অনলাইন
থানার প্রতিটি অলি গলিতে ওসিদের পদচারণা থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ২০ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৭:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:০৬ অপরাহ্ন

যেকোন উদ্ভূত সমস্যা তাৎক্ষণিক মোকাবেলা করার জন্য থানার প্রতিটি অলি গলিতে ওসিদের পদচারণা থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। সোমবার বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ঢাকার ৫০টি থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ভুক্তভোগী বা পুলিশি সেবা প্রত্যাশী সকলের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। থানায় কর্মরত অধীনস্থ সকলকে নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিং করতে হবে। আমাদেরকে মানুষের নিরাপত্তার যে পবিত্র দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। মানুষ যাতে ন্যয় বিচার পায় এজন্য সঠিক পথে চলতে হবে।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, মানুষের সঙ্গে যত বেশি সম্পর্ক তৈরি করবেন তত বেশি তথ্য পাবেন। এজন্য ওসিদেরকে মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। তথ্য বেশি পেলে অপরাধ ঘটার পূর্বে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এছাড়া মামলাযোগ্য সকল ঘটনায় যথাসময়ে মামলা নিতে এবং জিডির বিষয়ে যথাযথ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণও করতে হবে। থানা এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে তিনি বলেন, অযথা যে সমস্ত মাইক্রোবাস বা প্রাইভেটকার ঘোরাঘুরি করে সেগুলো তল্লাশি করতে হবে। ছিনতাই প্রতিরোধে বিশেষ করে ভোর বেলায় পুলিশি টহল আরও জোরদার করতে হবে।

চাঁদাবাজ যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। মতবিনিময় সভায় ছুরিকাঘাতে আহত হওয়া সত্ত্বেও নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও কুখ্যাত ছিনতাইকারিকে গ্রেপ্তারের জন্য ভাটারা থানার এএসআই মো. মেসবাহ উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার। এসময় অনান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এস. এন. মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
ওসি পর্যায়ে যারা দায়িত্ব পাবে তাদেরকে মধ্যপ্রাচ্যে থেকে তিন মাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে দায়িত্ব দেয়া উচিৎ।