প্রথম পাতা
তিন্নি হত্যা মামলা
অভি খালাস, ২২ বছর পর ফের আলোচনায়
স্টাফ রিপোর্টার
১৫ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার
মডেল কন্যা সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যার ঘটনায় করা মামলা থেকে ২২ বছর পর খালাস পেয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন সাবেক এমপি গোলাম ফারুক অভি। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোসা. শাহীনুর আক্তার গতকাল এক রায়ে তাকে খালাস দেন। রায়ে অভির আইনজীবী তার মক্কেলের ন্যায়বিচার পাওয়ার কথা জানালেও খালাসের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট নয়। রায় পর্যালোচনা করে উচ্চ আদালতে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে রাষ্ট্রপক্ষ।
এর আগে ২০০২ সালের ১০ই নভেম্বর বুড়িগঙ্গা নদীর উপরে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-১-এর নিচে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৮ই নভেম্বর সাবেক এমপি গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব ওরফে তিন্নি হত্যার ঘটনায় ওই সময় দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ইন্টারপোলের রেড নোটিশে অভির নাম থাকলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন্নির সাবেক স্বামী পিয়ালসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু তদন্তে তিন্নি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে অভির নাম। ইমন তদন্ত সংশ্লিষ্টদের জানায়, ভারতে পলাতক থাকাকালীন সময়ে তার সঙ্গে অভির পরিচয় হয়। ইমনের তথ্যমতে তিন্নির সঙ্গে অভির ভালোবাসা ও প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের আশ্বাসে তিন্নিকে দিয়ে তার স্বামী পিয়ালকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করেন অভি।
পুলিশের অভিযোগপত্রে বলা হয়, অভির প্ররোচনায় তিন্নি তার স্বামীকে ডিভোর্স দেন। কিন্তু ডিভোর্সের পর অভি তিন্নিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। তিন্নি এসব তথ্য মিডিয়ায় ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দেন। ক্ষিপ্ত হয়ে অভি ২০০২ সালের ১০ই নভেম্বর সন্ধ্যার পর রাতের যেকোনো সময় তিন্নিকে মাথা ধরে ধাক্কা দেন। তখন তিন্নি মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান। পরে অভি তার গাড়িতে করে তিন্নির মরদেহ গুম করার জন্য গাড়িতে করে কেরানীগঞ্জ থানার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-১-এর কাছে ফেলে রাখেন।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ১১ই নভেম্বর নদী থেকে তিন্নির মরদেহ তোলার চার দিন পর ১৫ই নভেম্বর একটি জাতীয় পত্রিকায় বেওয়ারিশ মরদেহের ছবি প্রকাশ করে পুলিশ। ছবি প্রকাশের পর তিন্নির স্বজনরা মরদেহটি তিন্নির বলে শনাক্ত করেন। মৃত্যুর ১১ দিন পর কবর থেকে তার মরদেহ তোলা হয়। এর আগে নিহত তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম কেরানীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজের জিডি করেন। তিন্নির মরদেহ শনাক্তের পর ওই সময় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করে তিন্নির স্বামী শাফাকাত হোসেন পিয়াল, এবায়দুল্লাহ ওরফে স্বপন গাজী ও গাজী শরিফ উল্লাহ ওরফে তপন গাজীকে। তখনো প্রধান আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে। পরে আরও আটঘাট বেঁধে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বেরিয়ে আসতে থাকে নতুন নতুন তথ্য। ঘুরে যায় তদন্তের মোড়। মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে ২০০২ সালের ২৪শে নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। এরপর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডি। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকই ২০০৮ সালের ৮ই নভেম্বর অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়। মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়। এরপর ২০১০ সালের ১৪ই জুলাই ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এই মামলায় অনুপস্থিত অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে অভিযোগপত্রভুক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় তার চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম ২০২২ সালের ২৩শে মার্চ আদালতে দেয়া সাক্ষ্য দেন।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, কানাডায় পলাতক অভি তার আইনজীবী বরাবর একটি চিঠি লেখেন। এর কপি দেয়া হয় ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলিকেও। এতে অভি দাবি করেন, ১৯৯৬ সালে বরিশাল-২ আসন থেকে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। তিনি আইনের শাসনে বিশ্বাসী। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তিন্নি হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে তার নাম ছিল না। বিশ্বস্ত সূত্রে তিনি জানতে পারেন, তাকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে তিনি দেশ ছেড়ে কানাডায় যান। ২০০৬ সালের ৩রা নভেম্বর অভির পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তাই তিনি পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন কানাডার অটোয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে। কিন্তু বহুবার লিখিত তাগিদ দেয়ার পরও পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়নি। তিনি বিচারের সম্মুখীন হতে চান। কিন্তু তাকে পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে না। অভিকে পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য ২০১০ সালে তার পক্ষে রিট করা হয়েছিল। তিন্নি হত্যা মামলায় ২০০৭ ও ২০১৮ সালে ইন্টারপোল অভির বিরুদ্ধে লাল নোটিশ জারি করে। কিন্তু দীর্ঘ ২২ বছরেও ঘাতক অভির সন্ধান করতে পারেনি আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল।
মামলাটির ৩ নম্বর সাক্ষী ছিলেন তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম। তিনি ২০১১ সালের ১০ই এপ্রিল আদালতকে জানান, স্বামী পিয়াল একবার তিন্নিকে ব্যাংককে শপিংয়ে পাঠান। সেখানে বাবু নামে এক ভদ্রলোক তাকে সহযোগিতা করবে বলে জানানো হয়। সেই বাবুই ছিল অভি। এরপর অভির সঙ্গে তিন্নির সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে গভীর পরকীয়ায় রূপ নেয়। নির্মম মৃত্যুই তার পরিণতি ডেকে আনে।
কে এই অভি: ইতিহাস বলে সাবেক এমপি গোলাম ফারুক অভির উত্থান ঘটে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে। ছাত্র হিসেবে তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। এসএসসি এবং এইচএসসিতে বোর্ড পর্যায়ে মেধার স্বাক্ষর রাখেন। নব্বইয়ের গণআন্দোলন ঠেকাতে এরশাদের নজর পান অভি। ওই সময় অপহরণ ও মুক্তিপণ এবং চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তিনি নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তিনি গ্রেপ্তার হন। তবে নব্বইয়ের গণআন্দোলনের চরম পর্যায়ে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান। আর ছাড়া পেয়েই পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। অভি একটি অংশের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তার সঙ্গে তৎকালীন সরকারের গোপন যোগাযোগ রয়েছে, এই অভিযোগে ওই বছরের ২৫শে নভেম্বর তাকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ১৯৯৬ সালের ৯ই মে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং ১২ই জুন অনুষ্ঠিত ৭ম সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসন থেকে সর্বকনিষ্ঠ এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
অভিযোগের পাহাড়: ১৯৮৯ সালে একটি হত্যা মামলার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে অভিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়াও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বিরুদ্ধে আটকাদেশ দেয়া হয়। ১৯৯০ সালের ২৭শে নভেম্বর ডা. মিলন হত্যায়ও তিনি অভিযুক্ত ছিলেন। ১৯৯২ সালের ১৮ই মে সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের গেস্টরুম থেকে একটি কাটা রাইফেল ও বিদেশি পিস্তলসহ অভিকে গ্রেপ্তার হয়। ২১শে আগস্ট ১৯৯৩ সালে ওই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড হলে তিন বছর কারাভোগের পর উচ্চ আদালতে আপিল করে জামিন পান তিনি। কানাডার টরেন্টো থেকে অভি পাওয়ার অব অ্যাটর্নির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে এক আইনজীবীর মাধ্যমে মামলাটির স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০১০ সালের ৫ই ডিসেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। যার রিট পিটিশন নম্বর ৯৫৩১/২০১০। শুনানি শেষে ২০১১ সালের ১৫ই জানুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১১ সালের ২৩শে জুন হাইকোর্ট মামলাটির স্থগিতাদেশ দেন। এই কারণে প্রায় সাত বছর মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া প্রায় পাঁচ বছর স্থগিত থাকার পরে ২০১৫ সালে মামলাটির বিচার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। মডেলকন্যা তিন্নি হত্যা মামলার আসামি অভি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তার নির্বাচনী এলাকা বরিশাল-২ এ ঈদের নামাজে মোবাইল ফোনে তার সহযোগীদের সহযোগিতায় বক্তব্য দিয়ে থাকেন। বক্তব্যে তিনি বলে থাকেন, নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে দেশে ফিরে আবারো রাজনীতিতে ফিরবেন। নির্বাচনে জয়ী হয়ে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করবেন।
ক্যায়িয়ারের তুঙ্গে ছিলেন তিন্নি: ১৯৭৭ সালের ২২শে অক্টোবর ঢাকায় জম্মগ্রহণ করেন তিন্নি। তিন্নি নামে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি। ২০০০ সালের কেনাকাটা করতে বনানীতে গেলে তার সঙ্গে দেখা হয় জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নির্মাতা আফজাল হোসেনের। দেখার পর আফজাল হোসেন তাকে মডেল হবার জন্য প্রস্তাব দেন। ইডেন কলেজে ইংরেজি বিভাগে পড়ে এমন সুযোগ পেয়ে মডেল হতে রাজি হন। কয়েক মাস পরে তিন্নি মডেলিং করেন হেনোলাক্স স্পট ক্রিমের একটি বিজ্ঞাপনে। এক বিজ্ঞাপন দিয়েই তিন্নি পৌঁছে যান হাজারো দর্শকদের হৃদয়ে। একের পর এক অভিনয় করেন স্টারশিপ কনডেন্সড মিল্ক, লিজান মেহেদী, গন্ধরাজ তেল, কোয়ালিটি আইস্ক্রিম ও রিচি জুসের বিজ্ঞাপনে। মৌ-এর পর তিন্নি হয়ে উঠেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া মডেল। মডেল হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর নাট্য নির্মাতারা তাকে নাটকে অভিনয় করার প্রস্তাব দিতে থাকেন। তিন্নি অনেক নাটকের অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও জনপ্রিয় পরিচালক মোহন খানের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে পারেননি। ২০০২ সালে মোহন খান পরিচালিত মেঘবতী নাটকে অভিনয় করেন। এরপর তিনি ধারাবাহিক নাটক তখন ছিলাম আমি ও সমুদ্র সীমানায় নাটকে অভিনয় করেন। তার জনপ্রিয়তা দেখে চলচ্চিত্র পরিচালকেরা তাকে ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব দেন। বাদল খন্দকার পরিচালনায় প্রিয় সাথী নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের বিষয়ে পুরোপুরি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু চলচ্চিত্রে আর অভিনয় করা হয়ে উঠেনি তিন্নির। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা তিন্নি তার আগেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
পাঠকের মতামত
আমি বুঝতে পারছি না এই দেশের বিচার ব্যবস্থা কোন দিকে যাচ্ছে? পূর্ববর্তী রায় প্রদানকারী বিচারকদের কি কোন শক্ত আইনি ভিত্তি ছিল না? কোন রায় সঠিক, পূর্ববর্তীটি না বর্তমানটি? পূর্ববর্তী বিচারকের ভুল রায়ের দায় কে নেবে? রাষ্ট্র কি তিন্নি হত্যার প্রকৃত খুনি কে তা খুঁজে বের করতে পেরেছে? প্রকৃত খুনিকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব কি রাষ্ট্রের নয়? আদালত প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করতে পারেনা, কিন্ত তাদের দেয়া দন্ডিতকে খালাস দিতে পারে! রিডিকুলাস!!!!
আমাদের গর্ব,আমাদের অভি, মগো বরিশাইল্ল্যা পোলা।উজিরপুর ধুলাবালি এখনো অভিকেই মনে করে। ষড়যন্ত্র করে লাভ হবেনা মাছুদ।
বাস্তবতা হচ্ছে, মডেল তিন্নি আত্মহত্যা করেছিলেন। আদালতে দেয়া স্বাক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব স্বাক্ষীরাও এ কথাই বলেছেন।এমনকি আদালতে সিআইডি তিন্নি আত্মহত্যা করেছিলেন, এই মর্মে রিপোর্টও সাবমিট করে ছিল।তারপরেও রাজনৈতিক চাপে সিআইডিকে বাধ্য হয়ে সাবেক এমপি গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র “আসামি” করে "হত্যা"র চার্জশীট দিতে হয় ! এই মামলার ট্রায়াল চলাকালীন পুরো সময়ে অনুপস্থিত অভির নিজের পক্ষে নিয়োগ করা কোনো আইনজীবী ছিল না। সরকারের নিয়োগকৃত আইনজীবীরাই এই মামলা পরিচালনা করেন।বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ৪১ বার মামলার রায়ের তারিখ দেয়া হলেও রায় দিতে দেয়া হয়নি ! বিগত বিএনপি সরকার (২০০১-২০০৬), ১/১১ এর জরুরী অবস্থাকালীন সরকার, আওয়ামী লীগ সরকার (২০০৯-২৪), ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার - কেউই হত্যাকাণ্ডের পক্ষে কোনো প্রমান আদালতে উপস্থাপন করতে পারেনি।মিডিয়া ট্রায়াল আর আদালতের ট্রায়াল এক নয়। সত্য প্রকাশিত হবেই এবং এক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে, গোলাম ফারুক অভি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
অভিযুক্ত অভি মুক্ত হলে তিন্নিকে মারলো কে - তা সরকারকেই প্রমাণ করতে হবে।