খেলা
সচেতনতা নয়, সমস্যা হওয়ার পর সমাধান করতে চায় বিসিবি!
স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৮ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবারএ যেন বাংলা সিনেমার চিরচেনা স্ক্রিপ্ট! ঘটনা ঘটার পর পুলিশ হাজির হয়! বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) বিসিবি’র ভূমিকাও যেন তেমন। ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক পান না সময়মতো, রীতিমতো ধর্মঘটে যেতে হয় তাদের। অথচ বিসিবি সেটা জানতে পারে সবার পরে। এরপর শেষ মুহূর্তে এসে সুপারম্যানের মতো সমস্যার সমাধান করে হিরো সাজার প্রবণতা। এবারের বিপিএলে পারিশ্রমিক না পেয়ে অনুশীলন বয়কট করে দুর্বার রাজশাহী দলের ক্রিকেটাররা। সেদিন রাতে ঢাকা থেকে উড়ে এসে ক্রিকেটারদের সঙ্গে মিটিং করেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। যদিও সেদিন কোনো সমাধান আসেনি, তবে মিটিং থেকে বের হয়ে আশার বানী শোনান বিসিবি পরিচালক মনজুর আলম। পরের দিন রাত ৯টার পরে পারিশ্রমিক হাতে পান ক্রিকেটাররা। অথচ এই ঘটনার অন্তত এক সপ্তাহ আগেই বিসিবি জানতো, পারিশ্রমিক নিয়ে অস্থিরতা চলছে রাজশাহী দলে। কারণ দলটির বিদেশি কোচরা এ বিষয়ে বিসিবিকে চিঠি দেয়। তাহলে তখন কেন বিসিবি পদক্ষেপ নিলো না! গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে বিপিএলের বিতর্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়। তাদের ভূমিকা নিয়েও জানতে চাওয়া হয়, কেনো তারা কিছু আগে জানতে পারেন না! সব প্রশ্নেই জানেন না, অবগত নন এগুলোই ছিল তার উত্তর। ক্রিকেটাররা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে হওয়া চুক্তিপত্রও হাতে পায়নি। এ প্রসঙ্গে অবগত কিনা প্রশ্নের উত্তরে ফাহিম বলেন, ‘না। সত্যি বলতে আমি ওভাবে জানি না।’ এ সময় পাশ থেকে আম্পায়ারস কমিটির চেয়ারম্যান মিঠু বলেন, ‘যখন জেনেছি আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। রাজশাহীর সমস্যাটা কিন্তু সভাপতিও যুক্ত হয়ে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।’ তবে দলগুলো খেলোয়াড়দের টাকা দিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার প্রশ্নে কোনো পরিচালকই সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। মিঠু বলেন, ‘ঠিক আছে কিন্তু যারা সমস্যায় পড়বে তাদের তো জানাতে হবে। ম্যানজেমেন্ট বা খেলোয়াড়, যখন তারা আসবে আমরা এটা দেখবো।’ আর ফাহিম বলেন, ‘যখন পেমেন্ট পাবে না তখন তো আমাদের কানে আসবেই। রাজশাহীর ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে আমাদের কানে এসেছে আমরা সমাধান করে দিয়েছি।’