অনলাইন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ২:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১১ পূর্বাহ্ন

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের দুটো সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদি কম সংস্কার হয়, সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। যদি রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিয়ে আমরা আরও বেশি কিছু সংস্কার করিয়ে নেবো সেক্ষেত্রে ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচনের কথা উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন। সত্যিকার অর্থে আমরা যে খুব বেশি সময় নিচ্ছি তা তো না। খুবই যুক্তিযুক্ত একটা সময়ের কথা প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন।’
রোববার সকালে কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আপনাদের মনে রাখতে হবে এই সরকারে যারা আছেন, তাদের কারও এই পাওয়ারের ওপর লোভ নেই। স্ব স্ব জায়গায় তারা বুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন। সেখানে কাজ করে তারা আনন্দ পান, তারা সেখানে ফিরে যাবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো নির্বাচন উপহার দেয়া। প্রধান উপদেষ্টা সেটা বলেছেনও। সেই আলোকে আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করি, দরকারি সংস্কারের পর সামনে যে নির্বাচন হবে, সেটা একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন হবে।’
বাংলাদেশের মানুষ যারা গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি, তার সবাই আনন্দের সঙ্গে খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবেন বলে উল্লেখ করেন প্রেস সচিব।
পাঠকের মতামত
কখন নির্বাচন হবে না হবে এটা বলার এখতিয়ার মনে হয় না সচিব সাহেবের আছে।
ছাত্ররা মেধায় চাকরি পাবে, শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাবে, নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সকলে নিরাপত্তায় চলাফেরা করবে, ন্যায় বিচার পাবে, সুশিক্ষা ও সুচিকিৎসা পাবে এমন পরিবেশ তৈরি করাই হলো সংস্কার। যে দল বা জোট এটার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হবে তারাই ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতে পারে। এটা আমার একান্ত প্রত্যাশা।
জনগন চায় দ্রুত নির্বাচন। কারন, বর্তমান সরকার সবকিছু সামলাতে পারছে না। এখন সবাই নিজেকে সরকার মনে করতেছে, এজন্য যার যেটা মন চায় তাই করছে। একটা পরিবারে যেমন সবাই বেশি বুঝলে পরিবারের বারোটা বেজে যায় ঠিক তেমনই দেশের অবস্থা। নির্বাচিত সরকার থাকলে সবকিছু নিয়ন্ত্রনে থাকে। তবে নির্বাচিত সরকার যদি অতীত থেকে শিক্ষা না নিয়ে থাকে তাহলে তাদেরও আর রক্ষা হবে না প্রিয় এই মাতৃভুমিতে ধন্যবাদ
নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন চাই। অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে দেশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ইতোমধ্যেই প্রমাণ হয়ে গেছে।
সংস্কার চায়না একমাত্র বিএনপি। বিএনপি যতই বড় দল বলে দাবী করুক তাদের অতীত ইতিহাস হচ্ছে ৩০-৩৫% ভেটারের দল। বাকী ৬৫% ভোটারের দলগুলির মতামতের চেয়ে কি ৩৫% এর প্রাধান্য বেশী? সংস্কারের বিষয়র গণভোট প্রদান করা হোক। জনগন সংস্কার না নির্বাচন কোনটাকে সমর্থন করে তদনুযায়ী নির্বাচনের দিকে অন্তরবর্তি সরকারের এগুনো উচিত। বড় দল বলে প্রতিটা বিষয়েই বড় ভাই সুলভ আচরন গণতন্ত্রে শোভনীয় নয়।বিএনপি ক্ষমতা পাওয়ার আগেই অগণতান্ত্রিক আচরণ শুরু করেছে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কি করবে তা সহজেই অনুমেয়।
we want the local Government Election first PE.
রাজনৈতিক দলগুলো সবিনয় একটা বিষয় জানাতে চাই আপনারা সংস্কার নিয়ে যত রিপোর্ট হয় সেই রিপোর্ট গুলোর কমেন্ট গুলো সময়নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়েন। তাহলে সব পরিস্কার হবে। আমরা চাই আপনারা দেশের মানুষের মন বুঝে রাজনিতী করুন।
সংস্কারের নামে ক্ষমতা দীঘায়িত করার প্রয়োজন মনে করি না। নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনই জনগণের একমাত্র চাওয়া।
আপনারা শুধু রাজনৈতিক দলগুলার কথা বলছেন! জনগণের কথা বলছেন না কেন? জনগণ চায় সংস্কার; ৪ বছর সময় লাগলেও সমস্যা নাই। রাজনৈতিক দলগুলা তো ক্ষমতার জন্য দেশকে বিক্রি করে দিবে। তখন?
That's the spirit .
এইটা কেমন কথা । তাহলে এই ছয়মাস কি করলেন।
তারা যেন তেন সংস্কার ই চাইবে , কারণ এটি তাদের স্বেচ্ছাচারিতার পথ বন্ধ দেবে, যা তাদের পছন্দ না, ক্ষমতায় আসলে তারা কি সংস্কার করবে জনগণ তা জানে
প্রয়োজনীয় সংস্কারের আগে কোন নির্বাচন চাই না
সংষ্কারের জমা পড়া রিপোর্টগুলো থেকে যা জানলাম, মনে হয় এখানেই থামা প্রয়োজন।
আপনারা যদি রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়া পূরণ করতে আসেন তবে, রাস্তা মাপেন? যারা দেশের মানুষের চাওয়া পাওয়ায় রুপান্তর করতে পারবে তাদের নিয়ে আসা হবে।