজে এসেছে ১-১ সমতা। ৩৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের সফলতম বোলার বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা। লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন ১৭ রানে ২ ও রাবেয়া খান ১৯ রানে নেন ২ উইকেট। পেসার মারুফা ৩৫ রানে ২ উইকেট তুলে বেঁধে দেন সুর। ১৮৫ রানের লক্ষ্যে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তৃতীয় ওভারে প্রথম আঘাত দেন মারুফা। কিয়ানা জোসেফকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান তিনি। বিপজ্জনক হেইলি ম্যাথিউস থামেন নবম ওভারে। ১৬ করা ব্যাটারকে থামান নাহিদা। খানিক পর দান্দেন্দ্র ডটিনকেও তুলে নেন মারুফা। শেমাইন ক্যাম্পবেল আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন দলের। ২৮ রান করা কিপার ব্যাটারকে বোল্ড করে দেন নাহিদা। মান্ডি মানগ্রুকেও নাহিদা শিকার বানালে ৭০ রানে পড়ে যায় ৬ উইকেট। বাকিরাও উইকেট নেয়া শুরু করলে আর ম্যাচে থাকেনি ক্যারিবিয়ানরা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশও পড়েছিল বিপর্যয়ে। 
৫৬ রানে পড়ে যায় ৩ উইকেট। এরপর সোবহানা মুশতারিকে নিয়ে জুটি গড়েন জ্যোতি। দু’জনের ৫১ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর কিছুটা পথ মিলে যায়। মুশতারির পর ফাহিমা খাতুন দ্রুত ফিরে গেলে স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে এগুতে থাকেন জ্যোতি। তিনিই পুরো ইনিংসে টেনে নেন দলকে। স্বর্ণা ২১ করে আউট হয়ে গেলে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে দৃঢ়তা দেখান জ্যোতি। ৪৯তম ওভারে থামার আগে ৭ চারে ৬৮ করে বাংলাদেশের অধিনায়ক। তিনি আউট হওয়ার পর আর কোনো রান যোগ হয়নি, তবে তাতেই মিলে যায় জয়ের ভিত।