বাংলারজমিন
‘স্বার্থের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে মানুষের জন্য কিছু করতে চাই’
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, বগুড়া থেকে
১২ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার‘স্বার্থের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে চাই’। ইতিবাচক চিন্তার দ্বারা সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে চাই। শুক্রবার সকালে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার আগুনিয়াতাইর এলাকায় অবস্থিত বাংলোবাড়িতে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে এসব কথা বলেন মণি পঞ্চায়েত কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মহিদুল ইসলাম রিপন।
তিনি বলেন, ‘দেশনায়ক তারেক রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ সততার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। আমি তাদের নির্দেশমতো স্বচ্ছ রাজনীতি করতে চাই। মানুষকে সেবাদানের মধ্যেই বেঁচে থাকতে চাই’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনাতলা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক, বালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল হান্নানসহ স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এদিকে উত্তর জনপদে গত কয়েক দিন ধরেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এতে খেটে খাওয়া অল্প আয়ের মানুষরা বেশ কষ্টে রয়েছেন। এমন সময় কম সৌভাগ্যবান মানুষদের পাশে গরম কাপড় নিয়ে হাজির হয়েছেন বিএনপি নেতা, বিশিষ্ট শিল্পপতি মহিদুল ইসলাম রিপন। শীতবস্ত্র নিতে আসা স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা মানবজমিনকে বলেন, বাজারের ঊর্ধ্বগতির কারণে আমাদের সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। সেখানে শীত নিবারণের জন্য পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই। এসব গরম কম্বল পেয়ে শীতে আমাদের পরিবারগুলো উপকৃত হবে। কথা হয় সোনাতলা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হকের সঙ্গে। তিনি মানবজমিনকে বলেন, আমরা সাধারণ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করি। দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে দেয়নি। ৫ই আগস্টের বিপ্লবের পর আমরা আবার মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি। আমাদের নেতা মহিদুল ইসলাম রিপনের হাতে হাত রেখে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে সবাই একত্রিত হয়েছি। বালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হবে। আমরা সেই ধারাবাহিকতায় সব ধর্মের মানুষের হাতে শীতের পোশাক তুলে দিতে পেরেছি। উল্লেখ্য, মণি পঞ্চায়েত কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রিপন এবারের শীতে প্রায় সপ্তহব্যাপী প্রায় ৪ হাজার কম্বল বিতরণ করবেন। শুক্রবার দিনব্যাপী ১ হাজার মানুষের হাতে তিনি কম্বল তুলে দেন। পর্যায়ক্রমে বাকি কম্বলগুলো উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের হাতে তুলে দেয়া হবে। তিনি কম্বলের পাশাপশি নগদ অর্থও তুলে দেন অসহায় মানুষের হাতে।