অনলাইন
গাজা যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার সাথে সাথে মুক্তির স্বাদ পেলেন জিম্মি তিন ইসরাইলি নারী
মানবজমিন ডিজিটাল
(৪ সপ্তাহ আগে) ২০ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ২:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন

১৫ মাস ধরে চলা একটানা যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড প্রায় ছিন্নভিন্ন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত, যুদ্ধে ক্লান্ত ফিলিস্তিনি বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা জুড়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করেছেন ।জাবালিয়ার উত্তরাঞ্চলে, শত শত লোক একটি বালুকাময় পথ বেয়ে ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে নিজেদের আস্তানায় ফেরা শুরু করেছেন। গাজা থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনজন ইসরাইলি জিম্মি। মুক্তিপ্রাপ্ত তিন পণবন্দি হলেন রোমি গোনেন, এমিলি দামারি এবং ডোরন স্টেইনব্রেচার।
তিন ইসরাইলি পণবন্দিকে রেড ক্রসের হাতে তুলে দেয় হামাস গোষ্ঠী। ‘দ্য হোস্টেজেস ফ্যামিলিজ় ফোরামে’র দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২৪ বছর বয়সী রোমি গোনেন থাকেন ইসরাইলের কফার ভ্রাদিম এলাকায়। তিনি নাচতে এবং বেড়াতে ভালোবাসেন। ২০২৩-এর ৭ অক্টোবর, তাকে নোভা উৎসব থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। রোমির চার ভাইবোন রয়েছে। ২৮ বছর বয়সী এমিলি দামারি, কফার আজা শহরের বাসিন্দা হলেও, তিনি আদতে বৃটিশ নাগরিক। বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বারবিকিউ এবং কারাওকে তার বিশেষ পছন্দের বিষয়। বিভিন্ন ধরনের টুপি সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন।
৭ অক্টোবর, কফার আজায় তার বাড়ি থেকেই অপহরণ করা হয়েছিল তাকে। তার বন্ধু গ্যালি এবং জিভ বারম্যান এখনও হামাসের হাতে বন্দি। ডোরন স্টেইনব্রেচারের বয়স ৩১ বছর। তিনি থাকেন কফার গাজার শহরে। ডোরন, পশুচিকিৎসার নার্স। ছোটবেলা থেকেই তিনি পশুপ্রেমী। এ ছাড়া, তিনি খেলাধুলা করতে, বিশেষ করে দৌড়াতে খুব ভালোবাসেন।
প্রতি শনিবার ভোরে তিনি কিবুটজের চারপাশে দৌড়ান। মুক্তি পাবার পর এর পর তারা কোথায় যাবেন? ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গাজ়া-ইসরাইল সীমান্তের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রথমে এই তিন মুক্তিপ্রাপ্ত পণবন্দির মেডিক্যাল টেস্ট হবে। তার পর তাদের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। আইডিএফ আরও জানিয়েছে, এর জন্য তারা তাদের বায়ুসেনার একটি হেলিকপ্টার তৈরি রেখেছে। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে এই তিন জনের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র পাঠানো হয়েছে। হেলিকপ্টারেই সেগুলি রাখা আছে। ৪৭১ দিন পর এমিলি অবশেষে বাড়িতে ফিরছে।
তার মা ম্যান্ডি দামারি বলছেন, ‘আমার মেয়ে ফিরলেও অন্য অনেক পরিবার তাদের প্রিয় জনের অপেক্ষায় রয়েছে। ‘যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট পরে, জাতিসংঘ বলেছে যে মানবিক সহায়তা বহনকারী প্রথম ট্রাকগুলি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি খেয়াল রাখতে হবে যাতে যুদ্ধবিরতির সময় মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে যেতে পারে।
সূত্র : দ্য হিন্দু