অনলাইন
ছাগলকাণ্ড: মতিউর ও তার স্ত্রী লাকি গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
(৪ মাস আগে) ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৯:১২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:১৯ পূর্বাহ্ন

বহুল আলোচিত ছাগলকাণ্ডে জড়িত সাবেক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিএমপির মুখপাত্র ও উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, মতিউরের ছেলে গত বছর ১২ লাখ টাকা দামের একটি কোরবানির ছাগলের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে। এরপর শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। ভাইরাল হয় বিষয়টি।
এরপর থেকে মতিউরের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
পরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে।
দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের ২৪ জুন ঢাকার একটি আদালত মতিউর, তার স্ত্রী ও সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মতিউর, লায়লা কানিজ, তাদের মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা এবং অর্ণবের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করে দুদক।
পাঠকের মতামত
এত দেরী কেন? এতদিনে তো টাকা সব ম্যানেজ করা হয়ে গেছে। আগের কমিশন কেনো ৩/৪ মাস সময় নষ্ট করেছে এর জবাব দিতে হবে এবং দুর্নীতি সহায়তাকারী হিসাবে চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে।
শুধু কি এই ছাগল ছাগলিকে ধরলে চলবে ? কোথায় ছাগলের বাচ্চা ? তার বয়স কত এবং কত টাকার মালিক, টাকার উৎস কোথায় ? কোথায় ছাগল বিক্রয়কারী ?? দেশে কোথায় কোথায় তার মাল কামাবার লিংক খুঁজে বের করা জরুরি ।
এই লুটেরা গুলো কি কোন মহল থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছে, যার কারণে নিজেরাই একে একে ধরা দিচ্ছে।
এই লুটেরা গুলো কি কোন মহল থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছে, যার কারণে নিজেরাই একে একে ধরা দিচ্ছে।
এত দেরী কেন? এতদিনে তো টাকা পাচার কইরা সন্ন্যাসী সাইজা বইসে ......
এনবিআর এর প্রতিটি কর্মকতা কর্মচারির সর্ম্পদের হিসাব নেওয়া হোক
এই রকম হাজারো লুটেরা ও দুর্বৃত্ব এই দেশে আছে। এই এক মতিউরকে দ্রুত রিচার ও কঠোর শাস্তি প্রদান করে দৃষ্টান্ত স্হাপন করা হোক। লক্ষ্য রাখবেন টাকাপয়সা ছড়িয়ে যেন ফাক ফোকর দিয়ে বেড়িয়ে না যায়। কেননা অর্থের ঘ্রাণ পেলে অনেক লম্বা ব্যক্তিরাও গোলাম বনে যায়। অপেক্ষায় থাকলাম।
বিগত সব এমপি, মন্ত্রী, সচিব, বড় পদ থেকে ছোট পদ সবার অবৈধ টাকা, সম্পদ, সম্পত্তি (শুধু বেতন ব্যতীত) সব কিছু সরকারের কোষাগারে আনা হউক।
গ্রেফতারে খুশি হওয়ার কারণ নাই। এরা জেলের মধ্যেই সিস্টেম করে বেশ আরামে থাকে। আয় বহির্ভূত সম্পদের তালিকা দেন। আর সেই সম্পদ জব্দ করেন। অবশ্যই হাততালি দিবো।