ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০ শাবান ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক

মানবজমিন ডেস্ক
১৫ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবারmzamin

অবশেষে পদত্যাগ করেছেন বৃটেনের বহুল বিতর্কিত সিটি মিনিস্টার ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি বিরোধী দায়িত্বে থাকা টিউলিপ সিদ্দিক। প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ও তার দাবি, এথিকস এডভাইজার বা নিরপেক্ষ তদন্তকারী স্যার লরি ম্যাগনাস তদন্তে দেখতে পেয়েছেন যে- তিনি মন্ত্রিত্বের কোনো আইন লঙ্ঘন করেননি। টিউলিপ বলেছেন, এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে- ট্রেজারিতে ইকোনমিক সেক্রেটারি (অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী) হিসেবে আমার দায়িত্ব অব্যাহত রাখা সরকারি কাজে বিভ্রান্তিকর হতে পারে। টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করার পর তার পদে নতুন মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এমপি এমা রেনল্ডস’কে। 

পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন টিউলিপ
টেলিগ্রাফ পত্রিকা বলছে- দুর্নীতি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তার খালা ও বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সম্পর্ক, লন্ডনে শেখ হাসিনার মিত্রদের উপহার হিসেবে দেয়া প্রোপার্টি ইস্যুতে ক্রমশ চাপ বাড়ছিল তার ওপর। এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর এথিকস বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারকে এক চিঠিতে লরি ম্যাগনাস লিখেছেন, তিনি মনে করেন যে তার উচিত টিউলিপের চলমান দায়িত্বগুলোর বিষয়ে বিবেচনা করা, যদিও তিনি মনে করেন- টিউলিপ মন্ত্রিত্বের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। তবে একই দিন কিয়ের স্টারমারকে নিজে একটি চিঠি লিখেছেন টিউলিপ। তাতে তিনি স্বীকার করেছেন যে, পার্লামেন্টের সামনের সারিতে বসে তার দায়িত্ব অব্যাহত রাখা হতে পারে সরকারের কাজের জন্য বিভ্রান্তিকর। চিঠিতে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তাকে সমর্থন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মিস সিদ্দিক। তিনি বলেছেন, আপনি জানেন যে- আমার অনুরোধে অভিযোগের বিষয়ে গভীরে গিয়ে পর্যালোচনা করেছেন স্যার লরি। তিনি নিশ্চিত করেছেন, আমি মন্ত্রিত্বের বিধি ভঙ্গ করিনি। টিউলিপ আরও বলেছেন, আমার পারিবারিক সম্পর্কের বিষয়টি সরকারি রেকর্ডের ব্যাপার। যখন আমি মন্ত্রী হই, সে সময় আমার সম্পর্ক এবং সরকারের প্রাইভেট ইন্টারেস্ট সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা দিয়েছি। টিউলিপ দাবি করেছেন, তিনি পূর্ণাঙ্গ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছেন। সরকারে থাকার সময় তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। তিনি আরও বলেন, আমার আনুগত্য এই লেবার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি আছে এবং সবসময় থাকবে। সরকার যে জাতীয় রূপান্তরকরণ ও পরিবর্তন শুরু করেছে সেই কর্মসূচির প্রতিও আনুগত্য থাকবে। তাই আমি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 
 

টিউলিপের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ
টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও বোন শেখ রেহানার মেয়ে। শেখ হাসিনার পতনের পর টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কেলেঙ্কারির খবর বোমার মতো ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ একজন আওয়ামী লীগ নেতা ও ডেভেলপার আবদুল মোতালিফের কাছ থেকে উপহার হিসেবে বৃটেনের কিংস ক্রসে একটি ফ্ল্যাট নিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তির নামে আরও একটি ফ্ল্যাট উপহার দেন আইনজীবী মঈন গণি। প্রকারান্তরে সেই ফ্ল্যাটও টিউলিপকে উপহার দেয়া হয়েছে। কারণ, রূপন্তি ওই ফ্ল্যাট টিউলিপকে পরিবার সহ ব্যবহার করতে দিয়েছেন। এসব বিষয় গোপন করেছেন টিউলিপ। শুধু তা-ই নয়, তিনি শেখ হাসিনার ভাগ্নি হওয়ার পরও তার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা কখনো করেননি বলে দাবি করেন। কিন্তু তার ব্লগ ফাঁস করে দিয়েছে মিডিয়া। তাতে দেখা যায়, তিনি শেখ হাসিনার জয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন। তার প্রচারণায় ছিলেন তিনি। এর বাইরে রাশিয়ার সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি করার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা, টিউলিপ, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় প্রমুখ ৫০০ কোটি ডলার মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগে বাংলাদেশে দুদক তদন্ত করছে। তদন্ত চলছে বৃটেনে। কিন্তু অভিযোগ উঠার পর দীর্ঘ সময় তা অস্বীকার করে মন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত থাকেন টিউলিপ। তার পদত্যাগ দাবি করেন ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা, বিরোধী কনজারভেটিভ দলের কিছু এমপি। কিন্তু টিউলিপ তার খালা শেখ হাসিনার মতো ক্ষমতা ধরে রাখেন। এ নিয়েও অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার হলেন টিউলিপের ক্ষমতার খুঁটি। টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। তিনি নিরপেক্ষ তদন্তকারী লরা ম্যাগনাসের কাছে এই আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। টিউলিপের বিরুদ্ধে যখন তীব্র চাপ, প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতিতে সমর্থন দেয়ার অভিযোগ জোরালো হতে থাকে, বৃটেনের রাজনীতি উত্তাল হতে শুরু করে, তখন বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রী পিটার কিলি বলেন, নিরপেক্ষ তদন্তকারী যদি দেখেন মন্ত্রিত্বের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন টিউলিপ, তাহলে তিনি সরকারি পদে থাকতে পারবেন না। কয়েকদিন ধরে এই বিতর্ক বৃটেনের প্রথম সারির সব মিডিয়ার প্রথম পৃষ্ঠায়। তারা গুরুত্ব দিয়ে টিউলিপের দুর্নীতি ও সে সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করতে থাকে। কোনো কোনো মিডিয়া প্রথম পৃষ্ঠায় প্রধান সংবাদ শিরোনাম করে। এসব রিপোর্টে টিউলিপের খালা, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার হিসেবে আখ্যায়িত করে। এমন বিতর্ক এখন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি যখন টিউলিপের নিয়ন্ত্রণের বাইরে তখন বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার পদত্যাগের খবর দেয় বিবিসি। ওদিকে বর্তমান পার্লামেন্টের পুরো মেয়াদে চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে প্রথমবার এমপিদের মুখোমুখি হতে হয়েছে চ্যান্সেলর র‌্যাচেল রিভসকে। 

বিবিসি বলছে, বাংলাদেশে দুদকের দুর্নীতি বিষয়ক তদন্তে ক্রমবর্ধমান চাপের ফলে পদত্যাগ করেছেন বৃটিশ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক।  তিনি বৃটেনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এর পাশের আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। স্কাই নিউজের রাজনীতি বিষয়ক ডেপুটি সম্পাদক স্যাম কোটস বলেন, সরকারের এথিকস এডভাইজার তার রিপোর্টে টিউলিপ কোনো অন্যায় করেননি বলে ছাড়পত্র দিয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক বাস্তবতা হলো যখন বিদেশি কোনো সরকার কারো বিরুদ্ধে তদন্ত করে তখন তার ক্ষমতায় থাকা ভাল দেখায় না।

টিউলিপের জন্য দরজা উন্মুক্ত: স্টারমার
টিউলিপের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। তিনি বলেছেন, ট্রেজারির অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ ছিল বেদনার। তিনি আরও বলেন, টিউলিপ সিদ্দিকের জন্য তার দরজা উন্মুক্ত। কিয়ের স্টারমার বলেন, আপনার চিঠির জন্য ধন্যবাদ। এটা বেদনার যে মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে হচ্ছে। দায়িত্বে থাকার সময় আপনি যে প্রতিশ্রুতি পালন করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ। আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, স্যার লরি ম্যাগনাস নিরপেক্ষ উপদেষ্টা হিসেবে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি মন্ত্রিত্বের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো তথ্য পাননি, আপনার দিক থেকে আর্থিক কোনো অসঙ্গতির তথ্যপ্রমাণ পাননি।  তার কাছে আপনার নিজে থেকে আত্মপক্ষ সমর্থনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ধন্যবাদ জানাতে চাই এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করার জন্য। আপনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

নিজের অজান্তেই জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন টিউলিপ: লরি ম্যাগনাস
মঙ্গলবার স্যার লরি ম্যাগনাস বলেছেন, এটা দুঃখজনক যে মিস সিদ্দিক বাংলাদেশি সাবেক শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়ে সুনামের ঝুঁকি সম্পর্কে যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন না। তিনি আরও বলেছেন, যে দুটি প্রোপার্টি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার ডকুমেন্ট পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। এই ঘটনাটি ঘটেছে কমপক্ষে ২০ বছর আগে। টিউলিপ সিদ্দিক ও তার বোনকে ২০০৪ সালে এবং ২০০৯ সালে ওই দুটি ফ্ল্যাট উপহার দেয়া হয়েছে। ৪২ বছর বয়সী টিউলিপ উল্লেখযোগ্য ব্যাকগ্রাউন্ড তথ্য সরবরাহ করেছেন। তাতে দেখিয়েছেন যে, তার তহবিল ব্যবস্থাপনা নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে। তবে এটা ‘কনক্লুসিভ’ ছিল না। এসব লেনদেনের অভিযোগের গুরুত্বের প্রেক্ষিতে এটা দুঃখজনক যে, কনক্লুসিভ তথ্যগুলো পাওয়া যাচ্ছে না।  স্যার লরি আরও বলেন, মিস সিদ্দিক অজান্তেই কিংস ক্রসে তাকে একটি ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে দিয়েছে, সেই দাতার পরিচয় সম্পর্কে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন ২০২২ সালের জিজ্ঞাসাবাদে।
‘কনজারভেটিভদের মতোই খারাপ লেবার সরকার’

টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে কিয়ের স্টারমার দু’জন মন্ত্রী হারালেন। এক দশক আগে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ স্বীকার করে নেয়ার পর গত মাসে পদত্যাগ করেন পরিবহনমন্ত্রী লুইস হাই। তারপর দ্বিতীয় মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করলেন টিউলিপ। ক্ষমতায় আসার প্রথম ৬ মাসের মধ্যেই অনেক স্ক্যান্ডাল বা কেলেঙ্কারি জেঁকে ধরেছে লেবার পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারকে। এর ফলে স্যার কিয়ের স্টারমার ঐতিহাসিকভাবে একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অজনপ্রিয়তার নিম্নতম স্থানে পৌঁছে গেছেন। প্রধানমন্ত্রীত্বের ১০০ দিনের আগেই তিনি বরখাস্ত করেছেন নিজের চিফ অব স্টাফ সু গ্রে’কে। লেবার দলের দাতা লর্ড আলির কাছ থেকে অবাধে অর্থ এবং পোশাক নেয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এর পরিমাণ হাজার হাজার পাউন্ড। এমন অবস্থায় রিফর্ম ইউকে এবং লিবারেল ডেমোক্রেটরা লেবার পার্টিকে বিগত কনজারভেটিভ সরকারের মতোই খারাপ হিসেবে অভিহিত করেছে। রিফর্মের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের মধ্যেই পদত্যাগ করতে হয়েছে কিয়ের স্টারমারের দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রীকে। লিবারেল ডেমোক্রেট দলের কেবিনেট অফিসের মুখপাত্র সরাহ ওলনি বলেন, কনজারভেটিভ দলের বছরের পর বছর ধরে কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির পর জনগণ এই সরকারের কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করেছিল। কনজারভেটিভ দলের কেমি ব্যাডেনচ বলেন, সপ্তাহান্তে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে- দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রীর পদ পুরোপুরি অক্ষম হয়ে পড়েছে। তবু স্যার কিয়ের স্টারমার তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সুরক্ষিত রাখতে বিচলিত হন এবং বিলম্ব করেন। এখন পর্যন্ত টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এতে টিউলিপের পদত্যাগে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আসলে দুর্বল নেতৃত্ব থেকে তৈরি হন একজন দুর্বল প্রধানমন্ত্রী।

পাঠকের মতামত

এটা এক ভালো সন্মানজনক সমাধান হয়েছে। তবে আমাদের দেশে একটা গান আছে, - গুরু আমার মনের ময়লা যাবে কেমনে। এতে কি আমাদের মনের ময়লা দূর হলো?

Tulip
১৫ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৯:০৬ পূর্বাহ্ন

টিউলিপ সিদ্দিকের নৈতিকতা ও অবস্থান একদম পরিস্কার। সমস্যা হচ্ছে আমাদের নৈতিকতা ও প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানের। আমাদের নোংরা রাজনীতির কারনে বিদেশের মাটিতে কষ্ট করে প্রতিষ্ঠা পাওয়া নিষ্পাপ মেয়েটা সমস্যায় পড়েছে।

Monsur Ali
১৫ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৯:০৫ পূর্বাহ্ন

পুরো পরিবারটাই দুর্নিতীর খোলসে আবৃত।

A R Sarker
১৫ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৯:০৩ পূর্বাহ্ন

টিউলিপের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ বিশ্লেষণে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের রাজনীতি, গনতন্ত্র, আইনের শাসনের বিপরীত মূখি চিত্র দিবালোকের মত ফুটে উঠেছে। এ হতে তার খালা দূর্ণীতিতে চ্যামপিয়ন শেখ হাসিনা ও অনান্য সকল দূর্ণীতিবাজ রাজনীতিকদের উচিৎ শিক্ষা গ্রহন করা।

মূসা
১৫ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৮:১৭ পূর্বাহ্ন

চোর চোর বিশ্ব চোর শেখ পরিবারের লোক বিশ্ব চোর।

Nazrul Islam Matubba
১৫ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৭:২৩ পূর্বাহ্ন

পরিবারটি চুরি দুর্নিতীতে নিমজ্জিত। টিউলিফের মা’কেও ধরা দরকার। দুর্নিতীর আখড়া।

Jonogon
১৫ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৭:১৯ পূর্বাহ্ন

আলহামদুলিল্লাহ। এরাই খালেদাজিয়াকে দূর্ণীতিবাজ আখ্যা দিত,এরাই বলতো খালেদাজিয়া গরিবের অর্থ খেয়েছে। এরাই বড় গলায় তারেক রহমানকে দূর্ণীতিবাজ বলতো। আস্তেধীরে আরো অনেক কিছু জানার অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ।

SM. Rafiqul Islam
১৫ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৬:৫৯ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status